পাওনা টাকা নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে লাঠির আঘাতে সানাউল্লাহ নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আরমান মিয়া নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। 

মঙ্গলবার দুপুরে নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী থানার মহিষাশুড়া ইউনিয়নের বালুশাইর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সানাউল্লাহ বালুশাইর গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে। অভিযুক্ত আরমান মিয়া একই গ্রামের ওমর আলীর ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, ভুক্তভোগী এবং অভিযুক্ত দু’জনই মাদকাসক্ত। তারা একসঙ্গে মাদকসেবন করতেন। নিহত সানাউল্লাহর কাছে আরমান ৭০০ টাকা পেতেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে সানাউল্লাহকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন আরমান। এতে আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সানাউল্লাহ। পরে স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। ঘটনার পর থেকে পলাতক আরমান।

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, ৭০০ টাকা দেনাপাওনা নিয়ে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। এ ঘটনায় এখনও লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নরস দ হত য স ন উল ল হ আরম ন

এছাড়াও পড়ুন:

চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবিতে চক্ষু হাসপাতাল পরিচালক অবরুদ্ধ

জুলাই আন্দোলনে আহতদের উন্নত চিকিৎসা এবং পুনর্বাসনের দাবিতে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালককে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন আন্দোলনে আহত একদল যুবক। মঙ্গলবার দুপুরে দেড় ঘণ্টার মতো পরিচালক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরী তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ থাকেন। এ সময় একাধিক ব্যক্তি গায়ে কেরোসিন ও পেট্রোল ঢেলে আত্মাহুতির হুমকি দেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ডা. খায়ের আহমেদ সমকালকে বলেন, ‘তাদের অভিযোগ, আমি একপক্ষের হয়ে কাজ করছি। বিদেশে পাঠানোর তালিকায় পক্ষপাতিত্ব করছি। অথচ এসব নির্ধারণে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি রয়েছে। আমি নিজে কিছু করি না।’

তিনি বলেন, ‘আহতদের মধ্যে অনেক কোন্দল আছে। কেউ কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে।’ 

হাসপাতালের পরিচালক আরও বলেন, ‘তারা বলেছেন, তাদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী আমি যেন বিদেশে পাঠানোর নামের তালিকা করি। কিন্তু এটা তো হওয়ার কথা নয়। এখানে বিশেষজ্ঞ কমিটি আছে, তারাই নির্ধারণ করে কারা বিদেশে যাবে, তো এসব বিষয় নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল। 

‘তাদের মধ্যে আকতার হোসেন নামে একজন আবার পেট্রল নিয়ে এসেছিলেন। যে কারণে আমি কিছুটা ভয় পেয়ে যাই, কোনো দুর্ঘটনা ঘটায় কিনা। বিষয়টি আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাই। এরপর সেনাবাহিনীর সদস্যরা এলে তারা সরে যায়। এর আগেই আমি আহতদের একটা অংশের সহায়তায় কক্ষ থেকে বের হয়ে আসি।’

ঘটনাস্থলে থাকা জুলাই আহতদের একজন বলেন, ‘ওইদিন যারা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল তারাই আজ পরিচালকের কার্যালয়ে আসে। সেখানে নানা কথাবার্তা বলতে বলতে আবারও আত্মহত্যার চেষ্টা করে। সঙ্গে পেট্রল নিয়ে আসে। এখন সব ঠিক আছে।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ