দুই চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে ২৩৫ বিঘা জমির ঘের ও খামারবাড়ি দখলের অভিযোগ করেছেন বাগেরহাটে মো. মহিবুল্লাহ মিন্টু নামে এক ব্যবসায়ী। প্রতিবাদ করায় তাকে জীবননাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

তার ভাষ্য, খামার উদ্ধারে কয়েকবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। যে কারণে তিনি আদালতে মামলা করেছেন। 

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন মহিবুল্লাহ। তিনি বাগেরহাটের কাশিমপুর বাজার গ্রামের বাসিন্দা। 

আরো পড়ুন:

‘মারধরের’ ১২ দিন পর সাবেক প্রতিমন্ত্রীর চাচাতো ভাইয়ের মৃত্যু

রূপগঞ্জে গুলিবিদ্ধ সেই ব্যবসায়ীর মৃত্যু

লিখিত বক্তব্যে মহিবুল্লাহ জানান, তিনি মৎস্য ব্যবসায়ী। তার বাবা তরফদার মকবুল হোসেন বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ছিলেন। ডেমা ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া ও চকপঞ্চমালা মৌজায় তার পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত ১৩৫ বিঘা এবং লীজকৃত আরও ১০০ বিঘা মোট ২৩৫ বিঘা জমি রয়েছে।

এই জমিতে গত ৩৯ বছর ধরে মাল্টা, আম, কলা, নারকেল ও সুপারিসহ বিভিন্ন ফলের বাগান এবং ঘের করে মৎস্য চাষ করছেন তিনি। খামার বাড়িতে ২ হাজার সুপারি গাছ, ৪০০ মাল্টা গাছ, ৩০০ আম গাছ, দুই শতাধিক কলা ও নারকেল গাছ রয়েছে। আছে পাকা ঘর, ডিপ টিউবওয়েল, গরু ও মুরগির ফার্ম।  সেখানে তার নামে দুইটি বৈদ্যুতিক মিটারও রয়েছে। 

তিনি জানান, ব্যবসায়িক ও পারিবাবিক কারণে তিনি ঢাকায় থাকেন। এ কারণে ম্যানেজার ও কর্মচারীর মাধ্যমে মৎস্য খামার ও ফলের বাগান পরিচালনা করেন। 

মহিবুল্লাহ’র অভিযোগ, মৎস্য ঘের ও ফলবাগানের কর্মচারীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে গত ১ জানুয়ারি সব দখল করে নেন তার আপন চাচাতো ভাই নাজমুল তরফদার ও সোহেল তরফদার। দখলকারী নাজমুল তরফদার ডেমা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি, তার ছোট ভাই রাজিব তরফদার ডেমা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং তাদের ছোট ভাই সোহেল যুবদলের বহিষ্কৃত নেতা। 

মহিবুল্লাহ জানান, বর্তমানে প্রকল্পের কাছে গেলে তার কর্মচারী ও তাকে  প্রাণে মেরে ফেলার হমকি দিচ্ছে নাজমুল, রাজিব ও সোহেলসহ তাদের লোকজন। স্থানীয়ভাবে অনেক চেষ্টা করেও দখলদারদের উচ্ছেদ করতে পারেননি তিনি। ফলে গত ৪ জুন বাগেরহাট সদর সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা করেছেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে এবং তার পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মহিবুল্লাহ।

তিনি পুলিশসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ডেমা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নাজমুল তরফদারকে ফোন করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ ল তরফদ র ব গ রহ ট ব যবস য় কর ছ ন মৎস য

এছাড়াও পড়ুন:

বাগেরহাটে ব্যবসায়ীর ২৩৫ বিঘার ঘের ও খামার বাড়ি দখলের অভিযোগ

দুই চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে ২৩৫ বিঘা জমির ঘের ও খামারবাড়ি দখলের অভিযোগ করেছেন বাগেরহাটে মো. মহিবুল্লাহ মিন্টু নামে এক ব্যবসায়ী। প্রতিবাদ করায় তাকে জীবননাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

তার ভাষ্য, খামার উদ্ধারে কয়েকবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। যে কারণে তিনি আদালতে মামলা করেছেন। 

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন মহিবুল্লাহ। তিনি বাগেরহাটের কাশিমপুর বাজার গ্রামের বাসিন্দা। 

আরো পড়ুন:

‘মারধরের’ ১২ দিন পর সাবেক প্রতিমন্ত্রীর চাচাতো ভাইয়ের মৃত্যু

রূপগঞ্জে গুলিবিদ্ধ সেই ব্যবসায়ীর মৃত্যু

লিখিত বক্তব্যে মহিবুল্লাহ জানান, তিনি মৎস্য ব্যবসায়ী। তার বাবা তরফদার মকবুল হোসেন বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ছিলেন। ডেমা ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া ও চকপঞ্চমালা মৌজায় তার পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত ১৩৫ বিঘা এবং লীজকৃত আরও ১০০ বিঘা মোট ২৩৫ বিঘা জমি রয়েছে।

এই জমিতে গত ৩৯ বছর ধরে মাল্টা, আম, কলা, নারকেল ও সুপারিসহ বিভিন্ন ফলের বাগান এবং ঘের করে মৎস্য চাষ করছেন তিনি। খামার বাড়িতে ২ হাজার সুপারি গাছ, ৪০০ মাল্টা গাছ, ৩০০ আম গাছ, দুই শতাধিক কলা ও নারকেল গাছ রয়েছে। আছে পাকা ঘর, ডিপ টিউবওয়েল, গরু ও মুরগির ফার্ম।  সেখানে তার নামে দুইটি বৈদ্যুতিক মিটারও রয়েছে। 

তিনি জানান, ব্যবসায়িক ও পারিবাবিক কারণে তিনি ঢাকায় থাকেন। এ কারণে ম্যানেজার ও কর্মচারীর মাধ্যমে মৎস্য খামার ও ফলের বাগান পরিচালনা করেন। 

মহিবুল্লাহ’র অভিযোগ, মৎস্য ঘের ও ফলবাগানের কর্মচারীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে গত ১ জানুয়ারি সব দখল করে নেন তার আপন চাচাতো ভাই নাজমুল তরফদার ও সোহেল তরফদার। দখলকারী নাজমুল তরফদার ডেমা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি, তার ছোট ভাই রাজিব তরফদার ডেমা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং তাদের ছোট ভাই সোহেল যুবদলের বহিষ্কৃত নেতা। 

মহিবুল্লাহ জানান, বর্তমানে প্রকল্পের কাছে গেলে তার কর্মচারী ও তাকে  প্রাণে মেরে ফেলার হমকি দিচ্ছে নাজমুল, রাজিব ও সোহেলসহ তাদের লোকজন। স্থানীয়ভাবে অনেক চেষ্টা করেও দখলদারদের উচ্ছেদ করতে পারেননি তিনি। ফলে গত ৪ জুন বাগেরহাট সদর সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা করেছেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে এবং তার পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মহিবুল্লাহ।

তিনি পুলিশসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ডেমা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নাজমুল তরফদারকে ফোন করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ