প্রধান উপদেষ্টার যুক্তরাজ্য সফরে পাচার অর্থ ফেরাতে প্রাধান্য
Published: 4th, June 2025 GMT
চার দিনের সফরে আগামী সোমবার যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সফরে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরতের বিষয়টি প্রাধান্য পাবে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী। বুধবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
রুহুল আলম বলেন, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক গভীর ও জটিল। সেই বিবেচনায় দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আসন্ন দ্বিপাক্ষিক সফরটি গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিকভাবেও দেশটি বাংলাদেশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আইন ও সরকার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে আমরা এখনও যুক্তরাজ্যকে অনুসরণ করি।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য উন্নয়নশীল দেশগুলোতে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, সুশাসন ইত্যাদি বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেয়। এর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে দেশটির সহায়তা দরকার।
এ সফরের গুরুত্বের বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, যুক্তরাজ্যের মধ্যকার ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও গভীর করতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে। দুই দেশের অর্থনীতি গতিশীল করবে এবং নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে। চলমান গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ১২ জুন বাকিংহাম প্রাসাদে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করবেন ইউনূস। ওইদিন বিকেলে সেন্ট জেমস প্রাসাদে রাজা তৃতীয় চার্লসের হাত থেকে কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করার কথা সরকারপ্রধানের। আগামী ১১ জুন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা। এ ছাড়া, তিনি যুক্তরাজ্যের নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউজ আয়োজিত এক সংলাপে অংশ নেওয়ার কথা।
বিগত সরকারের অনেক নেতা যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। তাদের ফেরানোর বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে রুহুল আলম বলেন, আমাদের এ মুহূর্তে প্রধান বিষয়টি হচ্ছে, পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ উদ্ধার। আমরা ব্যক্তি বিষয়ে যতটা পদক্ষেপ নিচ্ছি, তার চেয়ে বেশি পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার করাটা বেশি জরুরি। আমরা পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সব দেশের সঙ্গে চেষ্টা করে যাচ্ছি। এর অংশ হিসেবে অবশ্যই যুক্তরাজ্যে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা বিষয়টি উপস্থাপন করব।
পাচার হওয়া অর্থ ফেরতের প্রক্রিয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেসব দেশে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার করা হয়েছে, সেসব দেশের সঙ্গে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসট্যান্সের (এমএলএ) আওতায় আমরা কাজ করছি। এসব বিষয়ে স্বল্প সময়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ের মিটিংয়ে এত বিস্তারিত আলোচনা করার সুযোগ থাকে না। সেজন্য সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলো আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
প্রধান উপদেষ্টার সফরে যুক্তরাজ্যের দিক থেকে দেশটি থেকে এয়ারবাস কেনার বিষয়ে আলোচনা হবে কিনা, জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এ প্রশ্নের উত্তর আমি ঠিক জানি না। এটা নির্ভর করছে যুক্তরাজ্যের দিক থেকে কেউ আমাদের কাছে তুলে ধরবে কিনা। এ মুহূর্তে এ ব্যাপারে আমাদের কোনো পলিসি বা সিদ্ধান্ত আমার জানা নেই।
লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক করবেন কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে রুহুল আলম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা তার যে কর্মসূচি উল্লেখ করেছেন, সে অনুযায়ী এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।’
প্রধান উপদেষ্টার আসন্ন সফরে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কোনো সমঝোতা স্মারক বা কোনো চুক্তি হচ্ছে না। আগামী ১৪ জুন দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড ইউন স য ক তর জ য য ক তর জ য র পরর ষ ট র প চ র হওয় র হ ল আলম অর থ ফ র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বের শীর্ষ ১০ আইকনিক ফুটবল স্টেডিয়াম
১সিগনাল ইদুনা পার্ক | ডর্টমুন্ড, জার্মানি সিগনাল ইদুনা পার্ক