দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নূরজাহানপুর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পঞ্চগড় থেকে ঢাকাগামী নাবিল পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস সড়কের পাশে থেমে থাকা আমবোঝাই একটি মিনি ট্রাককে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা বালুবোঝাই আরেকটি ট্রাকের পেছনে গিয়ে ধাক্কা দেয়।

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও নিহত ব্যক্তিরা মধ্যে সবাই পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও নোয়াখালী জেলার বাসিন্দা। তাঁরা পঞ্চগড় থেকে ঢাকাগামী নাবিল পরিবহনের যাত্রী ছিলেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন যাত্রীর নাম-পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাঁর নাম তামান্না আক্তার (২৪)। তিনি নোয়াখালীর হাশেম আলীর মেয়ে।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকিব হাসান ও তাঁর স্ত্রী মৃত্তিকা, বালাভির গ্রামের তরিকুল ইসলাম, ইসলামপুরের নাসিমা বেগম, ঘোড়াঘাট উপজেলার মাসুদ রানা, নবাবগঞ্জ উপজেলার গাজীবুর রহমান এবং নোয়াখালীর ফখরুল ইসলাম। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, বাকিরা দিনাজপুর ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনায় বাসটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় ৯ জনকে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা আরও ২ জনকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হক বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম চালান। নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ঘ ড় ঘ ট উপজ ল দ র ঘটন উপজ ল র ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

কামরাঙ্গীরচরে বাবার ছুরিকাঘাতে ছেলে খুন

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে রাহাবুল ইসলাম (২৫) নামের এক হোটেল কর্মচারি খুন হয়েছেন। শনিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। 

কামরাঙ্গীরচর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ লুৎফর রহমান বলেন, কামরাঙ্গীরচর থানাধীন ঝাউচর এলাকায় হোটেল কর্মচারি রাহাবুল খুন হয়েছেন। পারিবারিক বিরোধের জেরে রাহাবুলকে তার বাবা জুয়েল রানা খুন করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। 

এ দিকে নিহত রাহাবুলের মামা হুমায়ুন বলেন, তার বোন শাহানাজ কাজের সূত্রে জর্ডানে থাকেন। তার ভাগনে রাহাবুল এবং বোনের স্বামী জুয়েল রানা কামরাঙ্গীরচরের যাউচর এলাকায় একটি হোটেলে কাজ করতেন। শনিবার রাতে পারিবারিক বিরোধের জেরে ছুরিকাঘাত করে রাহাবুলকে হত্যা করেন বোনের স্বামী। 

পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত জুয়েল রানাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। কি কারণে ছেলেকে বাবা হত্যা করেছেন সেটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ