বেঁচে গেছেন এক যাত্রী, হাসপাতালে ভর্তি
Published: 12th, June 2025 GMT
ভারতের আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটির একজন যাত্রী বেঁচে আছেন। যুক্তরাজ্যের নাগরিক ওই ব্যক্তির নাম বিশ্বাস কুমার রমেশ (৪০)। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে। এর আগে দেশটির সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ওই উড়োজাহাজের ২৪২ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বাস কুমার রমেশ ও তাঁর ভাই অজয় কুমার রমেশ (৪৫) একই ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছিলেন। বিশ্বাস কুমারের আসন নম্বর ছিল ‘১১ এ’। আহত বিশ্বাস কুমারকে আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিশ্বাস কুমার হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, উড়োজাহাজটি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের মাত্র ৩০ তিরিশ সেকেন্ড পরেই বিকট শব্দ হয়, এরপরই বিধ্বস্ত হয়। সবকিছু এত দ্রুত ঘটে গেল। বিশ্বাস বুকে, চোখে ও পায়ে আঘাত পেয়েছেন।
নিজের বোর্ডিং পাস দেখিয়ে বিশ্বাস কুমার বলেন, ‘যখন উঠে দাঁড়ালাম, চারপাশে শুধু লাশ পড়ে ছিল। আমি ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ি; উঠে দাঁড়িয়ে দৌড় দিই। আমার চারপাশে উড়োজাহাজের ভাঙা টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। কেউ একজন আমাকে ধরে অ্যাম্বুলেন্সে তোলে এবং হাসপাতালে নিয়ে আসে।’
বিশ্বাস কুমার ২০ বছর ধরে লন্ডনে বসবাস করেন। সেখানে তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে থাকেন। তিনি বলেন, তার ভাই অজয় একই উড়োজাহাজের আরেক সারিতে ছিলেন। বিশ্বাস বলেন, ‘সে (ভাই) আমার সঙ্গেই যাত্রা করেছিল, এখন তাঁকে খুঁজে পাচ্ছি না। দয়া করে তাকে খুঁজে পেতে আমাকে সাহায্য করুন।’
এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজটি আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গেটউইক যাচ্ছিল। উড়োজাহাজের ২৩০ যাত্রীর মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ ৭ জন পর্তুগিজ ও একজন কানাডিয়ান বলে হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য ইউনূস-তারেক বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠেয় বৈঠক বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় বৈঠকের প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করে এই অভিমত জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সময় আগামীকাল শুক্রবার সকালে লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে এই বৈঠক হবে। যুক্তরাজ্য সফরে এই হোটেলেই অবস্থান করছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস।
আগামীকালের বৈঠকের প্রস্তুতি হিসেবে বিএনপির একজন প্রতিনিধি আজ তাঁদের কাছে এসেছিলেন বলে ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘আমরা আশা করছি, কালকে নয়টার মধ্যেই ওনারা আসবেন। আসার পরে একটা ওয়ান টু ওয়ান মিটিং হবে। এই ক্ষেত্রে ওনারা যদি মনে করেন আরও কেউ থাকবে, সেটা এই দুজন লিডারই এটা ডিসাইড করবেন (সিদ্ধান্ত নেবেন)।’
এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠক বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের সামনের রাজনৈতিক বাস্তবতার জন্য উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, ‘সামনে নির্বাচনের একটি সময় দেওয়া হয়েছে এপ্রিলে, এই মিটিংটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই মিটিংয়ে আমরা আশা করছি যে তাঁরা এখানে আসলে কি এজেন্ডা এটা না, তাঁরা যে মিটিং করছেন এবং তাঁরা সবকিছুই আলাপ করবেন। কেননা তাঁরা একজন হচ্ছেন এখনকার ইন্টেরিম গভর্নমেন্টের প্রধান, আরেকজন হচ্ছেন বাংলাদেশের লার্জেস্ট পলিটিক্যাল পার্টির (সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল) প্রধান। তাঁদের দুজনের মধ্যে আলোচনা হবে এবং তাঁরা সবকিছু নিয়ে আলোচনা করবেন।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে, তা নিয়ে কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ চলছিল। এর মধ্যে ঈদের আগের দিন জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আগামী এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন হবে। তবে ডিসেম্বরে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসা বিএনপির নেতারা এরপরও তাঁদের ওই দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।
এই পরিস্থিতিতে লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এই বৈঠক নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।