কোরবানির পশু সম্পর্কে যে বিষয়গুলো জানতেই হবে
Published: 4th, June 2025 GMT
নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে ইসলামী শরিয়তের আলোকে প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য কোরবানি করা ওয়াজিব। ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ এই বিধানটি যে পশুটিকে জবাইয়ের মাধ্যমে আদায় করতে হবে তার বৈশিষ্ট্য জানাও ওয়াজিব।
কোরবানির পশুর বৈশিষ্ট্য
ছয় প্রকার পশু দিয়ে কোরবানি জায়েজ বা বৈধ। এসব পশু ছাড়া অন্য পশু দিয়ে কোরবানি করা বৈধ নয়। এগুলো হচ্ছে- উট, গরু, ছাগল, দুম্বা, ভেড়া ও মহিষ। (হেদায়া : ৪/৪৪৮)
আরো পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে কোরবানির হাট: কম দামে খুশি ক্রেতা, হতাশ বিক্রেতা
ঢাকার গাবতলীতে নজর কাড়ছে আফগানি উট
এসব ভেতর দুম্বা, ছাগল ও ভেড়ার বয়স এক বছর হওয়া জরুরি। তবে ছয় মাসের ভেড়া ও দুম্বা মোটাতাজা হলে এবং দেখতে এক বছর বয়সের মতো দেখা দেলে তা দিয়েও কোরবানি করা জায়েজ। গরু ও মহিষ পূর্ণ দুই বছর বয়সী হওয়া এবং উট পাঁচ বছর বয়সী হওয়া আবশ্যক। এর কম হলে কোরবানি জায়েজ হবে না। (হেদায়া : ৪/৪৪৯)
উল্লিখিত আয়াতের আলোকে ইসলামী আইনজ্ঞরা বলেন কোরবানির পশু নিখুঁত, দৃষ্টিনন্দন, সুস্বাস্থ্যের অধিকার ও মধ্য বয়সী হওয়া উত্তম। দৃষ্টিনন্দন যেকোনো রঙের পশু যেমন কোরবানি করা যাবে, তেমনি চাষাবাদে ব্যবহৃত হওয়ার পরেও যদি কোনো পশু ত্রুটিমুক্ত থাকে তবে তা দিয়ে কোরবানি করা যাবে।
ইসলামী আইনজ্ঞরা বলেন, কোরবানি জায়েজ হওয়ার জন্য মৌলিকভাবে পশুকে চারটি মারাত্মক ত্রুটি থেকে মুক্ত হতে হবে। এগুলো হচ্ছে-.
কোনো পশুর দুই চোখ বা এক চোখ অথবা এক চোখের এক-তৃতীয়াংশের বেশি নষ্ট হয়ে গেলে তা দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ নয়। অনুরূপ যে পশুর একটি কান বা লেজের এক-তৃতীয়াংশের বেশি কেটে গেছে তা দিয়েও কোরবানি করা বৈধ নয়। (ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি : ৫/২৯৮)
যে পশু এমন খোঁড়া যে তিন পায়ের ওপর ভর করে চলে, চতুর্থ পা মাটিতে লাগেই না, কিংবা মাটিতে লাগে বটে কিন্তু তার ওপর ভর করে চলতে পারে না-এমন পশু দিয়ে কোরবানি করা বৈধ নয়। তবে যদি খোঁড়া পায়ের ওপর ভর করে চলতে পারে, তবে তা দিয়ে কোরবানি করা বৈধ। (ফাতাওয়ায়ে শামি : ৫/২২৮)
শিং ওঠেনি এমন পশু দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ। অনুরূপ শিংয়ের অগ্রভাগ ভেঙ্গে গেলেও তা দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ। কিন্তু শিং মূল থেকে ভেঙ্গে গিয়ে থাকলে তা দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ নেই। (ফাতাওয়ায়ে শামি : ৫/২২৭-৮; ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি : ৫/২৯৭)
যে পশুর গায়ে বা কাঁধে দাদ বা খুজলি হয়েছে তা দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ। কিন্তু ক্ষত যদি গোশত পর্যন্ত পৌঁছে যায় এবং তার কারণে পশুর স্বাস্থ্যহানি ঘটে তবে এমন পশু দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ নেই। (হেদায়া : ৪/৪৩২)
আল্লাহ সবাইকে সঠিকভাবে কোরবানি করার তাওফিক দিন। আমিন।
লেখক: মুহাদ্দিস, সাঈদিয়া উম্মেহানী মহিলা মাদরাসা, ভাটারা, ঢাকা।
ঢাকা/শাহেদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র বয়স ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
দুদকের মামলায় রাজশাহীর সাবেক জেলা রেজিস্ট্রার কারাগারে
রাজশাহীর সাবেক জেলা রেজিস্ট্রার আবুল কালাম আজাদকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এ আদেশ দেন।
দুদকের রাজশাহীর আইনজীবী বজলে তৌহিদ আল হাসান বাবলা জানান, ওই মামলায় আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। মঙ্গলবার মামলার ধার্য তারিখে তিনি আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন।
শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তার জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গ্রেপ্তার আবুল কালাম আজাদ বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মিরপুর গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আসাদ অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত ‘ক্রিস্টাল ক্যাসেল’ নামের একটি বহুতল ভবনের নিজস্ব ফ্ল্যাটে বসবাস করেন।
তিনি দীর্ঘদিন রাজশাহীর জেলা রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অবসরপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ১ কোটি ২৮ লাখ ১২ হাজার ১৪৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
এ অভিযোগে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে দুদকের রাজশাহী জেলা সমন্বিত কার্যালয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
ঢাকা/কেয়া/এস