ঈদুল আজহার প্রথম ও দ্বিতীয় দিন আশানুরূপ পর্যটক ছিল না সাগরকন্যা খ্যাত পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে। তবে সেই চিত্রে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে।

সোমবার (৯ জুন) সকাল থেকেই সৈকতে পর্যটক সমাগম বাড়তে শুরু করেছে। ফলে হতাশা কেটেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের। বিক্রি বেড়েছে সব দোকানে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পর্যটক কম বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। 

সোমবার সকালে পর্যটকদের সৈকতের জিরো পয়েন্টের বালিয়াড়িতে হই হুল্লোড়ে মেতে থাকতে দেখা গেছে। অনেকেই সমুদ্রের পানিতে গা ভাসিয়েছেন। অনেকে ফুটবল খেলে এবং প্রিয়জনের হাত ধরে ঘুরে দেখছিলেন সৈকতের একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্ত। পর্যটকদের ঘোড়া, ওয়াটারবাইক ও মোটরসাইকেলে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। তাদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানা পুলিশ, নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে সমুদ্র সৈকতে।

আরো পড়ুন:

খাগড়াছড়ির বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে স্থানীয়দের ভিড়

পর্যটক বরণে প্রস্তুত রাঙামাটি

রাজশাহী থেকে আসা নাহিদ-লামিয়া দম্পতি বলেন, “রবিবার (৮ জুন) রাত ৩টায় কুয়াকাটা এসে পৌঁছেছি। রাতে আর ঘুমাতে পারিনি। সকাল সকাল সৈকতে এসেছি। সমুদ্রে সাঁতার কাটতে পেরে খুব আনন্দ লাগেছে।” 

শরীয়তপুর থেকে আসা রূপম উদ্দিন বলেন, “বন্ধুরা মিলে সৈকতে বেড়াতে এসেছি। এখানের সবকিছু আমাদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিশেষ করে উন্মুক্ত সৈকতে ফুটবল খেলা এবং সমুদ্রের পানির গর্জন আমাদের বিমোহিত করেছে।”

ট্যুর অপারেটর এ্যাসোসিয়েশন অফ কুয়াকাটা (টোয়াক) এর সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, “ঈদের প্রথম দিন ও দ্বিতীয় দিন খুব কম সংখ্যক পর্যটক ছিল কুয়াকাটায়। শনিবার বিকেল থেকে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। আশা করছি, কয়েক লাখ পর্যটকের আগমন ঘটবে সৈকতে।” 

তিনি বলেন, “আমরা ট্যুর অপারেটর সদস্যরা গতকাল সৈকত এলাকায় ঘুরেছি এবং পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য।”

কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ ইন্সপেক্টর তাপ চন্দ্র রায় বলেন, “পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমাদের টিম নিয়মিত টহল দিচ্ছে। সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও কাজ করছে। পাশাপাশি নৌ পুলিশ ও থানা পুলিশের সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছে। আশা করছি, পর্যটকরা নিরাপদে তাদের ভ্রমণ উপভোগ করতে পারবেন।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ রমণ পর যটক আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

সৈকতে নারী পর্যটকদের গোসলের ভিডিও ধারণ, কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের কারাদণ্ড

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে গোসলরত নারী পর্যটকদের ভিডিও ধারণ করার দায়ে রুবেল (৩০) নামে এক কনটেন্ট ক্রিয়েটরকে এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সৈকতের জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসিন সাদীক। এ সময় ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

রুবেল বরগুনা সদর উপজেলার বাসিন্দা। তিনি মুদি দোকানের ব্যবসার পাশাপাশি কনটেন্ট তৈরি করেন।

সৈকতের ফটোগ্রাফার আরিফ মিয়া  বলেন, ‘‘রুবেল নারীদের গোসলের ভিডিও করছিলেন। প্রতিবাদ করলে তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। বিষয়টি দেখত পেয়ে তাকে আটক করি।’’

অপর ফটোগ্রাফার রাসেল বলেন, “রুবেলের মোবাইল চেক করে দেখি, অনেক ভিডিও। সঙ্গে সঙ্গে ট্যুরিস্ট পুলিশকে খবর দেই। পরে তাদের কাছে সোপর্দ করি।’’

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসিন সাদেক বলেন, “অনুমতি ছাড়া নারী পর্যটকদের ভিডিও ধারণের দায়ে রুবেলকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের অপরাধে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’’

ঢাকা/ইমরান/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সৈকতে নারী পর্যটকদের গোসলের ভিডিও ধারণ, কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের কারাদণ্ড