বিজিএমইএ নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদের প্রার্থী (ব্যালট ৫৫) ও এপ্যারেলস ভিলেজ লিমিটেডের পরিচালক মির্জা ফাইয়াজ হোসেন বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উন্নয়নে দুটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন- সহজ শর্তে অর্থায়ন এবং গবেষণা ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ।

তার প্রস্তাবিত সেন্ট্রাল ফাইন্যান্সিং কোঅর্ডিনেশন সেল বিজিএমইএ-এর আওতায় সদস্য ফ্যাক্টরিগুলোকে ক্রেডিট-রেটিংয়ের মাধ্যমে আইএফসি, আইডিসিওএল, বা জিসিএফ এর মতো আন্তর্জাতিক উৎস থেকে সহজ শর্তে ঋণ গ্রহণে সহায়তা করবে। 

ফাইয়াজ মনে করেন, যারা ঋণমুক্ত ও দক্ষভাবে পরিচালিত, তাদের আলাদা স্বীকৃতি পাওয়া উচিত। তার প্রতিষ্ঠান এভিএল প্রতিষ্ঠার পর থেকে কখনও বেতন দিতে বিলম্ব করেননি, কোনো ঋণ খেলাপি হয়নি এবং আয় বেড়েছে ৭.

৫ গুণ।

আরও একটি বড় উদ্যোগ হলো ‘আর এন্ড ডি’ তহবিল গঠন। ফাইয়াজ বলেন, ‘শুধু তুলাভিত্তিক কাঁচামাল ও প্রচলিত বাজারে নির্ভর করে টিকে থাকা যাবে না। উদ্ভাবনের মাধ্যমে আমাদের নতুন গ্লোবাল মার্কেট তৈরি করতে হবে।’

এভিএল ইতোমধ্যে ইতালির বিখ্যাত ব্র্যান্ড ওভিএস থেকে ‘টপ সাস্টেইনেবিলিটি সাপ্লায়ার’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, যা তাদের ডিজিটাল রূপান্তর ও উদ্ভাবনী ব্যবস্থাপনার ফসল।

মির্জা ফাইয়াজ মনে করেন, সময় এসেছে এমন একটি বিজিএমইএ গঠনের, যা স্বচ্ছতা, দক্ষতা, উদ্ভাবন ও শ্রমিক কল্যাণকে সমন্বিতভাবে মূল্য দেবে। 

‘সঙ্কটের অপেক্ষায় না থেকে, আগেই সমাধান তৈরি করতে হবে’-এই দৃষ্টিভঙ্গিতেই তিনি কাজ করতে চান। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

উৎপাদনশীলতা বাড়াতে বিজিএমইএ-এনপিও সমঝোতা স্মারক

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে উৎপাদনশীলতা, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা বাড়াতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিজিএমইএ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

শুল্ক হ্রাসে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই, আরো কমাতে আলোচনার পরামর্শ

বিজিএমইএ নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৮৭.৫০ শতাংশ

বিজিএমইএ জানায়, সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, পোশাক শিল্পকে ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ যুগের উপযোগী করে তুলতে যৌথভাবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, সেমিনার ও পরামর্শ সেবা পরিচালনা করবে বিজিএমইএ ও এনপিও। পাশাপাশি, উৎপাদনশীলতা ও অপারেশনাল উৎকর্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৫ এস, কাইজেন, লিন ম্যানুফেকচারিংরের মতো আধুনিক পদ্ধতি প্রয়োগে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

চুক্তির অংশ হিসেবে প্রতি বছর তিনটি তৈরি পোশাক কারখানাকে ‘মডেল এন্টারপ্রাইজ’ হিসেবে বাছাই করা হবে এবং এনপিওর কারিগরি সহায়তায় এসব কারখানায় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া, উভয় সংস্থা এশিয়ান প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের সহায়তায় গবেষণা ও সক্ষমতা উন্নয়নমূলক উদ্যোগেও একসাথে কাজ করবে।

এনপিও কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বিজিএমইএ পরিচালক জোয়ারদার মোহাম্মদ হোসনে কমার আলম এবং এনপিও সভাপতি মো. নুরুল আলম।

বিজিএমইএ প্রতিনিধি বলেন, বৈশ্বিক বাণিজ্যের পরিবর্তন, প্রযুক্তিগত রূপান্তর এবং সাপ্লাই চেইনের নতুন বাস্তবতায় ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি। শুধুমাত্র কম খরচের ওপর নির্ভর না করে, এখন প্রয়োজন গুণগত মান, দক্ষতা, গতি ও উদ্ভাবনের সমন্বয়।

বিজিএমইএ পরিচালক জোয়ারদার মোহাম্মদ হোসনে কমার আলম বলেন, “বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে স্মার্ট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের পথে এগিয়ে নিতে আমাদের উৎপাদন ব্যবস্থায় ডিজিটাল প্রযুক্তি, আইওটি ও ইনোভেশন সংযুক্ত করা জরুরি। বিজিএমইএ ও এনপিওর এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের টেকসই, আধুনিক ও প্রতিযোগিতামূলক শিল্পে রূপান্তরের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।”

ঢাকা/নাজমুল/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উৎপাদনশীলতা বাড়াতে বিজিএমইএ-এনপিও সমঝোতা স্মারক