বিদায়ী সপ্তাহে (২৪ থেকে ২৯ মে) দেশের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বাড়লেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে। তবে উভয় পুঁজিবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে ৪ হাজার ৯১২ কোটি ১ লাখ টাকা।

শনিবার (৩১ মে) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৪৭.

২০ পয়েন্ট বা ৩.০৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬৩৭ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৪৭.৪৭ পয়েন্ট বা ২.৬৭ শতাংশ কমে ১ হাজার ৭২৯ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩৫.৫৪ পয়েন্ট বা ৩.৩৯ শতাংশ কমে ১ হাজার ১১ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ২১.৯২ পয়েন্ট বা ২.৩১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯২৬ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৪৬ হাজার ৯৮৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৮৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ১০৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭২১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৯৯ কোটি ৫ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৪২২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৮টির, দর কমেছে ৩০৩টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪ টির। তবে লেনদেন হয়নি ১৮টির।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৩৩.৬৩ পয়েন্ট বা ২.৪৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৫১ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ৩.৩৫ শতাংশ কমে ১১ হাজার ২৯ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ২.৫৫ শতাংশ কমে ৭ হাজার ৯৬৫ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ১.৮২ শতাংশ কমে ৮৪৬ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ১.৫৭ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৩৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৭ হাজার ২০৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭৭ হাজার ২০৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ৮০৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৬১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫৭ কোটি ৮১ লাখ  টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩০৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৩টির, দর কমেছে ২০৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

ঢাকা/এনটি/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব জ র ম লধন ন কম ছ আর ব দ ড এসই স এসই

এছাড়াও পড়ুন:

ডিএসইতে সূচক কমলেও সিএসইতে বেড়েছে

চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (২ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বাড়লেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কমে লেনদেন শেষ হয়েছে।

এদিন ডিএসই ও সিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। তবে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমলেও সিএসইতে বেড়েছে।

আরো পড়ুন:

কমোডিটি এক্সচেঞ্জ পরীক্ষামূলক চালু ডিসেম্বরে, নতুন দিগন্ত উন্মোচনের অপেক্ষা

ধ্বংসপ্রাপ্ত পুঁজিবাজারে গতি ফেরাতে কার্যক্রম চলমান: অর্থ উপদেষ্টা

বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। রবিবার সকাল থেকেই ডিএসইএক্স সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেনের শুরু হয়। তবে দুপুর ২টার দিকে তা পতনে রূপ নেয়। লেনদেনের শেষ হওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল। তবে গত কয়েক মাসের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন অনেক কমে গেছে।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৬.৩৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১১৫ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩.৬৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৮ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৪.৮০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৮২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে মোট ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১২৮টি কোম্পানির, কমেছে ২০৭টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬০টির।

এদিন, ডিএসইতে মোট ৫৪৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৮৩২ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৭.৫১ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ৩১৩ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ০.৬২ পয়েন্ট কমে ৮৯৮ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ১৯.৭৮ পয়েন্ট বেড়ে ১২ হাজার ৬৭১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সিএসইতে মোট ১৮৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৯৩টি কোম্পানির, কমেছে ৬৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮টির।

সিএসইতে ১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

ঢাকা/এনটি/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডিএসইতে সূচক কমলেও সিএসইতে বেড়েছে
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম বাড়ার শীর্ষে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম কমার শীর্ষে প্রিমিয়ার লিজিং
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে সিভিও ওরিয়ন ইনফিউশন
  • ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ১ শতাংশ
  • পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ১১ হাজার ১০ কোটি টাকা