পুঁজিবাজারে বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সাফকো স্পিনিং মিলস লিমিটেডের কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম গত বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে বন্ধ রয়েছে। কোম্পানিটির উৎপাদন কার্যক্রম আরো আড়াই মাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (২ জুন) ঢাকা স্টক একাসচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, আগামী ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সাফকো স্পিনিংয়ের কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত পবিত্র ঈদুল আজহার বন্ধ রয়েছে।

আরো পড়ুন:

সমন্বয় বাড়িয়ে আর্থিক বিবরণীর মানোন্নয়নে ৩ সংস্থাকে দিকনির্দেশনা

৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ: স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগে বিএসইসির স্পষ্টকরণ

কোম্পানিটি জানিয়েছে, দেশের বস্ত্রখাতের আর্থিক অবস্থায় বিদ্যমান অস্থিরতা, উদ্বেগ এবং স্থানীয় বাজারে কাঁচামালের উচ্চ মূল্যের কারণে কর্তৃপক্ষ কারখানার উৎপাদন আরো আড়াই মাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি সাফকো কর্তৃপক্ষ ডিএসইকে জানায়, কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ২ মাসের জন্য উৎপাদন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই বছরের জুন মাসে কোম্পানিটি জানিয়েছিল, ১ জুলাই তারা ফের উৎপাদন শুরু করবে। তবে বাস্তবে সেটি হয়নি। এর মধ্যে ডিএসইর একটি পরিদর্শক টিম কারখানা পরিদর্শন করে সেটি বন্ধ পেয়েছে। এ তথ্য ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশ ও প্রচার করা হয়েছে।

ঢাকা/এনটি/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বন ধ র খ র স দ ধ ন ত ন

এছাড়াও পড়ুন:

মানিলন্ডারিং সচেতনতা: ৮ ব্রোকার-মার্চেন্ট ব্যাংক পরিদর্শনের নির্দ

মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই-সিএসই) সদস্যভুক্ত ৭টি ব্রোকারেজ হাউজ এবং একটি মার্চেন্ট ব্যাংক পরিদর্শন করার নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ লক্ষ্যে দুই সদস্যের পৃথক ৮টি পরিদর্শন কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত পরিদর্শন কমিটিকে ২০ কার্যদিবসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ব্রোকারেজ হাউজগুলোর নাম হলো- রয়েল ক্যাপিটাল লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নম্বর- ২১), পিএইচপি স্টকস অ্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নম্বর- ২৩৫), এমটিবি সিকিউরিটিজ লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নম্বর- ১৯৭), পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নম্বর- ২৪৭), স্টক অ্যান্ড বন্ডস লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নম্বর- ১৯৯), পূরবী সিকিউরিটিজ লিমিটেড (সিএসই ট্রেক নম্বর- ৮৭) ও আল-মুনতাহা ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নম্বর- ৪৯)। আর মার্চেন্ট ব্যাংকের নাম হলো- লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

সম্প্রতি বিএসইসির মার্কেট অ্যান্ড ইন্টারমিডিয়ারিজ অ্যাফেয়ার্স ডিভিশন থেকে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা

আরো আড়াই মাস বন্ধ থাকবে সাফকো স্পিনিংয়ের উৎপাদন

জানা গেছে, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯ অনুযায়ী, মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর আইন ও বিধি দ্বারা নির্ধারিত দায়-দায়িত্ব পরিপালন, তদারকি, পুনর্মূল্যায়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক এএমএল/সিএফটি (অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং/কাউন্টার-টেরোরিজম ফাইন্যান্সিং) সিস্টেম চেক পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে। তারই অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

এছাড়া এএমএল/সিএফটি সিস্টেম চেক করার মধ্যে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধ এবং শনাক্ত করার জন্য তার নীতি, পদ্ধতি এবং নিয়ন্ত্রণগুলো কার্যকরভাবে বজায় রাখা হয়েছে কি-না তা যাচাই করা হবে। এই চেকটি প্রাসঙ্গিক প্রবিধানগুলোর সঙ্গে সম্মতি নিশ্চিত করে এবং এই আর্থিক অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলো প্রশমিত করতে সহায়তা করে।

গঠিত ৮টি পরিদর্শন কমিটিতে যারা রয়েছেন

রয়েল ক্যাপিটাল লিমিটেডের পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন-  বিএসইসির যুগ্ম পরিচালক সুলতানা পারভীন ও ডিএসই’র সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মো. রাজু আহমদে।

পিএইচপি স্টকস অ্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন- বিএসইসির সহকারী পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান ও  মো. মাহমুদুল হাসান।

এমটিবি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন- বিএসইসির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ও ডিএসইর ডেপুটি ম্যানেজার মো. আল আমিন।

পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন- বিএসইসির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ও ডিএসইর ডেপুটি ম্যানেজার মো. আল আমিন।

স্টক অ্যান্ড বন্ডস লিমিটেডের পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন- বিএসইসির সহকারী পরিচালক মিঠুন চন্দ্র নাথ ও ডিএসইর এক্সিকিউটিভ জামশেদুল ইসলাম।

পূরবী সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন- বিএসইসির সহকারী পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান ও আমিরুল ইসলাম।

আল-মুনতাহা ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেডের পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন-  বিএসইসির সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হানাস ও ডিএসইর সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মো. রাজু আহমদে।

লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন- বিএসইসির যুগ্ম পরিচালক সুলতানা পারভিন ও মো. আশরাফুল হাসান।

বিএসইসির পরিদর্শনের আদেশ

মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট রিপোর্ট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহে আইন ও বিধি দ্বারা নির্ধারিত দায়-দায়িত্বের পরিপালন তদারকি, পুনর্মূল্যায়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯ অনুযায়ী এএমএল/সিএফটি (অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং/কাউন্টার-টেরোরিজম ফাইন্যান্সিং) সিস্টেম চেক পরিদর্শন করা হয়ে থাকে। এরই প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান কার্যালয়ে ২০২৪ সালের ৩০ জুন ভিত্তিক এএমএল/সিএফটি (অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং/কাউন্টার-টেরোরিজম ফাইন্যান্সিং) সিস্টেম চেক পরিদর্শনে উল্লিখিত কর্মকর্তাদের মনোনীত করা হয়েছে। গঠিত পরিদর্শন কর্মকর্তাদের চাহিদা অনুযায়ী প্রাসঙ্গিক সকর হিসাবের বহি, রেকর্ডপত্র, দলিলপত্র ইত্যাদি সরবরাহ করার জন্য ব্রোকারেজ হাউজগুলো ও মার্চেন্ট ব্যাংককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

গঠিত পরিদর্শন কমিটি যেসব বিষয় খতিয়ে দেখবে

মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯ অনুযায়ী, ব্রোকারেজ হাউজগুলো ও মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ২০২৪ সালের ৩০ জুন ভিত্তিক এএমএল/সিএফটি (অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং/কাউন্টার-টেরোরিজম ফাইন্যান্সিং) সিস্টেম চেক করবে পরিদর্শন কমিটি। মানি লন্ডারিং, সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধ ও শনাক্ত করার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলো নীতি, পদ্ধতি, নিয়ন্ত্রণগুলো কার্যকরভাবে বজায় রাখা হয়েছে কি-না তা যাচাই করা হবে।

পরিদর্শন কার্যক্রমে প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে (সিসিএ) ঘাটতি, মার্জিন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা, নেগেটিভ ইক্যুইটিসহ বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্টের সংখ্যা, নেগেটিভ অ্যাকাউন্টে ঋণ প্রদান, ডিলার অ্যাকাউন্ট, প্রভিশনস বা মার্জিন অ্যাকাউন্টের বিপরীতে রক্ষিত তহবিল, প্রভিশনসের ঘাটতি, মার্জিন অ্যাকাউন্টে অননুমোদিত লেনদেন, ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মোট সম্পদ মূল্যসহ আরো বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখা হবে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির একজন কর্মকর্তা রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক তাদের কার্যক্রম সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী সঠিকভাবে পরিপালন করছে কি-না দেখভালের জন্য পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে। এটা আমাদের একটা রুটিন ওয়ার্ক। তবে এ পরিদর্শন কার্যক্রমে কোনো অসঙ্গতি পাওয়া গেলে কমিশন আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”

ঢাকা/এনটি/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মানিলন্ডারিং সচেতনতা: ৮ ব্রোকার-মার্চেন্ট ব্যাংক পরিদর্শনের নির্দ