পোশাক শিল্পের টেকসই উন্নয়নে ফাইন্যান্স ও গবেষণায় রূপান্তর দরকার: মির্জা ফাইয়াজ
Published: 29th, May 2025 GMT
বিজিএমইএ নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদের প্রার্থী (ব্যালট ৫৫) ও এপ্যারেলস ভিলেজ লিমিটেডের পরিচালক মির্জা ফাইয়াজ হোসেন বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উন্নয়নে দুটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন- সহজ শর্তে অর্থায়ন এবং গবেষণা ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ।
তার প্রস্তাবিত সেন্ট্রাল ফাইন্যান্সিং কোঅর্ডিনেশন সেল বিজিএমইএ-এর আওতায় সদস্য ফ্যাক্টরিগুলোকে ক্রেডিট-রেটিংয়ের মাধ্যমে আইএফসি, আইডিসিওএল, বা জিসিএফ এর মতো আন্তর্জাতিক উৎস থেকে সহজ শর্তে ঋণ গ্রহণে সহায়তা করবে।
ফাইয়াজ মনে করেন, যারা ঋণমুক্ত ও দক্ষভাবে পরিচালিত, তাদের আলাদা স্বীকৃতি পাওয়া উচিত। তার প্রতিষ্ঠান এভিএল প্রতিষ্ঠার পর থেকে কখনও বেতন দিতে বিলম্ব করেননি, কোনো ঋণ খেলাপি হয়নি এবং আয় বেড়েছে ৭.
আরও একটি বড় উদ্যোগ হলো ‘আর এন্ড ডি’ তহবিল গঠন। ফাইয়াজ বলেন, ‘শুধু তুলাভিত্তিক কাঁচামাল ও প্রচলিত বাজারে নির্ভর করে টিকে থাকা যাবে না। উদ্ভাবনের মাধ্যমে আমাদের নতুন গ্লোবাল মার্কেট তৈরি করতে হবে।’
এভিএল ইতোমধ্যে ইতালির বিখ্যাত ব্র্যান্ড ওভিএস থেকে ‘টপ সাস্টেইনেবিলিটি সাপ্লায়ার’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, যা তাদের ডিজিটাল রূপান্তর ও উদ্ভাবনী ব্যবস্থাপনার ফসল।
মির্জা ফাইয়াজ মনে করেন, সময় এসেছে এমন একটি বিজিএমইএ গঠনের, যা স্বচ্ছতা, দক্ষতা, উদ্ভাবন ও শ্রমিক কল্যাণকে সমন্বিতভাবে মূল্য দেবে।
‘সঙ্কটের অপেক্ষায় না থেকে, আগেই সমাধান তৈরি করতে হবে’-এই দৃষ্টিভঙ্গিতেই তিনি কাজ করতে চান। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যানসারে আক্রান্ত ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর শরীরে ত্বকের ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে। বমি ও নিম্ন রক্তচাপের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার শরীরে ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে। বর্তমানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।
আরো পড়ুন:
৬ বছর পর ব্রাজিলকে হারিয়ে বিশ্বকাপ প্লে-অফে বলিভিয়া
মারাকানায় ব্রাজিলের বড় জয়
প্রতিবেদনে বলা হয়, এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার একদিন পর তার ত্বকের ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে।
বুধবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তার ত্বকের পরীক্ষা করে ‘স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা’ শনাক্ত হয়েছে।এটি ত্বকের মাঝারি মাত্রার ক্যানসার, যা সবচেয়ে হালকা ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ধাপের মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে।
চিকিৎসকরা বলেছেন যে, নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। ৭০ বছর বয়সী বলসোনারো গত মঙ্গলবার বমি এবং নিম্ন রক্তচাপের কারণে ব্রাসিলিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে ক্যানসারের বিষয়টি গত রবিবারের পরীক্ষায় ধরা পড়ে, যখন তার বুক ও হাতে থাকা ক্ষতস্থানের টিস্যু অপসারণ করা হয়েছিল।
তার অনকোলজিস্ট ক্লাউদিও বিয়ারোলিনি জানিয়েছেন, বলসোনারোর ক্যানসার ‘ইন সিটু’ ধাপে রয়েছে, অর্থাৎ অস্বাভাবিক কোষগুলো এখনো ছড়িয়ে পড়েনি। অস্ত্রোপচারই এর চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট হবে। বর্তমানে বলসোনারোর শরীরে সেলাই ও ব্যান্ডেজ রয়েছে, যা দুই সপ্তাহের মধ্যে খোলা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বুধবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন, যেখানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
বলসোনারো ২০২২ থেকে ২০২৩ সালে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই গৃহবন্দি ছিলেন। সম্প্রতি তাকে ২৭ বছর তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বিচারপতি আলেকজান্দ্রে দে মোরেসের নির্দেশ অনুযায়ী, গৃহবন্দিত্বে থাকলেও চিকিৎসা জরুরি হলে তিনি বাসার বাইরে যেতে পারেন। তবে প্রতিবারই তার আইনজীবীদের আদালতে চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হয়।
বলসোনারোর সমর্থকরা তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতিকে যুক্তি হিসেবে তুলে ধরছেন, যাতে তিনি কারাগারে না গিয়ে বাড়িতেই সাজা ভোগ করতে পারেন। তাদের দাবি, কারাগারে নিলে তার শারীরিক জটিলতা বা দুর্ব্যবহারের ঝুঁকি বাড়বে।
তার জ্যেষ্ঠ পুত্র সিনেটর ফ্লাভিও বলসোনারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, “আমার বাবা আগেও কঠিন লড়াই লড়ে জয়ী হয়েছেন। এবারও ভিন্ন কিছু হবে না।”
ঢাকা/ফিরোজ