পাওনা ৭০০ টাকা নিয়ে তর্কাতর্কি, লাঠির আঘাতে নিহত যুবক
Published: 27th, May 2025 GMT
পাওনা টাকা নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে লাঠির আঘাতে সানাউল্লাহ নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আরমান মিয়া নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী থানার মহিষাশুড়া ইউনিয়নের বালুশাইর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সানাউল্লাহ বালুশাইর গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে। অভিযুক্ত আরমান মিয়া একই গ্রামের ওমর আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ভুক্তভোগী এবং অভিযুক্ত দু’জনই মাদকাসক্ত। তারা একসঙ্গে মাদকসেবন করতেন। নিহত সানাউল্লাহর কাছে আরমান ৭০০ টাকা পেতেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে সানাউল্লাহকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন আরমান। এতে আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সানাউল্লাহ। পরে স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। ঘটনার পর থেকে পলাতক আরমান।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, ৭০০ টাকা দেনাপাওনা নিয়ে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। এ ঘটনায় এখনও লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: নরস দ হত য স ন উল ল হ আরম ন
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যানসারে আক্রান্ত ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর শরীরে ত্বকের ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে। বমি ও নিম্ন রক্তচাপের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার শরীরে ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে। বর্তমানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।
আরো পড়ুন:
৬ বছর পর ব্রাজিলকে হারিয়ে বিশ্বকাপ প্লে-অফে বলিভিয়া
মারাকানায় ব্রাজিলের বড় জয়
প্রতিবেদনে বলা হয়, এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার একদিন পর তার ত্বকের ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে।
বুধবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তার ত্বকের পরীক্ষা করে ‘স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা’ শনাক্ত হয়েছে।এটি ত্বকের মাঝারি মাত্রার ক্যানসার, যা সবচেয়ে হালকা ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ধাপের মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে।
চিকিৎসকরা বলেছেন যে, নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। ৭০ বছর বয়সী বলসোনারো গত মঙ্গলবার বমি এবং নিম্ন রক্তচাপের কারণে ব্রাসিলিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে ক্যানসারের বিষয়টি গত রবিবারের পরীক্ষায় ধরা পড়ে, যখন তার বুক ও হাতে থাকা ক্ষতস্থানের টিস্যু অপসারণ করা হয়েছিল।
তার অনকোলজিস্ট ক্লাউদিও বিয়ারোলিনি জানিয়েছেন, বলসোনারোর ক্যানসার ‘ইন সিটু’ ধাপে রয়েছে, অর্থাৎ অস্বাভাবিক কোষগুলো এখনো ছড়িয়ে পড়েনি। অস্ত্রোপচারই এর চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট হবে। বর্তমানে বলসোনারোর শরীরে সেলাই ও ব্যান্ডেজ রয়েছে, যা দুই সপ্তাহের মধ্যে খোলা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বুধবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন, যেখানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
বলসোনারো ২০২২ থেকে ২০২৩ সালে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই গৃহবন্দি ছিলেন। সম্প্রতি তাকে ২৭ বছর তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বিচারপতি আলেকজান্দ্রে দে মোরেসের নির্দেশ অনুযায়ী, গৃহবন্দিত্বে থাকলেও চিকিৎসা জরুরি হলে তিনি বাসার বাইরে যেতে পারেন। তবে প্রতিবারই তার আইনজীবীদের আদালতে চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হয়।
বলসোনারোর সমর্থকরা তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতিকে যুক্তি হিসেবে তুলে ধরছেন, যাতে তিনি কারাগারে না গিয়ে বাড়িতেই সাজা ভোগ করতে পারেন। তাদের দাবি, কারাগারে নিলে তার শারীরিক জটিলতা বা দুর্ব্যবহারের ঝুঁকি বাড়বে।
তার জ্যেষ্ঠ পুত্র সিনেটর ফ্লাভিও বলসোনারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, “আমার বাবা আগেও কঠিন লড়াই লড়ে জয়ী হয়েছেন। এবারও ভিন্ন কিছু হবে না।”
ঢাকা/ফিরোজ