একসময় কুষ্টিয়ার মাঠ ছিল ধান, গম, ভুট্টা আর নানা সবজির সবুজে ছাওয়া। এখন সে জমিগুলোতে সারি সারি তামাক গাছ। দূর থেকে দেখলে মনে হবে কোনো নতুন সবুজ বিপ্লব। কিন্তু এই ‘সবুজ’ যেন এক বিষাক্ত আশ্রয়। জেলার দৌলতপুর, মিরপুর, ভেড়ামারা, খোকসা ও কুমারখালী উপজেলায় বাড়ছে তামাক চাষ। অর্থনৈতিক লাভের আশায় কৃষকরা দিন দিন ঝুঁকছেন এই ফসলের দিকে।
বিকল্প খাদ্য ফসল উৎপাদন ও বিপণন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং টেকসই ও পুষ্টিকর ফসল চাষে তামাক চাষিদের উৎসাহিত করতে বিশ্বজুড়ে তামাক মুক্ত দিবস পালিত হচ্ছে আজ। ‘তামাক নয়, খাদ্য ফলান’– এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে। তামাক উৎপাদনে কোম্পানির কূটকৌশল উন্মোচনও এবারের বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের একটি অন্যতম লক্ষ্য।
তামাক কোম্পানিগুলোর প্রলোভন, আগাম টাকা, কৃষি উপকরণ এবং নিয়মিত ‘সাপোর্ট’ কৃষকদের উৎসাহিত করছে লাভের ফাঁদে পা দিতে। কিন্তু এ লাভ যে কতটা ক্ষণস্থায়ী, তা তুলে ধরেছেন কৃষি ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। বিস্তৃতভাবে তামাক চাষের প্রভাব পড়ছে সমাজেও। অভিভাবকদের অভিযোগ, তামাকজাত দ্রব্য বাজারে সহজলভ্য হওয়ায় তরুণদের ধূমপানের প্রবণতা বেড়েছে। এই বিষাক্ত অভ্যাস এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা জিইয়ে রাখছে। পরিবেশগত দিক থেকেও তামাক একটি বিপজ্জনক ফসল। তামাক শুকাতে বনজ কাঠ ব্যবহারের ফলে বন উজাড় হচ্ছে। জমির জৈব গুণ নষ্ট হচ্ছে। সব মিলিয়ে এটি জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
বাংলাদেশের আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ কম হলেও তামাক চাষে ব্যবহৃত মোট জমির পরিমাণে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম। বিশ্বের মোট তামাকের ১.
তামাকের মোহে কৃষকসমাজ আপাতত লাভের মুখ দেখলেও ভবিষ্যৎ যে কতটা অন্ধকার, তার ইঙ্গিত মিলছে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্যে। কুষ্টিয়ার মতো একটি কৃষিনির্ভর অঞ্চলে এমন বিপজ্জনক চাষাবাদের বিস্তার শুধু অর্থনীতি নয়, স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও সমাজের জন্যও এক গভীর হুমকি।
জেলাটির কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘তামাক একটি উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন ক্যাশ ক্রপ হলেও এটি মাটি থেকে প্রচুর পুষ্টি শোষণ করে নেয়। ফলে পরবর্তী মৌসুমে ফসল চাষে সমস্যা হয়। আমরা বিভিন্নভাবে কৃষকদের মসলা, সূর্যমুখী, তরমুজ বা রপ্তানিযোগ্য সবজি চাষে উৎসাহ দিচ্ছি। কিন্তু তামাক কোম্পানিগুলোর প্রভাব, আগাম অর্থ ও নিশ্চয়তা কৃষকদের বিকল্প পথ নিতে দিচ্ছে না।’
শুধু জমি নয়, তামাক চাষ হুমকি তৈরি করছে মানবস্বাস্থ্যেও। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের এক চিকিৎসকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, তামাক শুকানোর সময় যে ধোঁয়া ও গন্ধ ছড়ায়, তা শিশুদের শ্বাসযন্ত্রে সমস্যা তৈরি করে। তা ছাড়া চাষে ব্যবহৃত রাসায়নিক ত্বক ও শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য ক্ষতিকর।
এ বিষয়ে কৃষকরা বলছেন ভিন্ন কথা। দৌলতপুর উপজেলার কৃষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘তামাকে যা লাভ হয়, ধানে তার এক-তৃতীয়াংশও হয় না। কোম্পানির লোকজন মাঠে আসে, সাপোর্ট দেয়, টাকা আগেই দেয়। ফলে তামাকই আমাদের ভরসা।’
একই অভিজ্ঞতা কুষ্টিয়ার মিরপুরের কৃষক রহিম উদ্দিনের। তিনি বলেন, তামাক এখন লাভের ফসল। আগের বছর পাঁচ বিঘা জমিতে তামাক করে যে টাকা পাইছি, ধানে তার অর্ধেকও হইত না।
এবারের তামাক মুক্ত দিবসে
তামাক ব্যবহারের প্রাদুর্ভাব ও মানব স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাবের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিশ্ব তামাক দিবসে দেশজুড়ে ক্রমবর্ধমান তামাক চাষ পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনার আহ্বান এখন সব মহলের।
সাধারণ সম্পাদক সুহৃদ সমাবেশ, কুষ্টিয়া
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স হ দ সম ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
এক নজরে বাংলাদেশের ৫৩টি জাতীয় বাজেট
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট পেশ করবেন। আজ সোমবার বিকেল ৩টায় অর্থ উপদেষ্টা বাজেট উপস্থাপন করবেন। এটি হবে দেশের ৫৪তম বাজেট।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট। সংসদ না থাকায় ভিন্ন আঙ্গিকে পেশ হবে এবারের বাজেট। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বিটিভিসহ অন্যান্য বেসরকারি টেলিভিশনে তাঁর বক্তব্য একযোগে প্রচার করা হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে চলতি বাজেটের চেয়েও ছোট বাজেট দেওয়া হবে। আগামী ২০২৫–২৬ অর্থবছর সরকারি ব্যয় ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা চলতি বাজেটের চেয়ে ৭ হাজার কোটি টাকা কম।
এর আগে সংসদের বাইরে বাজেট দেওয়া হয়েছিল ২০০৮ সালে। তখন ক্ষমতায় ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ওই বছরের ৯ জুন তখনকার অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম ২০০৮-০৯ অর্থবছরের জন্য ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিলেন। সেদিনও ছিল সোমবার। বেলা ৩টায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সম্প্রচার করা হয়েছিল মির্জ্জা আজিজুল ইসলামের বাজেট বক্তব্য।
এবার সংসদ না থাকায় সংসদের আলোচনা বা বিতর্কের কোনো সুযোগ থাকছে না। তবে বাজেট ঘোষণার পর প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর নাগরিকদের নিকট মতামত চাইবে অর্থ মন্ত্রণালয়। মতামতের ভিত্তিতে তা চূড়ান্ত করা হবে। এরপর আগামী ২৩ জুনের পর যেকোনো একদিন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন নিয়ে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে তা আগামী এক জুলাই থেকে কার্যকর করা হবে।
স্বাধীনতা-পরবর্তী সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দিন আহমেদ ১৯৭২ সালে দেশের প্রথম বাজেট পেশ করেন। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের এই বাজেট হবে বর্তমান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের প্রথম বাজেট। তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
নিচে ক্রমানুসারে বাংলাদেশের ৫৩টি জাতীয় বাজেট এক নজরে তুলে ধরা হলো। এখানে বাজেটের পরিমাণ ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বরাদ্দ উল্লেখ করা হয়েছে।
অর্থবছর-উপস্থাপক-মোট বাজেট-বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি):
১৯৭২-৭৩- তাজউদ্দিন আহমেদ- ৭৮৬ কোটি টাকা - ৫০১ কোটি টাকা।
১৯৭৩-৭৪- তাজউদ্দিন আহমেদ- ৯৯৫ কোটি টাকা - ৫২৫ কোটি টাকা।
১৯৭৪-৭৫- তাজউদ্দিন আহমেদ- ১ হাজার ৮৪ কোটি টাকা - ৫২৫ কোটি টাকা।
১৯৭৫-৭৬- ড. আজিজুর রহমান মল্লিক- ১ হাজার ৫৪৯ কোটি টাকা - ৯৫০ কোটি টাকা।
১৯৭৬-৭৭- মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান- ১ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা - ১ হাজার ২২২ কোটি টাকা।
১৯৭৭-৭৮- লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান- ২ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা - ১ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা।
১৯৭৮-৭৯- প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান- ২ হাজার ৪৯৯ কোটি টাকা - ১ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা।
১৯৭৯-৮০- ড. এম এন হুদা- ৩ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা - ২ হাজার ১২৩ কোটি টাকা।
১৯৮০-৮১ এম সাইফুর রহমান- ৪ হাজার ১০৮ কোটি টাকা - ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
১৯৮১-৮২- এম সাইফুর রহমান- ৪ হাজার ৬৭৭ কোটি- ৩ হাজার ১৫ কোটি টাকা।
১৯৮২-৮৩- এ এম এ মুহিত- ৪ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা - ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
১৯৮৩-৮৪- এ এম এ মুহিত- ৫ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা - ৩ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা।
১৯৮৪-৮৫- এম সাইয়েদুজ্জামান- ৬ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা - ৩ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা।
১৯৮৫-৮৬- এম সাইয়েদুজ্জামান- ৭ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা - ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা।
১৯৮৬-৮৭- এম সাইয়েদুজ্জামান- ৮ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা - ৪ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা।
১৯৮৭-৮৮- এম সাইয়েদুজ্জামান- ৮ হাজার ৫২৭ কোটি টাকা - ৫ হাজার ৪৬ কোটি টাকা।
১৯৮৮-৮৯- মেজর জেনারেল মুনিম- ১০ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা - ৫ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা।
১৯৮৯-৯০- ড. ওয়াহিদুল হক- ১২ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা - ৫ হাজার ৮০৩ কোটি টাকা।
১৯৯০-৯১- মেজর জেনারেল মুনিম- ১২ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা - ৫ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা।
১৯৯১-৯২- এম সাইফুর রহমান- ১৫ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা - ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
১৯৯২-৯৩- এম সাইফুর রহমান- ১৭ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা - ৯ হাজার ৫৭ কোটি টাকা।
১৯৯৩-৯৪- এম সাইফুর রহমান- ১৯ হাজার ৫০ কোটি টাকা - ৯ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।
১৯৯৪-৯৫- এম সাইফুর রহমান- ২০ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা - ১১ হাজার কোটি টাকা।
১৯৯৫-৯৬- এম সাইফুর রহমান- ২৩ হাজার ১৭০ কোটি টাকা- ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
১৯৯৬-৯৭- শাহ এ এম এস কিবরিয়া - ২৪ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা - ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
১৯৯৭-৯৮- শাহ এ এম এস কিবরিয়া - ২৭ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা - ১২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।
১৯৯৮-৯৯- শাহ এ এম এস কিবরিয়া - ২৯ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা - ১৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
১৯৯৯-২০০০- শাহ এ এম এস কিবরিয়া - ৩৪ হাজার ২৫২ কোটি টাকা - ১২ হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা।
২০০০-০১- শাহ এ এম এস কিবরিয়া - ৩৮ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা- ১৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
২০০১-০২- শাহ এ এম এস কিবরিয়া - ৪২ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা - ১৯ হাজার কোটি টাকা।
২০০২-০৩- এম সাইফুর রহমান- ৪৪ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা- ১৯ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
২০০৩-০৪- এম সাইফুর রহমান- ৫১ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা- ২০ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
২০০৪-০৫- এম সাইফুর রহমান- ৫৭ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা- ২২ হাজার কোটি টাকা।
২০০৫-০৬- এম সাইফুর রহমান- ৬১ হাজার ৫৮ কোটি টাকা- ২৩ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা।
২০০৬-০৭- এম সাইফুর রহমান- ৬৯ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা- ২৬ হাজার কোটি টাকা।
২০০৭-০৮- মির্জা আজিজুল ইসলাম- ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা- ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
২০০৮-০৯- মির্জা আজিজুল ইসলাম- ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা- ২৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
২০০৯-১০- এ এম এ মুহিত- ১ লাখ ১৩ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা- ২৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
২০১০-১১- এ এম এ মুহিত- ১ লাখ ৩২ হাজার ১৭০ কোটি টাকা- ৩৫ হাজার ১৩০ কোটি টাকা।
২০১১-১২- এ এম এ মুহিত- ১ লাখ ৬১ হাজার ২১৪ কোটি টাকা- ৪১ হাজার ৮০ কোটি টাকা।
২০১২-১৩- এ এম এ মুহিত- ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা- ৫২ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা।
২০১৩-১৪- এ এম এ মুহিত- ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা- ৬০ হাজার কোটি টাকা।
২০১৪-১৫- এ এম এ মুহিত- ২ লাখ ৫০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা- ৭৫ হাজার কোটি টাকা।
২০১৫-১৬- এ এম এ মুহিত- ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা- ৯৩ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা।
২০১৬-১৭- এ এম এ মুহিত- ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা- ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
২০১৭-১৮- এ এম এ মুহিত- ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা- ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৮১ কোটি টাকা।
২০১৮-১৯- এ এম এ মুহিত- ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা- ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা।
২০১৯-২০- আ হ ম মুস্তফা কামাল- ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা- ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা।
২০২০-২১- আ হ ম মুস্তফা কামাল- ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা- ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।
২০২১-২২- আ হ ম মুস্তফা কামাল- ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা- ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা।
২০২২-২৩- আ হ ম মুস্তফা কামাল- ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা- ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা।
২০২৩-২৪- আ হ ম মুস্তফা কামাল- ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা- ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা।
২০২৪-২৫- এ এইচ মাহমুদ আলী- ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা- ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা।
তারপর আওয়ামী লীগের চার মেয়াদে সাড়ে ১৫ বছরে আবুল মাল আবদুল মুহিত টানা ১০ বার, আ হ ম মুস্তফা কামাল পাঁচবার এবং আবুল হাসান মাহমুদ আলী একবার জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করেন।
নির্বাচিত সরকারের আমলের এসব বাজেট জাতীয় সংসদেই উপস্থাপন করা হয়। পরে মাসজুড়ে সেই প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনা হত সংসদে। জুন মাসের শেষ দিকে সংসদে পাস হত নতুন অর্থবছরের বাজেট।