নারীর মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে
Published: 30th, May 2025 GMT
রাষ্ট্রে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও অবনতি চরমে। নারীর মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আজ বাধাগ্রস্ত করে এক অবরুদ্ধকর পরিস্থিতির তৈরি করা হচ্ছে। এসব ঘটনা নারীর অগ্রগতিসহ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক নয়। এ অবস্থায় দেশের সুরক্ষা নিশ্চিতে সব নাগরিককে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনের বক্তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘নারীর প্রতি সহিংসতা, বৈষম্য ও নারীর মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করা এবং সাম্প্রদায়িক সহিংসতা’র প্রতিবাদে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ডা.
ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, রাষ্ট্রের নীতি হওয়া উচিত– দুষ্টের দমন, শিষ্টের প্রতিপালন। কিন্তু রাষ্ট্রে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও অবনতি চরমে। বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলার উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের সংখ্যালঘুদের নাগরিক হিসেবে সমান অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
মালেকা বানু বলেন, সব পরিবর্তন যে কল্যাণকর নয়– তা আজ নারী সমাজ বুঝতে পারছে। নারীকে নানাভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে। মব সহিংসতা, হয়রানিমূলক ঘটনা এবং নারীকে অবরুদ্ধ রাখতে একটি গোষ্ঠীর তৎপরতা বৃদ্ধি প্রশ্নে রাষ্ট্রীয় ভূমিকার পশ্চাৎপদতাকেই তুলে ধরছে আজ। রাষ্ট্রের এই পশ্চাৎপদতার বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর স থ ত র প রক শ
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদাবাজির অভিযোগে এনসিপি নেতা গ্রেপ্তার
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ট্রাক আটক করে চাঁদাবাজির অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বৃহস্পতিবার রাতে পার্বতীপুর-মধ্যপাড়া সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
আটক ব্যক্তির নাম তারিকুল ইসলাম (৪০)। তিনি উপজেলার পশ্চিম রাজাবাসর গ্রামের মৃত মাহমুদুল সরকারের ছেলে ও পার্বতীপুর উপজেলা এনসিপির মুখ্য সংগঠক।
পুলিশের ভাষ্য, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির পরিত্যক্ত লোহার স্ক্র্যাপ দরপত্রের মাধ্যমে কেনে সেনাকল্যাণ সংস্থা। সন্ধ্যা ৬টার দিকে স্ক্র্যাপ ভর্তি দুটি ট্রাক খনি থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। ট্রাক দুটি খনি এলাকা থেকে বের হলে কিছু লোক এগুলো আটক করে। তাদের মধ্যে কয়েকজন ট্রাকে উঠে চালককে জিম্মি করে চাঁদা দাবি করে। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনী ও র্যা ব ঘটনাস্থলে যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ট্রাকটি উদ্ধার ও ঘটনাস্থলে থাকা তারিকুল ইসলামকে আটক করলে অন্যরা পালিয়ে যায়।
সেনাকল্যাণ সংস্থার প্রতিনিধি মো. আরিফুল ইসলাম জানান, গোপন সূত্রে তিনি জানতে পারেন স্ক্র্যাপ ভর্তি ট্রাকগুলো রাস্তায় আটক হওয়ার আশঙ্কা আছে। বিষয়টি তিনি সেনাকল্যাণ সংস্থাকে জানিয়ে রাখেন। ট্রাকগুলো কয়লা খনি এলাকা থেকে বের হলে এগুলো আটকে চাঁদা দাবি করে ৫০-৬০ জনের একটি দল। চালকরা বৈধ মালপত্রে চাঁদা দিতে অপারগতা জানান। এ সময় তাদের জিম্মি করে ট্রাকগুলো অন্য রাস্তায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। পরে সেনাবাহিনী ও র্যা ব সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারিকুলকে আটক করেন।
এ ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী উপজেলার ভবানীপুর এলাকার বাসিন্দা সুরুজ আহম্মেদ জানান, কয়লা খনি থেকে অবৈধভাবে স্ক্র্যাপ বাইরে যাচ্ছে এমন তথ্যে ছাত্র-জনতা ও সমন্বয়করা দুটি ট্রাক আটক করেন। এতে আওয়ামী সরকারের সুবিধাভোগী কিছু লোক তাদের ধাওয়া করে। পরে তারা তারিকুল ইসলামকে ডেকে আনেন। সেনাবাহিনী তাদের কথা না শুনে তারিকুলকে আটক করে নিয়ে যায়।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) মো. জাফর সাদিক বলেন, বৈধ টেন্ডার ছাড়া কোনো ধরনের স্ক্র্যাপ মালপত্র খনি থেকে বের হওয়ার সুযোগ নেই। টেন্ডারের মাধ্যমেই সেনাকল্যাণ সংস্থা স্ক্র্যাপ মালপত্র কিনেছে, যা খনিসংশ্লিষ্ট প্রতিটি দপ্তর অবগত আছে।
পার্বতীপুর মডেল থানার ওসি আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, এ ঘটনায় ১৬ জনের নামে মামলা করেছেন সেনাকল্যাণ সংস্থার প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম। মামলার প্রধান আসামি তারিকুলকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।