ইকোনমিকস অলিম্পিয়াডে ক্ষুদ্র ঋণে দারিদ্র্য দূর করার প্রত্যয়
Published: 31st, May 2025 GMT
‘অর্থনীতি শিক্ষা, দেশ গড়ার দীক্ষা’– এই প্রতিপাদ্যে গত শুক্রবার চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ ইকোনমিক্স অলিম্পিয়াডের জাতীয় পর্ব। এতে চট্টগ্রামে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০০ শিক্ষার্থী অংশ নেন। ক্ষুদ্র ঋণে দেশের দারিদ্র্য দূর করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন অংশগ্রহণকারীরা।
অলিম্পিয়াডে স্কুল-কলেজ বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেন ঢাকার মাস্টারমাইন্ড স্কুলের সুহা আহসান, দ্বিতীয় হন গ্রিনহেরাল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের তানভীর ইসলাম, তৃতীয় হন প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের মিসবা জাকারিয়া। বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগে প্রথম হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এম আবির হাসান, দ্বিতীয় হন চবির জোনায়েদ সামী, তৃতীয় হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাতিন ইলহাম।
প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে অনলাইনে আঞ্চলিক বাছাই পর্ব শেষ করে নির্বাচিত ৩০০ শিক্ষার্থী নিয়ে হয় জাতীয় পর্বটি। বৃষ্টিমুখর সকালে চট্টগ্রাম কলেজে শুরু হয় অলিম্পিয়াড পর্ব। ৩০০ শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়– এ দুই ভাগে আলাদা করে পুরস্কার দেওয়া হয়।
অলিম্পিয়াড শেষে ছিল আলোচনা অনুষ্ঠান ও প্রশ্নোত্তর পর্ব। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম। তিনি অর্থনীতিবিষয়ক এ ধরনের অনুষ্ঠানকে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে তরুণ প্রজন্মকে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘তরুণ প্রজন্ম অর্থনীতি নিয়ে ভাবলে দেশ সমৃদ্ধ।’
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, ‘অলিম্পিয়াড হলো তাত্ত্বিক পড়াশোনা আর বাস্তবিক প্রয়োগের মাঝে যোগসূত্র তৈরির মাধ্যম। অলিম্পিয়াডে যারা অংশগ্রহণ করেন তাদের জীবনবোধ ও বাস্তবিক জ্ঞান অন্যদের চেয়ে ভালো হয়।’
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইকোনমিক্স অলিম্পিয়াডের চেয়ারম্যান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড.
স্কুল-কলেজ পর্যায়ে বিজয়ীরা ন্যাশনাল ক্যাম্পে অংশ নেবেন, সেখান থেকে নির্বাচিতরা যাবেন আজারবাইজানের বাকুতে ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিকস অলিম্পিয়াডে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অল ম প য় ড র স ক ল কল জ অন ষ ঠ ন ত য় হন
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।