মানিলন্ডারিং সচেতনতা: ৮ ব্রোকার-মার্চেন্ট ব্যাংক পরিদর্শনের নির্দ
Published: 3rd, June 2025 GMT
মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই-সিএসই) সদস্যভুক্ত ৭টি ব্রোকারেজ হাউজ এবং একটি মার্চেন্ট ব্যাংক পরিদর্শন করার নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ লক্ষ্যে দুই সদস্যের পৃথক ৮টি পরিদর্শন কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত পরিদর্শন কমিটিকে ২০ কার্যদিবসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ব্রোকারেজ হাউজগুলোর নাম হলো- রয়েল ক্যাপিটাল লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নম্বর- ২১), পিএইচপি স্টকস অ্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নম্বর- ২৩৫), এমটিবি সিকিউরিটিজ লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নম্বর- ১৯৭), পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নম্বর- ২৪৭), স্টক অ্যান্ড বন্ডস লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নম্বর- ১৯৯), পূরবী সিকিউরিটিজ লিমিটেড (সিএসই ট্রেক নম্বর- ৮৭) ও আল-মুনতাহা ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নম্বর- ৪৯)। আর মার্চেন্ট ব্যাংকের নাম হলো- লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
সম্প্রতি বিএসইসির মার্কেট অ্যান্ড ইন্টারমিডিয়ারিজ অ্যাফেয়ার্স ডিভিশন থেকে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা
আরো আড়াই মাস বন্ধ থাকবে সাফকো স্পিনিংয়ের উৎপাদন
জানা গেছে, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯ অনুযায়ী, মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর আইন ও বিধি দ্বারা নির্ধারিত দায়-দায়িত্ব পরিপালন, তদারকি, পুনর্মূল্যায়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক এএমএল/সিএফটি (অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং/কাউন্টার-টেরোরিজম ফাইন্যান্সিং) সিস্টেম চেক পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে। তারই অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এছাড়া এএমএল/সিএফটি সিস্টেম চেক করার মধ্যে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধ এবং শনাক্ত করার জন্য তার নীতি, পদ্ধতি এবং নিয়ন্ত্রণগুলো কার্যকরভাবে বজায় রাখা হয়েছে কি-না তা যাচাই করা হবে। এই চেকটি প্রাসঙ্গিক প্রবিধানগুলোর সঙ্গে সম্মতি নিশ্চিত করে এবং এই আর্থিক অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলো প্রশমিত করতে সহায়তা করে।
গঠিত ৮টি পরিদর্শন কমিটিতে যারা রয়েছেন
রয়েল ক্যাপিটাল লিমিটেডের পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন- বিএসইসির যুগ্ম পরিচালক সুলতানা পারভীন ও ডিএসই’র সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মো.
পিএইচপি স্টকস অ্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন- বিএসইসির সহকারী পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান ও মো. মাহমুদুল হাসান।
এমটিবি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন- বিএসইসির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ও ডিএসইর ডেপুটি ম্যানেজার মো. আল আমিন।
পদ্মা ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন- বিএসইসির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ও ডিএসইর ডেপুটি ম্যানেজার মো. আল আমিন।
স্টক অ্যান্ড বন্ডস লিমিটেডের পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন- বিএসইসির সহকারী পরিচালক মিঠুন চন্দ্র নাথ ও ডিএসইর এক্সিকিউটিভ জামশেদুল ইসলাম।
পূরবী সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন- বিএসইসির সহকারী পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান ও আমিরুল ইসলাম।
আল-মুনতাহা ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেডের পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন- বিএসইসির সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হানাস ও ডিএসইর সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মো. রাজু আহমদে।
লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন- বিএসইসির যুগ্ম পরিচালক সুলতানা পারভিন ও মো. আশরাফুল হাসান।
বিএসইসির পরিদর্শনের আদেশ
মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট রিপোর্ট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহে আইন ও বিধি দ্বারা নির্ধারিত দায়-দায়িত্বের পরিপালন তদারকি, পুনর্মূল্যায়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯ অনুযায়ী এএমএল/সিএফটি (অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং/কাউন্টার-টেরোরিজম ফাইন্যান্সিং) সিস্টেম চেক পরিদর্শন করা হয়ে থাকে। এরই প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান কার্যালয়ে ২০২৪ সালের ৩০ জুন ভিত্তিক এএমএল/সিএফটি (অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং/কাউন্টার-টেরোরিজম ফাইন্যান্সিং) সিস্টেম চেক পরিদর্শনে উল্লিখিত কর্মকর্তাদের মনোনীত করা হয়েছে। গঠিত পরিদর্শন কর্মকর্তাদের চাহিদা অনুযায়ী প্রাসঙ্গিক সকর হিসাবের বহি, রেকর্ডপত্র, দলিলপত্র ইত্যাদি সরবরাহ করার জন্য ব্রোকারেজ হাউজগুলো ও মার্চেন্ট ব্যাংককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গঠিত পরিদর্শন কমিটি যেসব বিষয় খতিয়ে দেখবে
মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯ অনুযায়ী, ব্রোকারেজ হাউজগুলো ও মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ২০২৪ সালের ৩০ জুন ভিত্তিক এএমএল/সিএফটি (অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং/কাউন্টার-টেরোরিজম ফাইন্যান্সিং) সিস্টেম চেক করবে পরিদর্শন কমিটি। মানি লন্ডারিং, সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধ ও শনাক্ত করার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলো নীতি, পদ্ধতি, নিয়ন্ত্রণগুলো কার্যকরভাবে বজায় রাখা হয়েছে কি-না তা যাচাই করা হবে।
পরিদর্শন কার্যক্রমে প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে (সিসিএ) ঘাটতি, মার্জিন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা, নেগেটিভ ইক্যুইটিসহ বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্টের সংখ্যা, নেগেটিভ অ্যাকাউন্টে ঋণ প্রদান, ডিলার অ্যাকাউন্ট, প্রভিশনস বা মার্জিন অ্যাকাউন্টের বিপরীতে রক্ষিত তহবিল, প্রভিশনসের ঘাটতি, মার্জিন অ্যাকাউন্টে অননুমোদিত লেনদেন, ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মোট সম্পদ মূল্যসহ আরো বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখা হবে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির একজন কর্মকর্তা রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক তাদের কার্যক্রম সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী সঠিকভাবে পরিপালন করছে কি-না দেখভালের জন্য পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে। এটা আমাদের একটা রুটিন ওয়ার্ক। তবে এ পরিদর্শন কার্যক্রমে কোনো অসঙ্গতি পাওয়া গেলে কমিশন আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
ঢাকা/এনটি/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব র ক র জ হ উজগ ল ব এসইস র সহক র অ য ক উন ট ও ড এসইর কর মকর ত ও ড এসই র জন য অন য য় করব ন
এছাড়াও পড়ুন:
প্রস্তাবিত বাজেট প্রশংসনীয় : রাশেদ মাকসুদ
অন্তর্বর্তী সরকারের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
একইসঙ্গে তিনি এক লাখ টাকা পর্যন্ত অর্জিত লভ্যাংশের উপর কর মওকুফ এবং এক লাখ টাকার উর্ধ্বে অর্জিত লভ্যাংশের উপর ১৫ শতাংশ কর নির্ধারণ করে সেটাকে চূড়ান্ত কর হিসেবে গণ্য করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ জুন) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পুঁজিবাজারকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে: ডিবিএ
‘প্রস্তাবিত বাজেট পুঁজিবাজারবান্ধব’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য কিছু ইতিবাচক দিক রয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা বাজেট বক্তৃতায় পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার পাঁচটি দিকনির্দেশনার বিষয়ও গুরুত্ব সহকারে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার এই নির্দেশনার মধ্যে পুজিবাজারে বহুজাতিক কোম্পানির সরাসরি তালিকাভুক্তি এবং নেতৃত্বস্থানীয় দেশীয় ভালো মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানির তালিকাভুক্তির বিষয়েরও উল্লেখ ছিল। এছাড়া উক্ত নির্দেশনায় পুঁজিবাজারের প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য বিদেশি পরামর্শক নিয়োগের বিষয়ে উল্লেখ ছিল। এছাড়াও নির্দেশনায় পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অনিয়মের ব্যাপারে শক্ত পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে উল্লেখ ছিল। এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে, পুঁজিবাজারকে আগামীর অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ভূমিকা পালনে সরকারের নীতি সহায়তা দেয়ার কথাও বলা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়েছে, সরকার পুঁজিবাজারের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যকার করপোরেট করহারের ব্যবধান ৫ শতাংশ হতে ৭.৫ শতাংশে বৃদ্ধি করেছে। যার ফলে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি করপোরেট করহারে ছাড় পাবেন। এটি দেশি বিদেশি লাভজনক ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহী করবে। প্রস্তাবিত বাজেটে আরেকটি ইতিবাচক খবর রয়েছে। পুঁজিবাজারে কর্মরত ব্রোকারেজ হাউসের লেনদেনের ওপর ধার্য কর ০.০৫ শতাংশ হতে ০.০৩ শতাংশ হ্রাস করা হয়েছে। বর্তমানে পুঁজিবাজারের তারল্য সংকট এবং লেনদেনের স্বল্প ভলিউম পরিলক্ষিত হচ্ছে; এই কর ছাড়ের ফলে আগামীতে পুঁজিবাজারের লেনদেনের বৃদ্ধি পাবে এবং বিনিয়োগ উৎসাহিত হবে বলে আশা করা যায়। এছাড়াও পুঁজিবাজারে কর্মরত মার্চেন্ট ব্যাংকের করপোরেট করহার ১০ শতাংশ হ্রাস করা হয়েছে। পূর্বে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে ৩৭.৫ শতাংশ হারে কর দিতে হতো। এখন যা ২৭.৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এর ফলে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজার উন্নয়নে কাজ করতে উৎসাহ পাবে। পুঁজিবাজারের গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন মার্চেন্ট ব্যাংক। পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়নে ভালো শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানোয় মার্চেন্ট ব্যাংকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সরকারের আন্তরিকতা সম্পর্কে তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পরপরই সরকারের উদ্যোগের ফলে গত বছরের ৪ নভেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার বিক্রি থেকে অর্জিত মূলধনী মুনাফার (ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স) উপর করের হার কমানো হয়েছিল। এসময় অর্জিত মূলধনী মুনাফার উপর সর্বোচ্চ করহার ৩০ শতাংশ থেকে অর্ধেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। উপরোক্ত পদক্ষেপসমূহ থেকে স্পষ্ট হয় যে, সরকার পুঁজিবাজার উন্নয়নের বিষয়ে অত্যন্ত ইতিবাচক ও আন্তরিক।
বিনিয়োগকারীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের কল্যাণ ও সুরক্ষার্থে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রকসংস্থা বিএসইসি ইতোমধ্যে বিনিয়োগকারীদের বিও অ্যাকউন্টের উপর ধার্যকৃত বার্ষিক মেইনটেন্যান্স ফি ৪৫০ টাকা থেকে প্রায় ৭০ শতাংশ হ্রাস করে ১৫০ টাকা করার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে এবং সমন্বিত গ্রাহক হিসাব হতে অর্জিত সুদের ২৫ শতাংশ ইনেভেস্টর প্রটেকশন ফান্ডে জমারও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এর মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সরাসরি উপকৃত হবেন।
বাজেট প্রস্তাব সম্পর্কে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বিনিয়োগকারী ও বাজার সংশ্লিষ্টদের দীর্ঘদিনের দাবি বিবেচনায় এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্জিত ডিভিডেন্ডের (লভ্যাংশ) উপর ট্যাক্স মওকুফ করা এবং এক লক্ষ টাকার উর্ধ্বে অর্জিত ডিভিডেন্ডের উপর ১৫ শতাংশ ট্যাক্স নির্ধারণ করে সেটাকে চুড়ান্ত কর হিসেবে গণ্য করার বিষয়টি বাজেটে পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ রইলো।
ঢাকা/এনটি/বকুল