ছয় মাসের জন্য বিদেশি শিক্ষার্থী বন্ধে নিষেধাজ্ঞা, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে প্রতিশোধমূলক বলছে হার্ভার্ড
Published: 5th, June 2025 GMT
আগামী ছয় মাস হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন কোনো বিদেশি শিক্ষার্থী আসতে পারবেন না। গতকাল বুধবার এক নির্বাহী আদেশ জারি করে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তকে প্রতিশোধমূলক বলে আখ্যা দিয়েছে হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ।
হার্ভার্ডের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘এটি প্রশাসনের নেওয়া আরেকটি বেআইনি ও প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ, যা (যুক্তরাষ্ট্রের) সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে পাওয়া হার্ভার্ডের অধিকারের লঙ্ঘন।’
হার্ভার্ড তাদের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে বলেও ওই বিবৃতিতে বলেছেন হার্ভার্ডের মুখপাত্র।
এদিন আরও একটি নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প ১২টি দেশের নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। আগামী সোমবার থেকে এটি কার্যকর হবে। এই নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে নিজের প্রথম মেয়াদের অন্যতম বিতর্কিত পদক্ষেপের পুনরাবৃত্তি ঘটালেন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট।
নতুন এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেনের নাগরিকেরা।
এ ছাড়া ট্রাম্প আরও সাতটি দেশের ওপর আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। দেশগুলো হলো বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমিনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।
কয়েক সপ্তাহ ধরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর একের পর এক ‘শাস্তিমূলক’ ব্যবস্থা গ্রহণ করে যাচ্ছেন ট্রাম্প। কয়েক দফায় বিশ্ববিদ্যালয়টির বেশির ভাগ অনুদান বন্ধ করে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তির ওপরও নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় হার্ভার্ডের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিশ্ববিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার সময় বিভিন্ন অভিযোগও তুলছেন। হার্ভার্ডে ডেমোক্র্যাট ও কট্টর বামপন্থীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। এসব অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থও হয়েছে হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুননতুন করে হার্ভার্ডের ৪৫০ মিলিয়ন ডলার অনুদান বাতিল করল ট্রাম্প প্রশাসন১৪ মে ২০২৫আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ১২টি দেশের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা ট্রাম্পের৪ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র ব শ বব দ য কর ছ ন র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে অংশ নেবেন খালেদা জিয়া: আবদুল আউয়াল মিন্টু
এ বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে তাতে অংশ নেবেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আজ বুধবার ফেনীতে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু।
আজ দুপুরে ফেনী শহরের একটি মিলনায়তনে ‘বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পের পুনর্বাসন’ শীর্ষক প্রকল্পের অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথাগুলো বলেন মিন্টু। তিনি বলেন, ‘বিশ্বাস করতে চাই, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। দেশে এখন যে অবস্থা ফেব্রুয়ারি আগেই নির্বাচন হতে পারে। হয়তো জানুয়ারিতেও হয়ে যেতে পারে। কেয়ারটেকার সরকার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটা ডেট পেন্ডিং আছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রবর্তন হলে তার অধীনে ৯০ দিনে নির্বাচন হবে। সে ক্ষেত্রে ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।’
আবদুল আউয়াল মিন্টু আরও বলেন, দেশে যদি এক যুগ, দুই যুগ ধরে নির্বাচিত সরকার না থাকে, তবে মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জানমালের উন্নয়ন হবে না। একটি দেশের সরকার যদি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ না থাকে তাহলে তারা কখনো ভালো কাজ করবে না।
আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘২০০৬ সাল থেকে আমরা নির্বাচন চেয়ে আসছি। ১৯ বছর ধরে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আন্দোলন–সংগ্রাম করে যাচ্ছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন লন্ডনে যোগাযোগ করেছেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যৌথ বিবৃতি দিয়েছিল। প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা সেটিতে আস্থা রাখতে চাই। আমরা চাচ্ছি, দ্রুত নির্বাচনটি হোক।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘নির্বাচনে ফেনীর অতীত ইতিহাস সবাই জানে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এখানে বিএনপি জয়লাভ করবে। আমাদের দলের নেত্রীও (খালেদা জিয়া) নির্বাচন করবেন। তিনি এখন সুস্থ আছেন।’
পরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ফেনীর মুহুরী-কহুয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পের পুনর্বাসন (১ম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন।
ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ওরফে ভিপি জয়নাল, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ রেহানা আক্তার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান প্রমুখ।