কায়সার কামালকে জড়িয়ে মানহানিকর তথ্য, ছাত্রলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে পরোয়ানা
Published: 28th, May 2025 GMT
বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামালকে জড়িয়ে গণমাধ্যমে মিথ্যা ও মানহানিকর বক্তব্য প্রচারের অভিযোগে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বনানী থানা শাখার ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক মবিনা জান্নাতের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে বুধবার মামলাটি করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য জিল্লুর রহমান। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি।
আইনজীবী জিল্লুর রহমান বলেছেন, রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামালের বিরুদ্ধে মিথ্যা, মানহানিকর ও ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য প্রচার করেছেন ছাত্রলীগ নেত্রী মবিনা জান্নাত। ২৫ মে এক সংবাদ সম্মেলনে মবিনা জান্নাত দাবি করেছিলেন, ‘আইনজীবী কায়সার কামালের সহায়তায় ৫ মে জামিনে মুক্তি পান মোকাদ্দেস হানিফ।’ অথচ যে মামলায় শুনানির কথা উল্লেখ করে আসামি মবিনা জান্নাত এ তথ্য প্রচার করেন, সেটি ছিল মিথ্যা। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব কায়সার কামাল ওই মামলায় অংশ নেননি।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, আসামি ছাত্রলীগ নেত্রী মবিনা জান্নাত বিভিন্ন গণমাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করেছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে সাজাভোগ শেষে বেনাপোল দিয়ে ফিরলেন ৩৬ জন
বিভিন্ন প্রলোভনে পড়ে ভারতে যাওয়া ৩৬ বাংলাদেশি নারী-পুরুষ ও শিশুকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগের পর বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ওই ৩৬ জনকে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
ফেরত আসা বাংলাদেশিরা যশোর, রাজশাহী, খুলনা, নোয়াখালী, কুড়িগ্রাম, নাটোর, সাতক্ষীরা, নড়াইল, কক্সবাজার, ঢাকা, নেত্রকোনা, রংপুর, মাদারীপুর, নরসিংদী ঠাকুরগাঁ, দিনাজপুর লক্ষীপুর ও চট্টগ্রাম জেলার বাসিন্দা। আইনি সহায়তা দিতে রাইটস যশোর, জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার, মহিলা আইনজীবি সমিতি এবং জাস্টিস ও শিশু সুরক্ষা সংস্থা এই ৩৬ বাংলাদেশিকে বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে গ্রহণ করেছেন।
দেশের বিভিন্ন সীমান্তপথে তারা ভারতে গিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় পুলিশের হাতে তারা আটক হয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
জাস্টিজ অ্যান্ড কেয়ারের যশোর শাখার সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আব্দুল মুহিত সমকালকে জানান, ভালো কাজের প্রলোভনে দেশের বিভিন্ন সীমান্তপথে দালালের মাধ্যমে ওই ৩৬ জন ভারতের কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় যায়। সেখানে বিভিন্ন বাসাবাড়ি বা অন্যান্য কাজ করার সময় পুলিশ তাদের আটক করে। এ সময় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে পুলিশ তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলখানায় পাঠায়। পরে আইনি সহায়তা দিতে ভারতীয় একাধিক মানবাধিকার সংস্থা তাদের আদালত থেকে ছাড়িয়ে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
তিনি আরও জানান, বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগের পর দুদেশের সরকারের সহযোগিতায় বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে ওই ৩৬ জন দেশে ফেরার সুযোগ পায়। ফেরত আসা বাংলাদেশিরা যদি পাচারকারীদের শনাক্ত করে আইনি সহায়তা চায়, তাহলে সেই ব্যবস্থা করা হবে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের উপপরিদর্শক শাহাদাত হোসেন বলেন, ভারত ফেরত ৩৬ বাংলাদেশি নারী-পুরুষ ও শিশুকে আমরা গ্রহণ করেছি। কার্যক্রম শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় তাদের সোপর্দ করা হয়েছে। সেখান থেকে এনজিও সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ও রাইটস যশোর মহিলা আইনজীবি সমিতি ও শিশু সুরক্ষা সংস্থা তাদের গ্রহণ করেছে। পরে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার কাজ চলছে।