বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। তার অভিনীত ‘জিরো’ সিনেমা ২০১৮ সালে মুক্তি পায়। কিন্তু বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে এটি। এরপর কয়েকটি সিনেমায় ক্যামিও চরিত্রে দেখা যায় শাহরুখ খানকে। মূলত, ‘জিরো’ সিনেমা মুক্তির পর বিরতি নেন তিনি।
প্রস্তুতি নিয়ে ২০২০ সালের শেষ লগ্নে ‘পাঠান’ সিনেমার শুটিং শুরু করেন শাহরুখ। সর্বশেষ ২০২৩ সালে মুক্তি পায় সিনেমাটি। দীর্ঘ চার বছর পর এ সিনেমার মাধ্যমে রাজকীয়ভাবে প্রেক্ষাগৃহে ফিরেন শাহরুখ। আর ফিরেই বক্স অফিসে ঝড় তুলেন শাহরুখ; পাশাপাশি দর্শকদের মুঠো মুঠো ভালোবাসা কুড়ান। এ সিনেমা এক হাজার কোটি রুপির বেশি আয় করে।
২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পায় ‘পাঠান’ সিনেমা। এরপর প্রায় সাড়ে সাত মাসের বিরতি নেন শাহরুখ। একই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায় তার অভিনীত ‘জওয়ান’ সিনেমা। এটি মুক্তির পরও বক্স অফিসে নতুন করে ঝড় তুলে। ‘পাঠান’ সিনেমার মতো ‘জওয়ান’-এর জন্য ভালোবাসা কুড়ান শাহরুখ। সিনেমাটি ১১৬০ কোটি রুপি আয় করে।
২০২৩ সালের ২১ ডিসেম্বর মুক্তি পায় শাহরুখ খানের ‘ডাঙ্কি’ সিনেমা। মুক্তির পর দর্শক-সমালোচকদের ভূয়সী প্রশংসা যেমন কুড়ায়, তেমনি বক্স অফিসেও সিনেমাটি ভালো সাড়া ফেলে। এরপর তার আর কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। বর্তমানে ‘কিং’ সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এরই মধ্যে জোরালো গুঞ্জন উড়ছে, দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রভাবশালী প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মিথরি মুভি মেকার্স শাহরুখকে নিয়ে প্যান-ইন্ডিয়ান সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন। আর এজন্য ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নিচ্ছেন কিং খান।
ইন্ডিয়া ডটকমের তথ্য অনুসারে, মিথরি মুভি মেকার্সের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে আল্লু অর্জুন অভিনীত ‘পুষ্পা’ সিনেমা। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একাধিকবার মিটিং করেছেন শাহরুখ। সর্বশেষ প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন কিং খান। তবে শাহরুখ খান এ প্রজেক্টের জন্য ৩০০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪২৩ কোটি টাকার বেশি) পারিশ্রমিক দাবি করেছেন।
তবে শাহরুখ খানের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র পিঙ্কভিলাকে বলেন, “শাহরুখ খান বর্তমানে ‘কিং’ সিনেমার উপর পুরোপুরি মনোযোগ দিয়েছেন। বলা যায়, তার সমস্ত শক্তি ব্যয় করছেন। চলতি বছরের শেষ নাগাদ নতুন সিনেমার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। মিথরি মুভির সঙ্গে কোনো বৈঠক করেননি, চিত্রনাট্যের বিষয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি শাহরুখ।”
মিথরি মুভি মেকার্সের সঙ্গে শাহরুখের প্রজেক্ট নিয়ে শোবিজ অঙ্গনে জোর চর্চা চললেও এ নিয়ে টু-শব্দ করেননি শাহরুখ খান।
শাহরুখ খানের পরবর্তী সিনেমা ‘কিং’। এতে তার সহশিল্পী দীপিকা পাড়ুকোন। মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকার কারণে সিনেমাটির কাজ পিছিয়ে নেন শাহরুখ। চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ‘কিং’ সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নেবেন দীপিকা পাড়ুকোন।
সিনেমাটির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে আরো অভিনয় করবেন— অভিষেক বচ্চন, জয়দীপ আহলাওয়াত। আগামী বছরের দ্বিতীয়ার্ধে সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করেছেন নির্মাতারা। এটি পরিচালনা করছেন সিদ্ধার্থ আনন্দ।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ক ত র পর কর ছ ন বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৫ প্রকৌশলী ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের স্থপতি বরখাস্
বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় অসদাচরণের অভিযোগে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৫ প্রকৌশলী এবং স্থাপত্য অধিদপ্তরের স্থপতিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরখাস্তকৃতরা হলেন: গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান মনি, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবদুল্লা আল মামুন, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোছাঃ রাহানুমা তাজনীন, নির্বাহী প্রকৌশলী ফারহানা আহমেদ, সহকারী প্রকৌশলী মফিজুল ইসলাম এবং স্থাপত্য অধিদপ্তরের সহকারী স্থপতি শিরাজী তারিকুল ইসলাম।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় জানায়, কর্মস্থলে বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকায় অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত আদেশের মাধ্যমে এ সকল কর্মকর্তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, মনিরুজ্জামান মনি টরেন্টো ইউনিভার্সিটিতে ডক্টোরাল প্রোগ্রামে অংশ নিতে ২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ছুটি কাটানোর পর পরবর্তী সময়ে অনুমতি না নিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী তাকে ২১ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে বরখাস্ত করা হয়।
আবদুল্লা আল মামুন পিএইচ.ডি করতে ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটিতে ছিলেন। এরপর থেকে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত। সরকারি কর্মচারী বিধিমালা মোতাবেক তাকে ১৫ মে ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
মোছাঃ রাহানুমা তাজনীন ২০২১ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের জুলাইয়ের ৭ তারিখ পর্যন্ত ছুটিতে ছিলেন। ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে অননুমোদিতভাবে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তাকে ২ জুলাই ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
ফারহানা আহমেদ ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তাকে ৮ জুলাই ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
মফিজুল ইসলাম ২০২৩ এর ২০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটি কাটালেও পরে ছুটি না নিয়ে অফিসে অনুপস্থিত। তাকে ২৭ জুলাই ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
শিরাজী তারিকুল ইসলামও ২০২২ সালের ১২ মে থেকে ছুটি না নিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তাকে ২১ মে ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন//