তরুণ ক্রিকেটার নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় টি-টোয়েন্টি দল চলছে, এমনটাই মনে করছেন প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। দলকে গুছিয়ে নেওয়ার জন্য সময় চাইলেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান এই কোচ। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ায় দলকে কাঠগড়ায় তুলতে চান না তিনি। বরং ভুলগুলো শুধরে পরবর্তী সিরিজের জন্য প্রস্তুত হতে চান।
কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়া ছাড়াই ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। সিমন্স যে দলটাকে তরুণ বলছেন, সেই দলের সবচেয়ে কম টি-টোয়েন্টি খেলা খেলোয়াড়ের ম্যাচ সংখ্যা দুই অঙ্ক পেরিয়ে গেছে। সবচেয়ে কম পারভেজ হোসেন ইমন (১২), আর সবচেয়ে বেশি লিটন কুমার দাস (১০১)। অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে রাখার সুযোগ নেই দলকে। তবুও অজুহাত দাঁড় করালেন সিমন্স, ‘‘যে কোনো সিরিজ হারই হতাশাজনক। আমরা যেখানে আছি, চেষ্টা করছি কিছু গড়ে তুলতে, কিছু ব্যাপার বদলাতে। দলে তরুণ ক্রিকেটার আছে বেশ কিছু। হতাশা আছে দলে, তবে ততটা নয়— থিতু একটা দল নিয়ে হারলে যতটা লাগত। এটা (সিরিজ হার) হতাশাজনক, তবে ততটা খারাপ নয়, যতটা গুছিয়ে নেওয়ার পর হারলে হতো।’’
বোলিংয়ে ঘাটতির কথা স্বীকার করেছেন কোচ, ‘‘মোস্তাফিজুর রহমানের মতো একজনের অভাব যে কোনো দলই অনুভব করত। বিশেষ করে, এই উইকেটে তার স্কিলের অভাববোধ হবেই। নাহিদ রানা তুলনামূলক তরুণ, মাত্রই টি-টোয়েন্টি দলে এসেছে। ততটা অভিজ্ঞ নয় এখনও। তবে ফিজ, তাসকিন ওদেরকে অবশ্যই মিস করেছে দল। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম ওভারে উঠে যেতে হলো মূল বোলারদের একজনকে (শরিফুল ইসলাম)। সেদিক থেকে আমাদের জন্য কঠিন সিরিজ ছিল।’’
আরো পড়ুন:
হোয়াইটওয়াশের পর লিটন বললেন, ‘আমরা ঘুরে দাঁড়াব’
পাকিস্তানের বাংলাদেশ সফরের সূচি চূড়ান্ত, সব ম্যাচ মিরপুরে
শেষ টি-টোয়েন্টিতে উদ্বোধনী জুটিতে তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেন ইমন ১১০ রান করেন। ওপেনিং জুটি নিয়ে আশার কথা শোনালেন সিমন্স, ‘‘সবচেয়ে ইতিবাচক হলো, আমরা চেষ্টা করছিলাম এই উদ্বোধনী জুটি কার্যকর করতে। আজ তারা দেখিয়েছে, একসঙ্গে কতটা বিধ্বংসী হতে পারে। আজ আমরা দেখেছি, ব্যাটিং ছিল প্রাণবন্ত, যেটা আমরা দেখতে চাই। অনেক কিছুই গুছিয়ে উঠছে।’’
বাংলাদেশ দলের পরবর্তী অ্যাসাইনমেন্ট শ্রীলঙ্কা সফর। সেখানে দুই দলের দুটি টেস্ট ও তিনটি করে টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে। কম সময়ে দ্রুত উন্নতি করতে চান সিমন্স, ‘‘অবশ্যই দ্রুত উন্নতি করতে চাই আমরা। সাদা বলের সিরিজের আগে দুটি টেস্ট ম্যাচ আছে শ্রীলঙ্কায়। সেই সিরিজ চলাকালে অন্য কাজও চলবে। উন্নতি তাই করতেই হবে।’’
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন স মন স সবচ য়
এছাড়াও পড়ুন:
এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
দ্বিতীয় বছরের মত কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের কোনো সিনেমাা বা তথ্যচিত্র দেখানো হচ্ছে না। সম্প্রতি কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব কমিটির তরফে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানানো হয়ছে। পরবর্তীতে কমিটির তরফে তাদের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে যে ছবি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে কোন ক্যাটাগরিতেই বাংলাদেশি সিনেমার নাম উল্লেখ নেই।
মূলত ভিসা জটিলতা এবং রাজনৈতিক কারণেই এই চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের উপস্থিতি থাকছে না।
বিষয়টি নিয়ে গত বছরই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের চেয়ারপার্সন পরিচালক গৌতম ঘোষ। সেসময় তাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। সেদেশে ভিসা সমস্যা রয়েছে। আর বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসতে অনেকটা সময় লাগবে। স্বাভাবিকভাবেই এই অবস্থায় চলচ্চিত্র উৎসবের তালিকায় বাংলাদেশের কোনো ছবি নেই। আমরা আশা করব চলচ্চিত্র উৎসবের পরবর্তী এডিশনের (৩১ তম) আগে প্রতিবেশী দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।”
কিন্তু এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও অবস্থার যে কোনো পরিবর্তন হয়নি তা চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের অনুপস্থিতির ঘটনাটাই পরিষ্কার।
যদিও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের জুরি কমিটির এক সদস্য বলেছেন, “আন্তর্জাতিক বিভাগে বাংলাদেশ থেকে শুধুমাত্র একটি ছবি জমা দেওয়া হয়েছিল। তানভীর চৌধুরীর ‘কাফ্ফারাহ’। কিন্তু দুঃখের বিষয় এটি আমাদের কাঙ্ক্ষিত মানদণ্ড পূরণ করতে পারেনি। ফলে চলচ্চিত্র উৎসবে এই ছবিটি জায়গা পায়নি।”
চলতি বছরের ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে ৩১ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এক সপ্তাহব্যাপী এই উৎসব চলবে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এই উৎসবে ৩৯ টি দেশের ২১৫ টি ছবি দেখানো হবে। ভারত ছাড়াও অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, পোল্যান্ড, বেলজিয়াম, ইতালি, ব্রাজিল, মরক্কো, অস্ট্রিয়া, তুরস্ক, বলিভিয়া, গুয়েতেমালা, শ্রীলংকা, চীন, জাপান, ইরান, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, ফিলিস্তিন, ইরাক, সৌদি আরব, মিশর, সুদান, লেবানন।
সুচরিতা/শাহেদ