ক্ষমা চাও, নইলে ১০০ কোটি রুপির মানহানির মামলা—শোয়েব আখতারকে আইনি নোটিশ
Published: 31st, May 2025 GMT
বলের গতি যে ১০০ মাইল তোলা যায়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তা প্রথম করে দেখিয়েছেন শোয়েব আখতারই। গতির ঝড়ে ব্যাটসম্যানদের জীবন বিষিয়ে তোলা পাকিস্তান ফাস্ট বোলার কথাবার্তাতেও ঝড় তোলেন নিয়মিত। সেই ঝড় তুলতে গিয়েই এবার বিপদে পড়েছেন সাবেক এই ক্রিকেটার। তাঁর কথায় ‘অপমানিত’ হয়ে ১০০ কোটি রুপির মানহানি মামলার হুমকি দিয়েছেন পাকিস্তানের এক টিভি উপস্থাপক ও ক্রীড়া সাংবাদিক।
২৫ মে প্রচারিত তামাশা নামের একটি অনুষ্ঠানে ডক্টর নোমান নিয়াজ নামের সেই টিভি উপস্থাপককে নিয়ে কথা বলেন পিন্ডি এক্সপ্রেস। সেই অনুষ্ঠানে দ্য ডাগআউট নামের একটি অংশ আছে। সেখানে শোয়েব কোনো এক প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই যে ডক্টর নোমান নিয়াজ, সে তো আমাদের ব্যাগ টানত। আমরা তাকে ওই কাজের জন্যই রেখেছিলাম।’
ব্যাপারটাকে হালকাভাবে নেননি নোমান নিয়াজ। শোয়েবের কথায় সম্মানহানি হয়েছে দাবি করে আইনি নোটিশও পাঠিয়েছেন। নোটিশে লেখা হয়েছে, ডক্টর নিয়াজের পেশাগত সম্মানহানির জন্য অসত্য, বানোয়াট, অনৈতিক ও মানহানিকর কথা বলেছেন শোয়েব।
পাকিস্তানের হয়ে ৪৬টি টেস্ট, ১৬৩টি ওয়ানডে ও ১৫টি টি–টোয়েন্টি খেলেছেন শোয়েব আখতার.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঐক্য অটুট রাখা জরুরি, ফ্যাসিবাদ ফিরে এলে কেউই রেহাই পাবে না: এবি পার্টি
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, জুলাইয়ের পক্ষের শক্তিদের আত্মঘাতী সংঘাতে জড়ানোর সুযোগ নেই। মত ও পথ ভিন্ন হতে পারে, সমালোচনাও হবে, তবে ফ্যাসিবাদের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে ঐক্য অটুট রাখা জরুরি। কারণ, ফ্যাসিবাদ ফিরে এলে জুলাই আন্দোলনের পক্ষে থাকা কেউই রেহাই পাবে না।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে দলীয় কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে জুলাই–২৪ গণ–অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানেই মজিবুর রহমান এ কথাগুলো বলেন।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘যদি জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সফল না হতো তাহলে আমাদের কারাগারে কাটাতে হতো, নেমে আসত অবর্ণনীয় নির্যাতন। যেসব পুলিশ কর্মকর্তা লাশের স্তূপ তৈরি করেছিল, তারা পেত রাষ্ট্রীয় খেতাব।’
গণ-অভ্যুত্থান ছাত্র-জনতাসহ রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের ফলেই সফল হয়েছে জানিয়ে মজিবুর রহমান বলেন, সবার অবদানকেই স্বীকৃতি দিতে হবে। এটা নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই। অনেক কিছুই পাইনি। তবে স্বাধীনভাবে যে কথা বলছি, লিখছি, বক্তব্য দিচ্ছি, সেটা গণ-অভ্যুত্থানেরই ফসল।
সংবর্ধনা পাওয়া জুলাই যোদ্ধা আসিফ বলেন, ‘আমার পায়ে বন্দুক ঠেকিয়ে পুলিশ গুলি করেছে। মনে হচ্ছিল মৃত্যু উপত্যকায় পড়ে আছি। এবি যুব পার্টির আহ্বায়ক টুটুল ভাই আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।’
আরেক জুলাই যোদ্ধা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘১৮ জুলাই আমি ছিলাম ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে। পুলিশ ছিল দুই পাশে। আমরা ছিলাম ৬ জন। কিন্তু তারা (পুলিশ) ছিল ৮৬ জন। ওই দিন জীবিত ফিরব কখনো কল্পনা করিনি।’
অনুষ্ঠানে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আতিকুর রহমান, রহমত উল্লাহ, অধ্যাপক হুমায়ুন কবির, শাখাওয়াত হোসেন, আকিব হাসান, আশরাফুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, হেদায়েত উল্লাহ, রোমান মিয়া, সিফায়েত হোসাইন, মোহাম্মদ হোসাইন আহমেদ, মোহাম্মদ আমিন, নাবিল, মুস্তাফিজ বিল্লাহ হাবিবী, হাবিবুর রহমান, ফয়েজ আকাশ, নুরুল হুদা, ইকবাল হোসেন, রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এবি পার্টির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব মিনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল। দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন এবি পার্টির নেতা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুব পার্টির সদস্যসচিব হাদিউজ্জামান খোকন প্রমুখ।