ব্যারিস্টার সুমনসহ চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
Published: 26th, May 2025 GMT
দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় হবিগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন, তার স্ত্রী ছাম্মী আক্তারসহ চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৬ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়া অপর দুইজন হলেন—ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) সাবেক নির্বাহী পরিচালক (প্রকৌশল) জগদীশ চন্দ্র মণ্ডল এবং তার স্ত্রী সবিতা মন্ডল। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ব্যারিস্টার সুমন দম্পতির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপ-পরিচালক এ কে এম মাহবুবুর রহমান।
আবেদনে বলা হয়, ব্যারিস্টার সুমনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। গোপন ও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ব্যারিস্টার সুমন দেশ ছেড়ে পলায়ন করে তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর করার চেষ্টা করছেন। তিনি বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা আছে। তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।
জগদীশ চন্দ্র মণ্ডল দম্পতির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো.
আবেদনে বলা হয়, জগদীশ চন্দ্র ও অন্যদের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য, অবৈধভাবে শত শত কোটি টাকার সম্পদ অর্জন, বিদেশে অর্থ পাচার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানের বিষয়টি রাষ্ট্রের স্বার্থে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা আছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত প্রয়োজন।
ঢাকা/এম/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব য র স ট র স মন র দ শত য গ
এছাড়াও পড়ুন:
মেঘনায় ট্রলারডুবি: দুজনের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ আরো ২
নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আরো এক জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
রবিবার (১ জুন) লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে এক রোহিঙ্গা নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে, গতকাল এক জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এখনো ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
নিহতরা হলেন- ভাসানচর থানার সাব পোস্টমাস্টার ও ফেনীর পৌর দৌলতপুর গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৫৩) ও ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৬১ নম্বর ক্লাস্টারের তারেকের স্ত্রী হাসিনা খাতুন (২৫)।
আরো পড়ুন:
তিন জেলায় পানিতে ডুবে ৭ শিশুর মৃত্যু
মেঘনায় ট্রলারডুবি: একজনের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ আরো ৫
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন- জেলার সুধারাম মডেল থানার পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলাম (২৮) ও ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৬১ নম্বর ক্লাস্টারের তারেকের ছেলে তামিম (৩)।
হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা রাইজিংবিডিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, শনিবার (৩১ মে) দুপুরে ৪ পুলিশ সদস্য, রোহিঙ্গা রোগী, আনসার সদস্য ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থার লোকসহ ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে একটি যাত্রীবাহী ট্রলার ভাসানচর থেকে হরণী ইউনিয়নের আলী বাজার ঘাটের উদ্দেশে যাত্রা করে।
যাত্রাপথে ভাসানচর থেকে ৭-৮ কিলোমিটার দূরে যাওয়ার পরই করিমবাজার সংলগ্ন ডুবারচরে মেঘনা নদীতে বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। দুর্ঘটনার পর ৩৫ জনকে জীবিত ও দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরো দুই জন। কোস্ট গার্ড তাদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।
ঢাকা/সুজন/রাজীব