ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল বিজনেস ইন বাংলাদেশ আন্ডার দ্য গ্রিন সাপ্লাই চেইন ট্রানজিশন প্রোগ্রাম’ শীর্ষক দুই দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। গ্লোবাল সাপ্লাই চেইন সাপোর্ট ফান্ডের সহায়তায় কর্মশালাটি আয়োজন করে মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি।

ব্যাংকের বিভিন্ন টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস খাতভুক্ত ক্লায়েন্টদের কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তারা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালাটি পরিচালনা করেন ইন্টেলক্যাপ ও সার্কুলার অ্যাপারেল ইনোভেশন ফ্যাক্টরির পরিবেশগত, সামাজিক ও প্রশাসনিক বিশেষজ্ঞরা।

কর্মশালায় পরিবেশ ও সামাজিক কমপ্লায়েন্স, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের ব্র্যান্ডগুলোর পরিবর্তনশীল চাহিদা এবং জিআরআই ও এসবিটিআইয়ের মতো রিপোর্টিং কাঠামোর অধীন প্রত্যাশিত রিপোর্টিং পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়।

ইন্টেলক্যাপের সার্কুলার অ্যাপারেল ইনোভেশন ফ্যাক্টরির প্রিন্সিপাল এ এফ এম শাহেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্পের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে সার্কুলারিটি ও সাসটেইনেবিলিটিকে গ্রহণ করার ওপর। মিডল্যান্ড ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের অংশীদারত্ব সাপ্লায়ারদের বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের চাহিদা পূরণের জন্য প্রস্তুত করার পাশাপাশি বাস্তব ডিকার্বোনাইজেশন সমাধান গ্রহণে সহায়তা করবে এবং প্রতিযোগিতামূলক, ভবিষ্যৎ প্রস্তুত সাপ্লাই চেইন গড়ে তুলবে।’

মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো.

আহসান-উজ জামান কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে বলেন, পোশাক ও গার্মেন্টস খাতের ভবিষ্যৎ কেবল ফ্যাশন নয়, এটি দায়বদ্ধতা, স্বচ্ছতা ও রূপান্তরের বিষয়। এখনই সময় পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি ও দক্ষ সিস্টেমে বিনিয়োগ, ন্যায্য ও নৈতিক শ্রমপরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং জিআরআই ও এসবিটিআইয়ের মতো বৈশ্বিক মান গ্রহণ করার। এগুলোকে বোঝা নয়; বরং টেকসই ও প্রতিযোগিতামূলক ভবিষ্যতের রোডম্যাপ হিসেবে দেখা উচিত।

কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মিডল্যান্ড ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. জাহিদ হোসেন, ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান মো. জাভেদ তারেক খান, ইন্টারন্যাশনাল ডিভিশন ও এনআরবি প্রধান খোন্দকার তৌফিক হোসেন, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মারুফ হায়দার এবং ট্রেজারি ও মার্কেট রিস্ক (ফ্রন্ট) বিভাগের প্রধান সুশান্ত শেখর দেবসহ ব্যাংকের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আবিষ্কার ক্যাপিটালের পার্টনার (ক্রেডিট) অভিষেক মিত্তাল বলেন, আবিষ্কারের গ্লোবাল সাপ্লাই চেইন সাপোর্ট ফান্ড, ইন্টেলক্যাপ ও মিডল্যান্ড ব্যাংকের এ যৌথ উদ্যোগ বাংলাদেশে টেক্সটাইল সাপ্লায়ারদের ইএসজি প্রস্তুতি বৃদ্ধির জন্য একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ।

কর্মশালাটি আয়োজন ও বিভিন্ন সেশন পরিচালনায় ছিলেন ইন্টেলক্যাপের কান্ট্রি ম্যানেজার এ এফ এম শাহেদ, ম্যানেজার ধীমান হালদার; ইঞ্জিনিয়ারিং রিসোর্সেস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের সিনিয়র কনসালট্যান্ট হাসান মোনির ও সিনিয়র ম্যানেজার বায়জিদ বুস্তামী।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স প ল ই চ ইন গ রহণ

এছাড়াও পড়ুন:

মাদারীপুরের সাবেক দুই ডিসিসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

শিবচরে পদ্মা সেতু রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মাদারীপুরের সাবেক দুই জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন ও মো. ওয়াহিদুল ইসলামসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়। 

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই)  দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় এ সংক্রান্ত নোটিশ মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সাবেক দুই জেলা প্রশাসকসহ অভিযুক্তদের কাছে পাঠিয়েছে ।

দুদক সূত্র জানায়, পদ্মা রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক দুই জেলা প্রশাসকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন জন্য দুদক মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামানকে দলনেতা ও উপ-সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান অপুকে সদস্য করে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

খুকৃবির সাবেক উপাচার্যসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

কুবির নতুন ক্যাম্পাসের জমি ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ, তথ্য চেয়েছে দুদক

অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ১৯ ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর বিধি ৮ অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্য এবং চাহিদাপত্র চেয়ে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে তারা হলেন- মাদারীপুর সাবেক জেলা প্রশাসক মো. ওহিদুল ইসলাম, সাবেক জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ ফারুক আহম্মদ, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ঝোটন চন্দ্র, মাদারীপুরের সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন গিয়াস।

‎মোহাম্মদ সুমন শিবলী, প্রমথ রঞ্জন ঘটক, ‎আল মামুন, মো. নাজমুল হক সুমন, মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ‎কানুনগো (ভারপ্রাপ্ত) মো. নাসির উদ্দিন, মো. আবুল হোসেন, রেজাউল হক এবং মাদারীপুর কালেক্টরেট রেকর্ড রুম শাখার রেকর্ড কিপার মানিক চন্দ্র মন্ডল।

দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান বলেন, “মাদারীপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম ও ড. রহিমা খাতুনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তথ্য ও বিভিন্ন চাহিদাপত্র চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত নোটিশ অভিযুক্তদের কাছে পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/বেলাল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ