পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ৪ হাজার ৯১২ কোটি টাকা
Published: 31st, May 2025 GMT
বিদায়ী সপ্তাহে (২৪ থেকে ২৯ মে) দেশের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বাড়লেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে। তবে উভয় পুঁজিবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে ৪ হাজার ৯১২ কোটি ১ লাখ টাকা।
শনিবার (৩১ মে) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৪৭.
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৪৬ হাজার ৯৮৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৮৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ১০৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭২১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৯৯ কোটি ৫ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৪২২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৮টির, দর কমেছে ৩০৩টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪ টির। তবে লেনদেন হয়নি ১৮টির।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৩৩.৬৩ পয়েন্ট বা ২.৪৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৫১ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ৩.৩৫ শতাংশ কমে ১১ হাজার ২৯ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ২.৫৫ শতাংশ কমে ৭ হাজার ৯৬৫ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ১.৮২ শতাংশ কমে ৮৪৬ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ১.৫৭ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৩৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৭ হাজার ২০৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭৭ হাজার ২০৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ৮০৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৬১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩০৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৩টির, দর কমেছে ২০৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির শেয়ার ও ইউনিট দর।
ঢাকা/এনটি/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব জ র ম লধন ন কম ছ আর ব দ ড এসই স এসই
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থানে সপ্তাহ শুরু
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১ জুন) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে এখনো গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে সূচক।
এদিনে ডিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে। তবে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বাড়লেও সিএসইতে বেড়েছে।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩০.৪৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬৬৮ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬.৪২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৭ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১৭.৯৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৭৪৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আরো পড়ুন:
৪.৫০ শতাংশ রিটার্ন দেবে বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক
এনআরবি ব্যাংকের প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা বেড়েছে ২০০ শতাংশ
ডিএসইতে মোট ৪০২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ২০৩টি কোম্পানির, কমেছে ১১২টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৭টির।
এদিন ডিএসইতে মোট ২৩৫ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৪৭ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৪৮.৮৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮ হাজার ১৩ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৩.৫৬ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ১১৫ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৩.৯২ পয়েন্ট বেড়ে ৮৪৯ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ১৫২.৪৯ পয়েন্ট বেড়ে ১১ হাজার ১৮২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ১৬৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৭৪টি কোম্পানির, কমেছে ৬৩টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৭টির।
সিএসইতে ১০ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৮ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ঢাকা/এনটি/ফিরোজ