মধুখালীতে অটো-ভ্যান সংঘর্ষে প্রাণ গেল শিশুর
Published: 11th, June 2025 GMT
বাবা মায়ের সাথে নানা বাড়িতে যাওয়ার পথে রাইসা নামের ছয় বছর বয়সের এক শিশুকন্যা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। নিহত রাইসা মাগুরা সদর থানার গোপীনাথপুর গ্রামের সৈকত মোল্যার মেয়ে।
এ সময় ভ্যানচালক সাগর আহত হয়েছে। তাকে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার বেলা ৩টার দিকে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাগাট বাজারের পশ্চিম পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
করিমপুর হাইওয়ে পুলিশের এসআই শফিকুল ইসলাম বলেন, বেলা ৩টার দিকে মাগুরা থেকে ভ্যানযোগে রাইসা তার বাবা-মায়ের সঙ্গে মধুখালী উপজেলার মাঝকান্দিতে নানা বাড়িতে আসার পথে বাগাট বাজারের কাছে আসলে অপরদিক থেকে একটি অটোগাড়ি ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এতে রাইসা ছিটকে পড়ে আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে দ্রুত মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, অটোচালক জিয়াউর রহমান বর্তমানে মধুখালী থানা হেফাজতে রয়েছে। লাশ তার অভিভাবকের কাছে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিটের ভূমি অধিগ্রহণে জালিয়াতি, মামলার অনুমোদন
প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ভূমি অধিগ্রহণের ৪ কোটি ৭১ লাখ ৭৬ হাজার ৪১৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মো. রিয়াজ উদ্দীন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুদকের ডেপুটি ডিরেক্টর আকতারুল ইসলাম (জনসংযোগ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-১) অধীন রূপগঞ্জ উপজেলার পিতলগঞ্জ মৌজায় ডিপো এক্সেস করিডোর নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। জালিয়াতির মাধ্যমে মো. রিয়াজ উদ্দীন নামে এক ব্যক্তি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তার ভূমি অধিগ্রহণের নামে সরকারি কোষাগার থেকে ৪ কোটি ৭১ লাখ ৭৬ হাজার ৪১৮ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ফেনীতে ছাত্র হত্যা: শেখ হাসিনাসহ ২২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
নূরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, ১২ বছর পর তোলা হলো আবু বকরের দেহাবশেষ
দুদক জানায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি রিয়াজ সংশ্লিষ্ট জমির মূল দলিল হারিয়ে গেছে মর্মে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানায় পাঁচটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরবর্তীতে তিনি সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে ওই দলিলগুলোর সার্টিফায়েড কপি উত্তোলন করে ভূমি অধিগ্রহণ অফিসে জমা দেন এবং ক্ষতিপূরণের টাকা উত্তোলন করেন।
শুধু তাই নয়, ওই রিয়াজের বিরুদ্ধে বড় ধরনের প্রতারণার প্রমাণও পেয়েছে দুদক। সে তার জমি ইতোপূর্বে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (সোনালী ব্যাংক) কাছে বন্ধক রাখে এবং বন্ধকী দলিল এখনো কার্যকর রয়েছে।
প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করায় মো. রিয়াজ উদ্দীনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪০৬/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় মামলার অনুমোদন করা হয় বলে দুদক জানায়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মেহেদী