জুন মাসে যদি নির্বাচনের কথা বলেন, এই নির্বাচন বাংলাদেশে কখনো হবে না: মির্জা আব্বাস
Published: 30th, May 2025 GMT
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘বিএনপি বরাবর ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে। এই ডিসেম্বরের কথা কিন্তু ইউনূস সাহেব নিজে বলেছেন। আমরা বলিনি, এটি তাঁরই প্রস্তাব। পরে তিনি সেখান থেকে শিফট করে জুন মাসে চলে গেলেন। জুন মাসে যদি নির্বাচনের কথা বলেন, এই নির্বাচন বাংলাদেশে কখনো হবে না।’
আজ শুক্রবার সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘নির্বাচন যদি করতে হয়, ডিসেম্বরের মধ্যেই করতে হবে। নির্বাচন যদি করতে না চান, তাহলে সেটি ইউনূস সাহেবের দায়দায়িত্ব, আমাদের নয়। বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচন আদায় করে নেবে। নির্বাচন না হলে বাংলাদেশের ভৌগোলিক অগ্রগতি থাকবে না।’ তিনি বলেন, ‘জাপানে বসে ইউনূস সাহেব বিএনপির নামে বদনাম করছেন। দেশের সম্পর্কে বদনাম করছেন। উনি বলেছেন দেশে নাকি মাত্র একটি দল নির্বাচন (ডিসেম্বরে) চায়। কিন্তু আমরা বলতে চাই শুধু একটি লোক নির্বাচন চায় না, তিনি হলেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।’
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের বহু সংস্কার করেছেন বলেন মির্জা আব্বাস। বিদেশ থেকে কোনো পরামর্শক না এনে জিয়াউর রহমান দেশের সংস্কার করেছেন বলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘জিয়াউর রহমান খাল সংস্কার কর্মসূচি, গার্মেন্টস ব্যবসা, নারী শিক্ষাসহ বহু সংস্কার করেছেন। কিন্তু এই সরকার সংস্কার, সংস্কার করতে করতে এমন জায়গায় চলে গেছে, এখন তারা আর নির্বাচন দিতে চায় না।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল থেকেই বৃষ্টির মধ্যে দলটির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ডা.
শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে দুই দিন নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়সহ সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির পতাকা অর্ধনমিত রাখা এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। পাশাপাশি আলোচনা সভা, মসজিদে মসজিদে গণদোয়া এবং দুস্থদের মধ্যে চাল, ডালসহ বস্ত্র বিতরণসহ নানা কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স স ক র কর ড স ম বর ব এনপ র ইউন স
এছাড়াও পড়ুন:
সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল দেশ গড়া সম্ভব
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে একটি আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।”
তিনি বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সমবায় খাতকে আধুনিক ও গতিশীল করতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমি বিশ্বাস করি, কৃষি, মৎস্য, পশুপালন, সঞ্চয় ও ঋণদান এবং কুটিরশিল্প প্রভৃতি ক্ষেত্রে সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে একটি আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।”
আরো পড়ুন:
মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালী ও কার্যকর করতে নতুন অধ্যাদেশ অনুমোদন
নির্বাচন বানচালের যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা হবে: প্রধান উপদেষ্টা
শনিবার (১ নভেম্বর) ‘৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “সাম্য ও সমতায়, দেশ গড়বে সমবায়’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারো ১ নভেম্বর, ২০২৫ যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশব্যাপী ‘৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সকল সমবায়ী ও দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “দেশ ও জনগণের উন্নয়নে গৃহীত যেকোনো কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নে সামাজিক সম্পৃক্ততা নিশ্চিত অপরিহার্য। সমবায়ের অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে এ কাজ আমরা অনায়াসে করতে পারি। সমবায় সমিতিগুলো শুধু আর্থিক প্রতিষ্ঠানই নয় বরং সমাজের নানাবিধ সমস্যা দূর করতে বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সমবায় আন্দোলনের বিকল্প নেই। অন্তর্বর্তী সরকার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক ও টেকসই সমাজ প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যেতে চায়। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সমবায়ের ভূমিকা অপরিসীম।”
তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আসুন, সমবায়ের চেতনাকে ধারণ করে সাম্য ও সমতায় আমরা সকলে মিলে গড়ে তুলি নতুন বাংলাদেশ।”
প্রধান উপদেষ্টা ‘৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস, ২০২৫’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। খবর বাসসের।
ঢাকা/সাইফ