টানা দুইদিনের বৃষ্টিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস পানিতে প্লাবিত হয়ে যায়। পানি প্রবেশ করে পরীক্ষার হলেও। এ অবস্থায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় এ কলেজ কেন্দ্রে অংশ নিয়েছেন প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে বাধ্য হয়ে পানিতে পা রেখেই পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন।

শনিবার কলেজের ধর্মপুর ক্যাম্পাসের ডিগ্রি শাখায় গিয়ে এমন দুর্ভোগের চিত্র দেখা যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়া পরীক্ষার্থী ও তাদের সঙ্গে আসা অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতার সমস্যা রাতারাতি নিরসন সম্ভব নয়। 

ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়- কলা ভবন, বিজ্ঞান ভবন-১, বিজ্ঞান ভবন-২, মিলিনিয়াম ভবন ও অর্থনীতি ভবনের নিচতলায় ১৫টিরও বেশি কক্ষে পানিতে থৈ থৈ করছে। এর মাঝেই বসে পরীক্ষা দিয়েছেন ৫ শতাধিক পরীক্ষার্থী। এছাড়াও কলেজের প্রধান ফটক, অশোকতলা রেলগেট এলাকা ও ধর্মপুরের তিনটি ফটকেই হাঁটু পানি মাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজের একাধিক শিক্ষক বলেন, ভিক্টোরিয়া কলেজের জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিনের। ক্যাম্পাস নিচু হওয়ায় এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় ক্যাম্পাসের আশপাশের এলাকায় পানি চলে এসেছে। আজ স্নাতক ভর্তি পরীক্ষায় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে ভবনের নিচ তলায় আসন থাকা ৫ শতাধিক পরীক্ষার্থী ও শিক্ষাকরা জলাবদ্ধতার কারণে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন।

দেবিদ্বার থেকে আসা তানিয়া আক্তার ও সামিয়া আক্তার বলেন, পরীক্ষা দিতে এসে জলাবদ্ধতার চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। কলা ভবনের নিচ তলায় একটি কক্ষে আমার সিট পড়েছে। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো রুমের মধ্যে পানি। সেই পানিতে বসেই পরীক্ষা দিতে হয়েছে।

চৌদ্দগ্রাম থেকে আসা পরীক্ষার্থী আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, দেশের প্রাচীন কয়েকটি সরকারি কলেজের মধ্যে ভিক্টোরিয়া অন্যতম। আজ প্রথম এসেই দেখি, পুরো ক্যাম্পাস পানিতে থৈ থৈ করছে। 

কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো.

আবুল বাশার ভূঁঞা সমকালকে বলেন, কলেজের জলাবদ্ধতার সমস্যা দীর্ঘদিনের। এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে একাধিক পরিকল্পনা শিক্ষা প্রকৌশল অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। প্ল্যান পাস ও সরকারি অর্থ বরাদ্দ পেলে ক্যাম্পাস উঁচুকরণ, ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নত এবং বাইরে থেকে পানি না ঢুকতে দেয়াল দেওয়া হবে। কাজ শেষ হলে আশা করি জলাবদ্ধতার ভোগান্তি আর থাকবে না।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ক ষ র থ কল জ র

এছাড়াও পড়ুন:

হলভর্তি পানির মধ্যেই পরীক্ষা দিলেন শিক্ষার্থীরা

টানা দুইদিনের বৃষ্টিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস পানিতে প্লাবিত হয়ে যায়। পানি প্রবেশ করে পরীক্ষার হলেও। এ অবস্থায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় এ কলেজ কেন্দ্রে অংশ নিয়েছেন প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে বাধ্য হয়ে পানিতে পা রেখেই পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন।

শনিবার কলেজের ধর্মপুর ক্যাম্পাসের ডিগ্রি শাখায় গিয়ে এমন দুর্ভোগের চিত্র দেখা যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়া পরীক্ষার্থী ও তাদের সঙ্গে আসা অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতার সমস্যা রাতারাতি নিরসন সম্ভব নয়। 

ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়- কলা ভবন, বিজ্ঞান ভবন-১, বিজ্ঞান ভবন-২, মিলিনিয়াম ভবন ও অর্থনীতি ভবনের নিচতলায় ১৫টিরও বেশি কক্ষে পানিতে থৈ থৈ করছে। এর মাঝেই বসে পরীক্ষা দিয়েছেন ৫ শতাধিক পরীক্ষার্থী। এছাড়াও কলেজের প্রধান ফটক, অশোকতলা রেলগেট এলাকা ও ধর্মপুরের তিনটি ফটকেই হাঁটু পানি মাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজের একাধিক শিক্ষক বলেন, ভিক্টোরিয়া কলেজের জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিনের। ক্যাম্পাস নিচু হওয়ায় এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় ক্যাম্পাসের আশপাশের এলাকায় পানি চলে এসেছে। আজ স্নাতক ভর্তি পরীক্ষায় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে ভবনের নিচ তলায় আসন থাকা ৫ শতাধিক পরীক্ষার্থী ও শিক্ষাকরা জলাবদ্ধতার কারণে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন।

দেবিদ্বার থেকে আসা তানিয়া আক্তার ও সামিয়া আক্তার বলেন, পরীক্ষা দিতে এসে জলাবদ্ধতার চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। কলা ভবনের নিচ তলায় একটি কক্ষে আমার সিট পড়েছে। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো রুমের মধ্যে পানি। সেই পানিতে বসেই পরীক্ষা দিতে হয়েছে।

চৌদ্দগ্রাম থেকে আসা পরীক্ষার্থী আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, দেশের প্রাচীন কয়েকটি সরকারি কলেজের মধ্যে ভিক্টোরিয়া অন্যতম। আজ প্রথম এসেই দেখি, পুরো ক্যাম্পাস পানিতে থৈ থৈ করছে। 

কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল বাশার ভূঁঞা সমকালকে বলেন, কলেজের জলাবদ্ধতার সমস্যা দীর্ঘদিনের। এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে একাধিক পরিকল্পনা শিক্ষা প্রকৌশল অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। প্ল্যান পাস ও সরকারি অর্থ বরাদ্দ পেলে ক্যাম্পাস উঁচুকরণ, ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নত এবং বাইরে থেকে পানি না ঢুকতে দেয়াল দেওয়া হবে। কাজ শেষ হলে আশা করি জলাবদ্ধতার ভোগান্তি আর থাকবে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ