দুধ শুধু পণ্য নয়, আমাদের সংস্কৃতির অংশ: উপদেষ্টা ফরিদা
Published: 1st, June 2025 GMT
দুধ কেবল একটি পুষ্টিকর খাদ্য নয়, এটি বাঙালির সংস্কৃতিরও অংশ—এ কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, আমাদের মায়েরা আজও বলেন, আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে। তাই দুধকে শুধু পণ্য হিসেবে দেখলেই হবে না।
রোববার সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (কেআইবি) বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফরিদা আখতার বলেন, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনে দেশীয় সক্ষমতা বাড়াতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। প্রাণিসম্পদ খাতে আরও বেশি প্রণোদনার সুযোগ ও প্রয়োজনীয় সহায়তা বিবেচনা করছে সরকার।
সেমিনারে উপদেষ্টা বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধারা কিছুদিন আগেও কর্মক্ষম ছিলেন। তারা যাতে আহত হয়ে সমাজের মূল স্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন না হয়ে পড়েন, সেজন্য প্রাণিসম্পদ খাতে তাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিতে হবে।
উপদেষ্টা জানান, একটি দৈনিক পত্রিকার প্রতিবেদনে তিনি দেখেছেন, দেশে প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার টন গুঁড়ো দুধ আমদানি করতে হয়। এতে ব্যয় হয় প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। তিনি বলেন, ‘যদি সরকার কৃষি খাতে ভর্তুকি দিতে পারে, তবে খামারিদের ক্ষেত্রেও ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব। এতে একদিকে আমদানি ব্যয় কমবে, অন্যদিকে খামারিরা লাভবান হবেন।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে মহিষের দুধের উৎপাদন বেশি হলেও আমাদের দেশেও এই খাতে সম্ভাবনা রয়েছে। ছাগলের দুধে রয়েছে ওষুধি গুণ। এগুলো কাজে লাগিয়ে দেশে দুধ উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে সরকার পরিকল্পনা নিচ্ছে।
এর আগে সকালে রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শাখার শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুধ বিতরণের মাধ্যমে দিবসটির সূচনা করেন উপদেষ্টা। পরে তিনি র্যালিতে অংশ নেন।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড.
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. খালেদা ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রায়হান হাবিব ও ড. আরিফুল ইসলাম।
আয়োজকেরা জানান, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য জনপ্রিয় করা, খাতে বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং উন্নয়নে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে প্রতিবছর দেশে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালন করা হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট উপদ ষ ট আম দ র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া’
ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীনন্দা শঙ্কর। সৃজিত মুখার্জির ‘এক যে ছিল রাজা’, সুমন ঘোষের ‘বসুপরিবার’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই তারকা। বলা যায়, টলিউডের প্রথম সারির সব নির্মাতার সঙ্গেই কাজ করেছেন এই নৃত্যশিল্পী।
গত কয়েক বছর ধরে কলকাতা ছেড়ে মুম্বাইয়ে বসবাস করছেন শ্রীনন্দা। সেখানে সংসার, কাজ নিয়ে সময় কাটছে তার। তবে অভিনয়ে নেই। অভিনয় থেকে দূরে থাকার কারণ কী? ফের কী অভিনয়ে ফিরবেন না শ্রীনন্দা?
ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে আলাপকালে এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন শ্রীনন্দা। এ অভিনেত্রী বলেন, “টলিউডে যাদের সঙ্গেই কাজ করেছি, তাদের সঙ্গে এখনো আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ভীষণ ভালো অভিজ্ঞতাও বলা চলে। মুশকিল হলো, বাংলা সিনেমায় তেমন বাজেট থাকে না। সত্যিই যদি খুব ভালো সিনেমা হয় বা এমন কোনো পরিচালক আমাকে অফার দেন যেখানে কোনো ভাবেই ‘না’ করব না। আমি নিশ্চয়ই আবার অভিনয়ে ফিরব।”
আরো পড়ুন:
কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অভিনেত্রী
পরিচালকের আপত্তিকর মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন শোলাঙ্কি
কিছু কিছু লোকের সঙ্গে কাজ করতে গিয়েও মাঝপথে থেমে গিয়েছেন শ্রীনন্দা। কারণ, তাদের সঙ্গে মানসিকভাবে মেলেনি। তার ভাষায়—“মুম্বাই, কলকাতা বা সাউথ ইন্ডাস্ট্রি যেখানেই হোক না কেন, আমি ভালো মানুষের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কেউ এমন চরিত্রে সুযোগ দেন, যেখানে প্রয়োজনে টাকাটা ভুলে গিয়ে শুধু পরিচালকের নাম দেখেই কাজটা করব।”
কিছুটা ইঙ্গিপূর্ণভাবে শ্রীনন্দা বলেন, “কাজের পাশাপাশি আমার সংসারও রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই পেতে হবে, যার জন্য সংসারটা ইগনোর করার কথা ভাবব। অর্থাৎ মনে হবে সংসার ফেলে এই সিনেমাটা আমাকে করতেই হবে। এই বয়েসে একটু কফি খেতে যাবেন? কাজ দেবেন? এগুলো করতে পারব না। সবাই তো চেনেই আমাকে। কাজ দিতে হলে দেবেন।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব শ্রীনন্দা। অনেকে ভেবেছিলেন, এ মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করে থাকেন। তাদের উদ্দেশে শ্রীনন্দা বলেন, “অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা এটাও আমার পেশা। এখান থেকে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। আমি নিজেও আগে বিষয়টা জানতাম না। পোস্ট করতে করতে বুঝেছি। আমি এখন মুম্বাইয়ে মায়ের সঙ্গে পুরোদমে নাচের স্কুল চালাচ্ছি। এখন মোট ছয়টা ব্রাঞ্চ এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। সব মিলিয়ে ভালো আছি।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের শিকার হন শ্রীনন্দা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগে আমাকে একজন বলেছিলেন, ‘রিল মামনি’। আমি আর মা এটা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়েছি। মাঝেমধ্যে এসব বেশ মজাও লাগে। তবে যে পরিমাণ ভালোবাসা পাচ্ছি, সেটা খুব মন থেকেই ভক্তরা দিচ্ছেন বলে আমার বিশ্বাস। আমি মনে করি, এটা আমার জীবনে আশীর্বাদ।”
ঢাকা/শান্ত