তারকাবিহীন দল নিয়ে বাংলাদেশ সফরে পাকিস্তান
Published: 13th, June 2025 GMT
বাংলাদেশের বিপক্ষে সাম্প্রতিক টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তান খেলেছিল তাদের সবচেয়ে আলোচিত তিন তারকা- বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শাহিন শাহ আফ্রিদিকে ছাড়া। আর এই ধারা অব্যাহত থাকতে পারে আরও কিছুদিন। পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) যে ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় এই অভিজ্ঞ তারকাদের জায়গায় নতুন মুখের উপর ভরসা রাখছে, তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে।
ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, পাকিস্তানের সাদা বলের কোচ মাইক হেসন এবং নির্বাচক প্যানেল ভবিষ্যতের দল গঠনের লক্ষ্যে তরুণদের নিয়ে নতুন করে ভাবছে। ফলাফল? সামনের সিরিজগুলোতেও বাদ পড়তে পারেন বাবর-রিজওয়ানরা।
আগামী মাসে বাংলাদেশের মাটিতে তিন ম্যাচের একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজনের সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক সূচি প্রকাশ হয়নি, তবে তার আগেই জোরালো আভাস পাওয়া যাচ্ছে এই সফরেও পাকিস্তান তাদের তারকা ব্যাটসম্যানদের ছাড়াই মাঠে নামতে পারে। শুধু বাংলাদেশ নয়, এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্যও একই রকম পরিকল্পনা করছে পিসিবি। দুই সিরিজের দল ঘোষণা করা হতে পারে আগামী সপ্তাহেই।
আরো পড়ুন:
দল গোছাতে সময় চাইলেন সিমন্স
হোয়াইটওয়াশের পর লিটন বললেন, ‘আমরা ঘুরে দাঁড়াব’
উল্লেখ্য, বাবর ও রিজওয়ান সবশেষ পাকিস্তানের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। এরপর নিউ জিল্যান্ড ও বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা ৮ টি-টোয়েন্টির একটিতেও দেখা যায়নি এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারকে। সেই ম্যাচগুলোয় দলের নেতৃত্ব সামলেছেন সালমান আলী আগা।
তবে শাহিন আফ্রিদির ব্যাপারটা খানিকটা ভিন্ন। নিউ জিল্যান্ড সফরে তাকে খেলানো হলেও সেখানেও ছিল হতাশাজনক পারফরম্যান্স। চার ম্যাচে মাত্র ২ উইকেট, ইকোনমি রেট ১০.
পাকিস্তানের দৃষ্টিভঙ্গিতে এটা নিছক বিশ্রাম নয় বরং নতুন দলে ভিন্ন কৌশল প্রয়োগের ইঙ্গিত। তরুণদের উঠে আসার সুযোগ করে দিতেই কি তবে বড় তারকাদের 'ছায়ায়' রাখা হচ্ছে?
যদি তাই হয়, তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে আবারো দেখা যেতে পারে একটি পরীক্ষামূলক ও তারকাবিহীন পাকিস্তান দল। যেখানে ভবিষ্যতের ক্রিকেটারদের প্রস্তুত করতে চায় দলটির ম্যানেজমেন্ট।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।
লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।