আগামী অর্থবছর থেকে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির বেশ কিছু ভাতার হার বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে সরকার। এর মধ্যে বয়স্ক, প্রতিবন্ধী এবং মা ও শিশু সহায়তার মাসিক ভাতা ৫০ টাকা করে এবং বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারীদের মাসিক ভাতা ১০০ টাকা করে বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে নতুন বাজেটে।
গতকাল সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড.
আগামী বাজেটে বয়স্ক ভাতার মাসিক হার ৬০০ থেকে বাড়িয়ে ৬৫০ টাকা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারীদের মাসিক ভাতা ৫৫০ থেকে বাড়িয়ে ৬৫০ টাকা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাসিক ভাতা ৮৫০ থেকে বাড়িয়ে ৯০০ টাকা এবং মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির আওতায় দেওয়া মাসিক ভাতার হার ৮০০ থেকে বাড়িয়ে ৮৫০ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন
অর্থ উপদেষ্টা। এ ছাড়া অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য মাসিক ভাতার হার ৬৫০ টাকায় উন্নীত করারও প্রস্তাব দেন তিনি।
সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও জানান, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দিতে গত জানুয়ারি থেকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ৫৭ লাখ স্মার্ট কার্ডধারী পরিবারকে মসুর ডাল, সয়াবিন তেল প্রভৃতি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমেও পণ্য বিতরণ করা হচ্ছে। আগামী অর্থবছর থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মেয়াদ পাঁচ মাস থেকে ছয় মাস করার প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা। এই কর্মসূচিতে বর্তমানে ৫০ লাখ পরিবার সহায়তা পায়। আরও ৫ লাখ পরিবারকে এর আওতাভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।
অর্থ উপদেষ্টা জানান, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পেনশন ছাড়া সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর জন্য বরাদ্দ দাঁড়াবে ৮১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা। সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ব্যাপ্তি ও গুরুত্ব বিবেচনায় বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাজেট নথিপত্রে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সামাজিক সুরক্ষার আওতায় কর্মসূচি ৯৫ টিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। অর্থাৎ সামাজিক সুরক্ষার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত নয় এমন ৪৫ কর্মসূচি এ খাত থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক সুরক্ষার আওতায় ১৪০টি কর্মসূচির বিপরীতে মোট ১ লাখ ৩০ হাজার ২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ম জ ক স রক ষ বর দ দ র আওত
এছাড়াও পড়ুন:
যুব ও ক্রীড়ায় বরাদ্দ বেড়েছে ৮৪২ কোটি টাকা
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জন্য ২ হাজার ৪২৩ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন। যা গত অর্থ বছরে পাশ হওয়া বাজেটের তুলনায় ৮৪২ কোটি ২১ লাখ টাকা বেশি।
এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে উন্নয়ন খাতে ১৪৪০ কোটি ৩৭ লাখ এবং পরিচালন খাতে ৯৮২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ৬২৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা উন্নয়ন খাতে এবং পরিচালন খাতে ৯৫২ কোটি ৮৩ লাখ ৩৭ হাজার টাকা পাশ হয়েছিল। সংশোধিত বাজেটে ক্রীড়া ও যুব মন্ত্রণালয় পেয়েছিল ১ হাজার ৫৮০ কোটি ৭৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকা।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতায় যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ (দ্বিতীয় পর্ব) প্রকল্প, নড়াইলে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ স্টেডিয়াম ও টেবিল টেনিস ভবনের অধিকতর উন্নয়ন এবং ইনডোর স্টেডিয়াম ও ভলিবল স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প।
এছাড়া বিকেএসপির প্রশিক্ষণ সুবিধাদির আধুনিকায়ন এবং ভৌত অবকাঠামোর সুবিধাদির উন্নয়ন প্রকল্প, দারিদ্র্য বিমোচনে প্রযুক্তিনির্ভর প্রকল্প (তৃতীয় পর্যায়), ৬৪টি জেলায় তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প, দেশের ৪৮টি জেলায় কর্মপ্রত্যাশী যুবকদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ প্রকল্প আছে।
এর বাইরে বাজেটে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন, অংশগ্রহণ ও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান, ক্রীড়া ক্ষেত্রে প্রতিভা অন্বেষণ, গ্রামাঞ্চলে ক্রীড়া পরিবেশ সৃষ্টি ও দক্ষ ক্রীড়াবিদ তৈরি, বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থাকে অনুদান প্রদান ও অসচ্ছল ক্রীড়াবিদদের কল্যাণে অনুদান প্রদান এবং ক্রীড়া স্থাপনা নির্মাণ, উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।