আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উদ্যাপিত
Published: 29th, May 2025 GMT
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের সব দেশের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য অবদানকে এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, তিন বাহিনীর প্রধান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশের মহাপরিদর্শক, জাতিসংঘের মহাসচিব এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। আজ আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
শান্তিরক্ষী দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বেলা ১১টায় রাজধানীতে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আহত শান্তিরক্ষীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে শাহাদাত বরণকারীদের জন্য এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ওপর বিশেষ উপস্থাপনার আয়োজন করা হয়।
আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। আরও বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব মো.
অনুষ্ঠানের শেষে বক্তব্য দেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে ভিটিসির মাধ্যমে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন১০ দেশে শান্তির পতাকা হাতে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা ১৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে ফটোসেশনে অংশ নেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। ঢাকা, ২৯ মেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ ত স ঘ শ ন ত রক ষ অন ষ ঠ ন উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
নিরাপদ ঈদুল আজহা উদ্যাপনে পুলিশ সদস্যদের কাজ করার নির্দেশ আইজিপির
উৎসবমুখর ও নিরাপদে ঈদুল আজহা উদ্যাপনে আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
আজ মঙ্গলবার সকালে ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা-সংক্রান্ত ভার্চ্যুয়াল সভায় আইজিপি এই নির্দেশনা দেন। পুলিশ সদর দপ্তরে বসে দেশের সব মহানগর পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলা পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল সভা করেন আইজিপি। পরে পুলিশ সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে মহানগর পুলিশ, জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ পুলিশসহ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটসমূহ সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব পালন করবে। সভায় কোরবানির পশু পরিবহন নির্বিঘ্ন করা, এক হাটের পশু জোর করে অন্য হাটে না নেওয়া, হাইওয়ের পাশে পশুর হাট না বসানো, জাল টাকা, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধ, মার্কেট ও শপিংমলের নিরাপত্তা প্রদানে সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
আইজিপি বলেন, ৫ আগস্টের পর নতুন বাংলাদেশে পুলিশের অস্ত্র ব্যবহার পর্যালোচনার বিষয়টি শুধু জনশৃঙ্খলা রক্ষায় অর্থাৎ মিছিল-সমাবেশ নিয়ন্ত্রণের বেলায়ই উঠে এসেছে। মিছিল সমাবেশ নিয়ন্ত্রণে জীবনবিধ্বংসী মারণাস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা স্বভাবতই প্রশ্নবিদ্ধ। বিষয়টি বর্তমানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে সশস্ত্র অপরাধী, চরমপন্থী ও বিদ্রোহপ্রবণ এলাকায় পুলিশি কার্যক্রমের সময় অবশ্যই প্রয়োজন অনুযায়ী অস্ত্র বহন করবে পুলিশ।
যেসব লাইসেন্সধারী সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী অস্ত্র জমা দেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি।
সভায় পুলিশ সর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি মতিউর রহমান শেখ, বিশেষ শাখার অতিরিক্ত আইজিপি গোলাম রসুল, অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, ডিআইজি (অপারেশনস) রেজাউল করিম, ডিআইজি (কনফিডেনশিয়াল) কামরুল আহসান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।