পাকিস্তানের বিপক্ষে আরেকটি বাজে পারফরম্যান্স। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতেও লড়াই করতে পারল না বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের কাছে ৭ উইকেটে হেরে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগাররা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর পাকিস্তান সফর মিলিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ হারল বাংলাদেশ।
লাহোরে সিরিজের শেষ ম্যাচে ১৯৬ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে এটিই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় রান। তবে সেই রানও যথেষ্ট হয়নি মোহাম্মদ হারিসের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের সামনে। ১৭ ম্যাচের ক্যারিয়ারে প্রথম ফিফটিকেই তিন অঙ্কে রূপ দিলেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান। ৪৬ বলে ৮ চার ও ৭ ছক্কায় গড়া ১০৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ১৬ বল হাতে রেখেই দলকে জেতান তিনি। তার আগে ওপেনার সাইম আইয়ুব করেন ২৯ বলে ৪৫ রান।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিম ১০.
দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর বড় কোনো জুটি গড়তে পারেননি লিটন দাস, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদি হাসান মিরাজ ও জাকের আলীরা। আর তাতে দুইশো রানের আগেই ইনিংস থামে বাংলাদেশের। ১৮ বলে ২৫ করেন হৃদয়, লিটনের ব্যাটে আসে ১৮ বলে ২২, আর জাকের অপরাজিত থাকেন ৯ বলে ১৫ রানে।
পাকিস্তানের হয়ে হাসান আলী ও আব্বাস আফ্রিদি নেন দুটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন ফাহিম আশরাফ ও সাদাব খান।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
৪২ বছর পর নিউ জিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ ইংল্যান্ড
১৯৮৩ সাল আবার মনে করাল ইংল্যান্ড। নিউ জিল্যান্ডে গিয়ে সেবার ইংল্যান্ড ৩-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল। ৪২ বছর পর একই অভিজ্ঞতা হলো এবার তাদের।
আগেই সিরিজ নিশ্চিত করা নিউ জিল্যান্ড এবার আরো চেপে ধরেছিল ইংল্যান্ডকে। তবুও লড়াই করে ওয়েলিংটনে অতিথিরা ২২২ রানের পুঁজি পায়। হোয়াইটওয়াশের মিশনে থাকা নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটিং তেমন ভালো হয়নি। লো স্কোরিং ম্যাচ জমে উঠে। শেষ পর্যন্ত ৪৪.৪ ওভারে হাতে ২ উইকেট রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কিউইরা। ১৯৮৩ সালের পর প্রথম নিউ জিল্যান্ড ইংল্যান্ডকে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ করল।
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ইংল্যান্ড চরম বিপর্যয়ে পড়ে। ৯৭ রানে ৬ উইকেট হারায় তারা। ১০২ রানে তাদের শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান জস বাটলার (৩৮) আউট হন। তখন ধারণা করা হচ্ছিল অল্পতেই গুটিয়ে যাবে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
কিন্তু সেখানে ঢাল হয়ে দাঁড়ান ব্রাইডন চার্স ও জেমি ওভারটন। দুজন ৫৮ রানের জুটি গড়েন। যেখানে ব্রাইডন আক্রমণাত্মক ক্রিকেট উপহার দিয়ে ৪ ছক্কা ও ১ চারে ৩০ বলে ৩৬ রান করেন। ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের জুটি আসে তাদের ব্যাটেই।
শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ওভারটন আউট হন ৪১তম ওভারে। ৬২ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৬৮ রান করেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এর আগে জেমি স্মিথ (৫), বেন ডাকেট (৮), জো রুট (২) ও হ্যারি ব্রুক (৬) দ্রুত আউট হন। দলের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেন পাঁচ নম্বরে নামা জ্যাকব মিচেল। তবুও ১১ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
নিউ জিল্যান্ডের বোলিং ছিল নিয়ন্ত্রিত। ৬৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা ছিলেন ব্লায়ার টিকনার। ৩ উইকেট পেয়েছেন জ্যাকব টাফি। ২টি পেয়েছেন জ্যাক ফলকস।
জবাব দিতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৭৮ রান পায় কিউইরা। ডেভন কনওয়ে ৩৪ ও রাচীন রাভিন্দ্রা ৪৬ রান করেন। এরপর ছন্দ হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় স্বাগতিকরা। কিন্তু ডার্ল মিচেলের অনবদ্য ৪৪ ও শেষ দিকে মিচেল স্টানারের ২৭ রানে নিউ জিল্যান্ড লড়াইয়ে ফেরে। শেষ দিকে জ্যাক ফলকসের ১৪ ও ব্লায়ার টিকনারের ১৮ রানে নিউ জিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত হয়।
ইংলিশদের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন ওভারটন ও স্যাম কারান।
এই সিরিজে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং একটুও ভালো হয়নি। প্রথম ম্যাচে ২২৩ ও দ্বিতীয়টিতে ১৭৫ রানে গুটিয়ে যায়। নিউ জিল্যান্ড জয় পায় যথাক্রমে ৪ ও ৫ উইকেটে। শেষ ম্যাচে খানিকটা প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়লেও হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারেনি ইংল্যান্ড।
বল হাতে ৪ উইকেট ও ব্যাটিংয়ে ১৮ রান করে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন টিকনার। ১৭৮ রান করে সিরিজ সেরা ডার্ল মিচেল।
ঢাকা/ইয়াসিন