ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের মামলায় খালাস পেয়েছেন সাংবাদিক শফিক রেহমান।

ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ তারিক এজাজ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় শফিক রেহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

শফিক রেহমানের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

একই মামলায় একই আপিল আদালত থেকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান খালাস পান।

একই মামলায় একই আপিল আদালত থেকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান খালাস পান।

জানতে চাইলে আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর শফিক রেহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে শফিক রেহমান আত্মসমর্পণ করেন। সেদিন তিনি সাজা পরোয়ানা বাতিলের আবেদন জানান। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছিলেন।

পরে ওই মামলায় সিএমএম আদালতের দেওয়া রায় চ্যালেঞ্জ করে ২১ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিলের পাশাপাশি জামিন আবেদন করেন শফিক রেহমান। সেদিন তিনি আদালত থেকে জামিন পান।

সৈয়দ জয়নুল আবেদীন আরও বলেন, ঢাকার সিএমএম আদালতের দেওয়া কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে শফিক রেহমানের করা আপিল আজ মঞ্জুর করেছেন ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত। ফলে শফিক রেহমান এ মামলা থেকে খালাস পেলেন।

২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট এ মামলায় শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন সিএমএম আদালত। অন্য তিনজন হলেন জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তাঁর ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

মামলায় শফিক রেহমান ও মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের সাজা স্থগিত করা হয়।

সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট রাজধানীর পল্টন থানায় এ মামলা করেছিল পুলিশ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র রহম ন স এমএম বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশি প্রেসক্রিপশনে দেশ চলবে না

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘আমরা চাই মুজিববাদী সংবিধান অবিলম্বে বিলোপ করে বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন হয় এমন সংবিধান কার্যকর করতে। কোনো বৈদেশিক শত্রুর প্রেসক্রিপশনে আর এই দেশ পরিচালিত হবে না। নতজানু হয়ে নয়; দেশ চলবে ন্যায্যতার সঙ্গে।’

রোববার সকালে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জারটেক এলাকায় দলের পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি। গণমানুষের ভাবনা জানা এবং আগামীর বাংলাদেশ নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানাতে পথসভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এনসিপি। এদিন দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৯টি স্থানে পথসভা করেন দলটির নেতারা। সাংগঠনিক এই কর্মসূচিতে হাসনাত আবদুল্লাহর সঙ্গে ছিলেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব মীর আরশাদুল হক, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আলম মিতু, মো. আতাউল্লাহসহ বেশ কয়েকজন নেতা।

কর্মসূচি শুরুর আগে চট্টগ্রাম নগরের বিপ্লব উদ্যানে সাংবদিকদের সঙ্গে কথা বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ চায় বিএনপি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসনাত বলেন, ‘যে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগের কথা বলা হচ্ছে, তারা গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে প্রতিনিধিত্ব করছেন। তারা কোনো রাজনৈতিক দলের বা এনসিপির প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্র সংস্কারের বিপক্ষে একটি মহল অবস্থান নিয়েছে। একটি পক্ষ দেশকে বিভাজনের ষড়যন্ত্রেও লিপ্ত হয়েছে। ভেবেছিলাম, ৫ আগস্ট আমাদের লড়াই শেষ হয়েছে। তবে এ লড়াই দীর্ঘ। জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে রাজনৈতিক ছোট ছোট মতপার্থক্য দূরে রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’ এ সময় অবিলম্বে বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ প্রকাশ করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান হাসনাত।

আনোয়ারা উপজেলার চাতুরী চৌমুহনী বাজারের পথসভায় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আর ইউএনও-ওসি’ দিয়ে রাতের নির্বাচন হবে না। কেউ একসঙ্গে দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না।’

বাঁশখালী উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে হাসনাত বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। সচিবালয়ে বসে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না।’ সাতকানিয়ার কেরানীহাট চত্বরে পথসভায় তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দল, আমাদের নিজেদের বিশৃঙ্খলা, চারদিকে প্রশাসনিকভাবে অসহযোগিতার মাধ্যমে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার অপচেষ্টা চলছে।’ রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে অকুণ্ঠ সমর্থন দেব।’ 

লোহাগাড়া উপজেলায় পথসভায় হাসনাত বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের সব স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচন অবৈধ ঘোষণার পর নির্বাচন দিতে হবে।’ রাতে পটিয়া থানার মোড়ে তিনি বলেন, ‘যারা চাঁদাবাজি ও লুটপাট করে না, আগামীতে তাদের নির্বাচিত করতে হবে।
(তথ্য দিয়েছেন আনোয়ারা, কর্ণফুলী, বাঁশখালী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও পটিয়া প্রতিনিধি)

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যাচেষ্টা মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমানকে খালাস
  • জয়কে অপহরণ-হত্যাচেষ্টা মামলায় খালাস পেলেন শফিক রেহমান
  • জয়কে অপহরণ-হত্যাচেষ্টা মামলায় শফিক রেহমানের আপিলের রায় আজ
  • মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে উপদেষ্টার ছবির জায়গায় কেন শিশুর ছবি
  • তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে ফতুল্লায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতিসভা
  • ভোলায় গ্যাসের দাবিতে আটকে রাখা হয়েছে ইন্ট্রাকোর এলপিজিবাহী ১০টি ট্রাক
  • হাতকড়া পরিয়ে চোখ-মুখ বেঁধে অপহরণ, মামলা করতে ভয় পাচ্ছেন ব্যবসায়ী
  • বিদেশি প্রেসক্রিপশনে দেশ চলবে না
  • খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আসামি করার অভিযোগে দুদকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা