পাবনার ঈশ্বরদীতে ডায়রিয়া পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। পানিবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে কণা খাতুন (২৫) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ঈশ্বরদী ইপিজেডের আইএইচএম কোম্পানির কোয়ালিটি কাটিং সেকশনের কর্মী হিসবে কর্মরত ছিলেন। রোববার দিবাগত রাত একটার দিকে তিনি মারা যান।

কণা খাতুন উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের তিলকপুর গ্রামের খমিন ইসলামের স্ত্রী। খমিন ইসলাম একই কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত।

তিনি জানান, কণা খাতুন শনিবার দুপুরে কোম্পানিতে খাবার ও পানি খাওয়ার পর থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। অসুস্থ শরীর নিয়ে রোববারও তিনি কর্মস্থলে কাজ করেন। এরপর সেখানে তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে ইপিজেডের মেডিকেল সেন্টারে তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কণা কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে সন্ধ্যায় তাকে বাড়িতে নিয়ে গেলে রাত থেকেই তার অবস্থা খারাপ হতে থাকে। হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতিকালে বাড়িতেই কণা মারা যায়।

ঈশ্বরদী ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক এ বি এম শহীদুল ইসলাম এই মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টিম ঈশ্বরদী ইপিজেডের কেন্দ্রীয় পানি শোধনাগার ও পানির প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেছেন।

এদিকে আজ সোমবারও ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন করে আরও রোগী ভর্তি হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.

মো. আলী এহসান জানান, আজ কিছুক্ষণ পরপরই নতুন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন। রোগীর সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তাতে পরিসংখ্যান ঠিক রাখা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি বেশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। সর্বশেষ আজ বিকেল পর্যন্ত ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছেন আরও ১২০ জন।

প্রসঙ্গত, ঈশ্বরদী ইপিজেডের সাপ্লাই পানি পান করে কয়েকটি গার্মেন্টস কারখানার শত শত শ্রমিক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রতিদিন ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এ পর্যন্ত ঈশ্বরদীতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সাড়ে ৫০০ ছাড়িয়েছে।

ডায়রিয়া আক্রান্ত সব রোগীই ঈশ্বরদী ইপিজেডের নাকানো ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি, আইএমবিডি কোম্পানি, ভিনটেজ ডেনিম স্টুডিও লিমিটেড (এ্যাবা) ও রেনেসাঁ বারিন্দ লিমিটেডসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারী।

ঈশ্বরদী ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক এ বি এম শহীদুল ইসলাম বলেন, ঈশ্বরদী ইপিজেডে প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। প্রাথমিকভাবে দূষিত পানি পান করার কারণে গণহারে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সাপ্লাই পানির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প বন ইসল ম উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বিলাসবহুল প্রমোদতরিতে খুন, এরপর...

গল্প যখন জাহাজের রহস্যময় খুন, তখন সবার আগে মাথায় আসে ১৯৭৮ সালের ‘ডেথ অন দ্য নাইল’-এর কথা। ১৯৭৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দ্য লাস্ট অব শিলা’ সিনেমাটিও এগিয়ে থাকবে এদিক দিয়ে।
তবে রুথ ওয়ারের উপন্যাসভক্তদের জন্য নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি হতে পারত এমনই এক অভিজ্ঞতা। রুথের উপন্যাস ‘দ্য ওমেন ইন কেবিন ১০’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নেটফ্লিক্সে এসেছে একই নামের নতুন সিনেমা। তবে সাইমন স্টোন পরিচালিত সিনেমাটির শুরুটা আশা জাগানিয়া হলেও শেষপর্যন্ত রোমাঞ্চ ধরে রাখতে পারেনি।

একনজরে সিনেমা: ‘দ্য ওমেন ইন কেবিন ১০’ স্ট্রিমিং: নেটফ্লিক্স ধরন: ড্রামা, ক্রাইম থ্রিলার রানটাইম: ১ ঘণ্টা ৩২ মিনিট পরিচালক: সাইমন স্টোন অভিনয় : কিরা নাইটলি, গাই পিয়ার্স, ডেভিড আজালা, গিটে উইট, আর্ট মালিক, হান্নাহ ওয়াডিংহাম, কায়া স্কোডেলারিও

লন্ডনের এক খ্যাতিমান অনুসন্ধানী সাংবাদিক লরা ব্ল্যাকলক (কিরা নাইটলি)। তিনি একটি হাইপ্রোফাইল অ্যাসাইনমেন্টের কাজ করছিলেন। কিন্তু তাঁর সোর্সকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার জন্য তিনি কাজে ফিরে এসেও ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় তিনি হঠাৎই তিন দিনের সমুদ্রযাত্রার আমন্ত্রণ পান। নরওয়েজীয় এক বিলিয়নিয়ার দম্পতি অ্যান লিংস্টাড (লিসা লোভেন কংসলি) ও তাঁর স্বামী রিচার্ডের (গাই পিয়ার্স) দাতব্য সংস্থার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান কাভার করার জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানান। কাজ ও ছুটি কাটানোর এমন দারুণ সুযোগ লুফে নেন লরা।

‘দ্য ওমেন ইন কেবিন ১০’ –এর দৃশ্য। নেটফ্লিক্স

সম্পর্কিত নিবন্ধ