ছন্দে ফিরে ইবাদতের মুখে হাসি, উদযাপনে স্যালুট
Published: 11th, June 2025 GMT
মুমিনুল হককে দেওয়া বাউন্সারে উইকেট পাবেন হয় তো কল্পনা করেননি ইবাদত হোসেন। উইকেট থেকে সরে মুমিনুল আপারকাট করলেন। বল গেল থার্ড ম্যান অঞ্চলে। এনামুল ক্যাচ নিয়ে ফেরালেন মুমিনুলকে।
পেসার ইবাদতের দিনের তৃতীয় উইকেট। এর আগে সাদমান ইসলাম ও মুশফিকুর রহিমকে ফিরিয়েছেন তিনি। দারুণ এক ইনসুইং বলে মুশফিকুরের উইকেট উপচে ফেলেন ডানহাতি পেসার। যে উইকেট পাওয়ার পর তার মুখে ছিল চওড়া হাসি। ইনজুরি কাটিয়ে ক্রিকেটে ফেরার পর নিজের উইকেট উদযাপনে স্যালুট দিচ্ছিলেন না দ্রুতগতির এই বোলার।
তবে মিরপুর শের-ই-বাংলায় আজ তাকে দুইবার স্যালুট দিতে দেখা গেল। শ্রীলঙ্কা সফরের আগে নিজেদের মধ্যে দুই দিনের ম্যাচ প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। পুরোনো ছন্দ ফিরে পেয়েছেন বলেই কী পুরোনো উদযাপন ফেরালেন ইবাদত? জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু মুঠোফোনে তাকে পাওয়া যায়নি।
আরো পড়ুন:
বিসিবি নির্বাচনে সৈয়দ আশরাফুলের ‘আগ্রহ’
তামিমের হুঁশিয়ারি, ‘কখনো আপনাদের সঙ্গে হাত মেলাব না’
পায়ের চোটে দুই বছর বাইরে থাকার পর জাতীয় দলে ফিরেছেন দ্রুতগতির এই বোলার। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ চলাকালীন পায়ের গোড়ালিতে চোট পেয়েছিলেন। এ কারণে বিশ্বকাপসহ এক বছরের বেশি সময় সব ধরনের খেলার বাইরে ছিলেন। চোট পাওয়ার ১৬ মাস পর গত বছর নভেম্বরে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) দিয়ে মাঠে ফেরেন দ্রুতগতির বোলার। এরপর বিপিএল, ঢাকা লিগ ও ‘এ’ দলের ম্যাচ খেলে পুরোনো ডেরায় ফিরেছেন ডানহাতি পেসার।
জাতীয় দলে ফিরে তার প্রধানতম চ্যালেঞ্জ ছিল ছন্দ পাওয়া। শেষ কয়েকদিনের অনুশীলন ও প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলে আসায় চ্যালেঞ্জটা ভালোভাবেই উতরে যেতে পেরেছেন। ১১ ওভার হাত ঘুরিয়েছেন। ৩ মেডেনে ২৮ রানের খরচায় পেয়েছেন ৩ উইকেট। উইকেট সংখ্যা তার কার্যকরী বোলিংয়ের প্রমাণ দিচ্ছে। তার চেয়েও বেশি ছন্দময় ছিল তার লাইন ও লেন্থ ধরে বোলিং। ব্যাটসম্যানদের ভুগিয়েছেন।
বাংলাদেশের পেস বোলারদের নতুন কোচ টেইট। ঈদের ছুটির একদিন পরই টেইটকে নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছিলেন ইবাদত। ইনজুরির আগে লাল ও সাদা বলে সমান্তরালে ইবাদত পারফর্ম করেছেন। সেই ছন্দটাই শ্রীলঙ্কায় উড়াল দেওয়ার আগে পেয়ে গেলেন। এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেকে মেলে ধরার পালা।
হাঁটুর পাঁচটি আলাদা জায়গায় অস্ত্রোপচার করানো লেগেছে ইবাদতের। ট্রেনার নাথান কেলির দারুণ তত্ত্বাবধানে হয়েছে তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইবাদত বলেছেন, ‘‘সত্যি বলতে আমার ক্যারিয়ার ২০২৩ সালের পর থেকে থমকে গেছে। আমার প্রধান লক্ষ্য যেখানে বিরতি পড়েছে সেখান থেকেই নতুন করে শুরু করা। আমি প্রত্যেকের ভালোবাসা ফিরিয়ে দিতে চাই।’’
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদন আজ বিকেলে, ক্লাস ১৩ নভেম্বর
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (পাস) প্রোগ্রামে ভর্তি কার্যক্রম আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে শুরু হচ্ছে। আবেদন করা যাবে আগামী ১৫ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত। এ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে ১৩ নভেম্বর থেকে। গত রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন যেসব শিক্ষার্থী
২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালের এসএসসি বা সমমান এবং ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালের এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন ভর্তির জন্য। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি (ভোকেশনাল), এইচএসসি (বিজনেস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি) ও ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। এ-লেভেল, ও-লেভেল ও বিদেশি সনদধারীদের ক্ষেত্রে নির্ধারিত নিয়মে সরাসরি ডিন অফিসে বা ই–মেইলে আবেদন করতে হবে শিক্ষার্থীদের।
যেসব শিক্ষার্থী গত দুই শিক্ষাবর্ষে (২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪) স্নাতক (সম্মান), স্নাতক (সম্মান) প্রফেশনাল বা স্নাতক (পাস) প্রোগ্রামে ভর্তি হয়ে রেজিস্ট্রেশন কার্ড পেয়েছেন, তাঁরা এই শিক্ষাবর্ষে নতুন করে ভর্তি হতে পারবেন না। তবে পূর্ববর্তী ভর্তি বাতিল করে নতুন শিক্ষাবর্ষে আবেদন করতে পারবেন। একই সঙ্গে কোনো শিক্ষার্থী দ্বৈত ভর্তি হলে তাঁর উভয় ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন বাতিল হবে।
আবেদন ফি ৪০০ টাকা
ভর্তি ফি হিসেবে প্রাথমিক আবেদন ফি ৪০০ টাকা, যার মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ ২৫০ টাকা এবং কলেজের অংশ ১৫০ টাকা। ভর্তি নিশ্চিত হওয়ার পর রেজিস্ট্রেশন ফি ৭২০ টাকা জমা দিতে হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ আবেদনকারীর তথ্য যাচাই করে অনলাইনে নিশ্চয়ন করবে। তবে নিশ্চয়ন ছাড়া কোনো আবেদনকারীকে মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। আবেদন ফি ১৯ অক্টোবরের মধ্য জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুনবাংলাদেশ বিমানে ইন্টার্নশিপ, দৈনিক হাজিরায় সম্মানী ৬০০ টাকা৪ ঘণ্টা আগেআবেদনকারীদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতিটি কলেজের জন্য আলাদাভাবে কোর্সভিত্তিক মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে। একই মেধা নম্বরপ্রাপ্ত হলে এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ (৪০: ৬০ অনুপাতে) এবং প্রয়োজনে মোট নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। এরপরও সমতা থাকলে বয়স কম শিক্ষার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ভর্তি কার্যক্রম ধাপে ধাপে প্রথম মেধাতালিকা, দ্বিতীয় মেধাতালিকা, কোটার মেধাতালিকা এবং প্রথম ও দ্বিতীয় রিলিজ স্লিপের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। তবে এবারও তৃতীয় রিলিজ স্লিপে আবেদন করার সুযোগ থাকবে না।
বিস্তারিত দেখুন এখানে
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, সুযোগ পাবেন ৪৮ জেলার যুবরা১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আরও পড়ুন১২ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে সরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫