পাবনার ঈশ্বরদীতে পদ্মানদী থেকে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে বিবাদমান দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে এবার ৮ কৃষককে পিটিয়ে জখম এবং চর থেকে কৃষকের দুইটি গরু ছিনিয়ে নিয়ে জবাই করে পিকনিক করার ঘটনা ঘটেছে। রোববার দুপুরে ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নের আড়মবাড়িয়ার পদ্মাচরে এসব ঘটনা ঘটে। চর এলাকায় এ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

আহত কৃষকরা হলেন- উপজেলার সাঁড়া ঝাউদিয়া এলাকার মৃত আইযুব আলীর ছেলে আনছার মাঝি, আনছার মাঝির ছেলে মজনু মাঝি, একই উপজেলার মাঝদিয়া এলাকার সাদেক হোসেনের ছেলে মাছিদুল ইসলাম ও মজিদুল ইসলাম, দুলাল খাঁর ছেলে লিটন খাঁ, সোহান হোসেন, আরাফাত ও এজাজুল হক।

আহতদের মধ্যে লিটনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, আহতরা সবাই প্রান্তিক কৃষক, তারা পদ্মা নদীতে জেগে উঠা নিজস্ব ও লিজ নেওয়া জমিতে দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করে আসছিলেন।

আহত আনছার মাঝি, মজনু, মাছিদুল, সোহান ও আরাফাত অভিযোগ করে বলেন, পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলন করাকে কেন্দ্র করে ঈশ্বরদী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুলতান আলী বিশ্বাস টনির সঙ্গে তার প্রতিপক্ষ ভেড়ামারার বাহাদুরপুর এলাকার ইঞ্জিনিয়ার কাকনের মধ্যে সম্প্রতি গোলাগুলি ও হামলার ঘটনা ঘটে। কিন্তু আমরা কৃষক। আমরাতো কারও পক্ষের লোক না। পদ্মা নদীতে জেগে ওঠা আমাদের পৈত্রিক জমিতে চাষাবাদ করি। গতকাল রোববার আমরা নৌকা যোগে চরে গিয়ে আমাদের জমিতে চাষাবাদ করার জন্য যাই। এসময় একদল দুর্বৃত্ত আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে বেদম মারপিট করে আহত করে। তারা আমাদের দুটি গরু ছিনিয়ে নিয়ে জবাই করে পিকনিক করে খেয়েছেন। আমরা সাধারণ খেটে খাওয়া কৃষক, আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক সাহিদুল ইসলাম শিশির বলেন, আহতদের মধ্যে লিটনের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যদের ঈশ্বরদী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ঈশ্বরদীর লক্ষ্ণীকুন্ডা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) এমরান মাহমুদ তুহিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগও দেয়নি। অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প বন আম দ র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সাজেকে চান্দের গাড়ি খাদে পড়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিহত

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় চান্দের গাড়ি খাদে পড়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পর্যটনকেন্দ্র সাজেকে যাওয়ার পথে হাউসপাড়া নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ১২ জন আহত হয়েছেন।

নিহত শিক্ষার্থীর নাম মোছা. রুবিনা আফসানা (রিংকী)। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। আহতদের মধ্যে ১১ জন একই বিভাগের শিক্ষার্থী এবং একজন শিক্ষক বলে জানা গেছে।

আরো পড়ুন:

হবিগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩

কুমিল্লায় অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ২

স্থানীয় সূত্র জানায়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি দল খাগড়াছড়ি থেকে চান্দের গাড়িতে করে সাজেক যাচ্ছিল। পথে হাউসপাড়া এলাকায় উঁচু পাহাড়ে উঠতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে রুবিনা আফসানা নামের ওই শিক্ষার্থী মারা যান। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমেনা মারজান বলেন, ‘‘দুর্ঘটনায় একজন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’’

ঢাকা/শংকর/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খুবি শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় দুরপাল্লার শিক্ষা সফর বাতিল ঘোষণা
  • সাজেকে চান্দের গাড়ি খাদে পড়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিহত