আরব দেশগুলোর নীরবতায় একা হয়ে পড়েছে ইরান
Published: 15th, June 2025 GMT
ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলায় সামরিকভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে ইরান। হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ একক বা জোটগতভাবে ইসরায়েলের নিন্দা জানিয়েছে। কিন্তু হামাস, হিজবুল্লাহ ও হুতিদের মতো তেহরানের সহায়তাপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অবস্থা বেশ দুর্বল হওয়ায় ইতিহাসের চরম এই ক্রান্তিকালে দেশটি এই মিত্রদের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো সহায়তা পাচ্ছে না। চরম এই সংকটকালে উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশটিকে এখন বড় নিঃসঙ্গ মনে হচ্ছে।
ইরানে গত শুক্রবার ভোররাতে ইসরায়েলের হামলার কয়েক ঘণ্টা পর এক বিবৃতিতে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ভ্রাতৃপ্রতিম ইরানের ওপর ইসরায়েলের এই বর্বর হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। ওমান, কাতার, কুয়েত ও বাহরাইনও প্রায় একই সুরে বিবৃতি দিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্য, বিশেষ করে আরব (পারস্য) উপসাগরীয় অঞ্চলের অনেক দেশ ইরানের বর্তমান শাসকদের পছন্দ করে না। প্রকাশ্যে তারা ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানালেও তাদের প্রকৃত চাওয়া ভিন্ন। রাজনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্যই তারা এসব নিন্দা জানাচ্ছে। ইরানকে দুর্বল করাটাই অনেক উপসাগরীয় দেশের প্রকৃত চাওয়া।
ভয়, শঙ্কা ও কূটনৈতিক কৌশলউপসাগরীয় দেশগুলো দুই ধরনের শঙ্কায় রয়েছে। একদিকে তাদের অধিকাংশ দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি আছে। ফলে বড় যুদ্ধ হলে ইরান এসব ঘাঁটিতে পাল্টা আঘাত হানতে পারে। অন্যদিকে যুদ্ধ বাধলে তেলের দাম, বাণিজ্যপথ এবং অঞ্চলটির অনেক দেশের বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প হুমকিতে পড়বে।
ফ্রেডরিখ এবার্ট ফাউন্ডেশনের মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ মার্কাস স্নাইডার ডয়চে ভেলেকে বলেন, যুদ্ধ হলে নিজেরা নিরাপদ থাকতে পারবেন না, এটা উপসাগরীয় নেতারা জানেন। এসব দেশের ইসরায়েলের মতো কোনো কার্যকর প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও নেই।
তাই সৌদি আরবসহ অন্যান্য প্রতিবেশী দেশ ইসরায়েলের নিন্দা করার পাশাপাশি ইরানের প্রতিও শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। এই বিবৃতি ছাড়া সংঘাত বন্ধে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি বা বিশ্বজনমত তৈরির পক্ষে তারা কোনো কাজ করছে না।
চ্যাথাম হাউসের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা কর্মসূচির পরিচালক সানাম ভাকিল বলেন, উপসাগরীয় দেশগুলো প্রকাশ্যে ইসরায়েলকে ধিক্কার জানালেও অনেকেই মনে মনে তেহরানকে দুর্বল দেখলেই বেশি খুশি হবে। কূটনৈতিক চাপের কারণে দেশগুলো এ রকম দ্বিমুখী আচরণ করছে বলে মনে করেন সানাম ভাকিল। এসব দেশের কোনোটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হোক, তা চায় না। আবার ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ বাধলে নিজেদের যে মাশুল গুনতে হবে, তা নিয়েও তারা উদ্বিগ্ন।
২০১৯ সালে সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় হুতিদের ড্রোন হামলা কিংবা ২০২২ সালে আবুধাবিতে হামলার স্মৃতি এখনো টাটকা। সৌদি আরব ও আমিরাতের দাবি, এসব হামলার সঙ্গে ইরানের পরোক্ষ সংশ্লিষ্টতা ছিল।
হিজবুল্লাহ, হুতি ও ইরাকি মিলিশিয়ারা চুপ
ইরানের ওপর ইসরায়েলের হামলা নিয়ে হিজবুল্লাহ শুধু নিন্দা জানিয়েছে। তারা ইসরায়েলে হামলার ঘোষণা দেয়নি। হুতিরা ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে দু-একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। কিন্তু কয়েক মাস আগেও ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠীটির ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানোর যতটা সক্ষমতা ছিল, বর্তমানে তা নেই। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের দফায় দফায় বিমান হামলায় গোষ্ঠীটির সামরিক সক্ষমতা উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে।
এসব গোষ্ঠী এখন দুর্বল। গত বছর ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে হিজবুল্লাহর অনেক যোদ্ধা ও শীর্ষ নেতৃত্ব নিহত হয়েছেন। লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটির নেতৃত্ব প্রায় ভেঙে পড়েছে। অস্ত্রভান্ডার ধ্বংস হয়ে গেছে। ইরানের সহায়তাপুষ্ট ইরাকের মিলিশিয়ারা সরকারি বাহিনীর অংশ হয়ে গেছে। সরকারে যোগ দিয়ে তারা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ছিলেন ইরানের ঐতিহাসিক মিত্র। গত ডিসেম্বরে তাঁর পতন হয়েছে। এরপর সেখান থেকে ইরান সব সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। লেবাননে হিজবুল্লাহর কাছে অস্ত্র পাঠানোর জন্য সিরিয়াকে ব্যবহার করত ইরান, এখন যা বন্ধ হয়ে গেছে।
সৌদি আরবের কৌশলসৌদি আরব ২০১৬ সালে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল, যা গত বছর চীনের মধ্যস্থতায় পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। সুন্নি মুসলিম বিশ্বের নেতা হিসেবে পরিচিত এই দেশ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংঘাতপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করার চেষ্টা করছে। গাজা যুদ্ধ নিয়েও সৌদি নেতারা বড় সম্মেলন করেছেন।
জার্মানির বন-ভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক কারপোর জ্যেষ্ঠ গবেষক ও উপসাগরীয় অঞ্চল-বিশেষজ্ঞ সেবাস্তিয়ান সন্স বলেন, সৌদি আরব এখন কোনো ঝুঁকি নয়, স্থিতিশীলতা চায়। তাই দেশটি যুদ্ধের পরিবর্তে কূটনৈতিক সমাধানকে প্রাধান্য দিচ্ছে।
আব্রাহাম চুক্তির প্রলোভনমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ২০২০ সালে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন শুরু করে ইসরায়েল, যা আব্রাহাম চুক্তি নামে পরিচিত। সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), বাহরাইন, সুদান ও মরক্কো এতে সই করেছে। সৌদি আরবসহ আরও কিছু দেশের এই চুক্তিতে সই করার প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে।
কোনো কোনো বিশ্লেষক মনে করেন, সৌদি এই চুক্তিতে সই করতে যাচ্ছে এমন আশঙ্কা থেকেই ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল হামাস।
উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো কেন আব্রাহাম চুক্তিতে সই করতে চায়, এর উত্তরে মার্কাস স্নাইডার বলেন, এসব দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের অত্যাধুনিক সামরিক ও নজরদারি যন্ত্রপাতি পেতে আগ্রহী। নিজেদের নিরাপত্তার জন্য তারা এসব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে।
অন্যদিকে উপসাগরীয় অঞ্চলের অনেক দেশ ইরানকে নিজেদের জন্য হুমকি মনে করে। এসব হিসাব-নিকাশের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তারা অনেকটা নীরব প্রত্যক্ষদর্শীর ভূমিকা পালন করছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র ইসর য় ল র র অন ক দ শ ক টন ত ক দ র বল র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
শিকারি ইসরায়েলকেই ভুক্তভোগী দেখাচ্ছে পশ্চিমারা
ইসরায়েল শুক্রবার সকালে কোনো উস্কানি ছাড়াই ইরানের অভ্যন্তরে ইস্পাহান ও তেহরানকে নিশানা করে বিমান হামলা চালায়। এ হামলায় বিজ্ঞানী, জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা, নারী-পুরুষসহ অনেক বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারায়। অথচ পশ্চিমা নেতৃত্ব ও মিডিয়া ইসরায়েলের আগ্রাসনকে ‘প্রিএম্পটিভ’ তথা সম্ভাব্য বিপদ ঠেকাতে আগাম হামলা হিসেবে দেখাচ্ছে। মার্কিন সিনেটের নেতা জন থুন জোর দিয়ে বলেছেন, ‘ইরানি আগ্রাসন’ বন্ধ ও আমেরিকার সুরক্ষার জন্যই ইসরায়েল হামলা করেছে।
মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইসরায়েলের অব্যাহত আগ্রাসনের পরও পশ্চিমা বিশ্ব শিকারি ইসরায়েলকে তারই শিকারদের দ্বারা আক্রান্ত এক ‘ভিকটিম’ বা ভুক্তভোগী হিসেবে উপস্থাপন করছে। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল যখন বসতি স্থাপনকারী ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র গঠন করেছে, তখন থেকেই পশ্চিমাদের এ প্রবণতা স্পষ্ট। ইসরায়েল যতই ভূমি দখল করছে ও মানুষকে নিপীড়ন করছে, ততই পশ্চিমারা তাকে ভুক্তভোগী হিসেবে দেখাচ্ছে। এই উপস্থাপনা আকস্মিক বা কোনো দুর্ঘটনা নয়।
১৯৬৭ সালের জুন মাসের যুদ্ধে পশ্চিমারা ইসরায়েলকে ভুক্তভোগী হিসেবে দেখায়। তাকে ধরাছোঁয়ার ঊর্ধ্বে স্থান দেয়। এর ফলে পশ্চিমা খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন দাঁড়ায় বহু গুণ, যারা আরব ও ফিলিস্তিনিদের অত্যাচারী হিসেবে দেখে। ইসরায়েলের ভূমি দখলের বিষয়টি আত্মরক্ষার সাহসী ভূমিকা হিসেবে উদযাপন করা হয়। এর মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে পশ্চিমা বিশ্ব ‘ভুক্তভোগী’ ও ‘আগ্রাসী’র যে চরিত্র অঙ্কন করেছিল, তা এখনও চলমান।
১৯৪৮ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত ইসরায়েল ৫০০ ফিলিস্তিনি গ্রাম ধ্বংস করে সেখানে ইহুদি উপনিবেশ বানায়। এই দখলকে পশ্চিমা বিশ্ব অলৌকিক ঘটনা হিসেবে স্বাগত জানায়। ফিলিস্তিনিদের হারানো ভূমিতে জায়নবাদীরা যে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে, পশ্চিমারা কখনোই তার সমালোচনা করেনি। উল্টা ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখলের জন্য ইসরায়েলকে মহিমান্বিত করার পাশাপাশি পশ্চিমারা তাদের ছোট্ট রাষ্ট্রের জন্য বিলাপ করেছে। তারা ইসরায়েলের উপনিবেশবাদী সম্প্রসারণ পরিকল্পনাকে সমর্থন দিয়েছে এবং ভালোভাবেই এ দখলকর্ম চলছিল। ভাবটা এমন যে, ভুক্তভোগী হিসেবে ইসরায়েলের আরও ভূমি দখল করা প্রয়োজন।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একই অবস্থান ব্যক্ত করেছেন। তিনি ফেব্রুয়ারি মাসে ইসরায়েলের পশ্চিম তীর সম্প্রসারণের পরিকল্পনাকে সমর্থন করে দাবি করেছেন, ‘এটি (ইসরায়েল) ছোট্ট একটি দেশ… ভূমির পরিমাণের দিক থেকে এটি ছোট দেশ।’
২৯ জুন ১৯৬৭ সালে ইসরায়েলের দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমকে পশ্চিম জেরুজালেমের সম্প্রসারিত অংশ হিসেবে গ্রহণ করে পরে ফিলিস্তিনি-জর্ডানি মেয়রকে বরখাস্ত করে। এভাবে পৌর পরিষদ ভেঙে পুরো শহরকে ইহুদীকরণ করে। দখলের পরপরই শহরটিকে ঐতিহাসিক স্থাপনা হিসেবে ঘোষণা করে সব রকম নির্মাণকাজ নিষিদ্ধ করে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তখন ইহুদি উপাসনালয় আবিষ্কার করতে সেখানে প্রত্নস্থল খনন এবং এ কাজ করতে গিয়ে ফিলিস্তিনি অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা ধ্বংস করে, যার মধ্যে ছিল চতুর্দশ শতাব্দীর ফখরিয়া হাসপাতাল ও আল তানজিকিয়া স্কুল। ১৯৮০ সালে ইসরায়েল অফিসিয়ালি শহরটিকে দখল করে নেয়, যদিও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশনে একে বেআইনি হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
মুসলমানদের পবিত্র স্থাপনাগুলোর নিচে ও আশপাশে তারা খননকার্য চালাতে থাকে এ আশায়– সেখানে ইহুদিদের প্রথম উপাসনালয় পাওয়া যাবে, যা আসলে পাওয়া যায়নি। এর পর শুরু হয় জেরুজালেমের ফিলিস্তিনি উচ্ছেদ কার্যক্রম। দখলকৃত এলাকায় তারা সময়ে সময়ে কারফিউ জারি করে এবং গণহারে মানুষকে শাস্তি দেয়। ইসরায়েলিরা এমনকি পশ্চিম তীরের নাম বদলে বাইবেলের কল্পিত নাম অনুসারে ‘জুদিয়া ও সামারিয়া’ রাখে, এভাবে শহর ও সড়কের নাম পাল্টে দেয়।
এ পথ ধরেই চলমান জেনোসাইড ঘটানো হচ্ছে ফিলিস্তিনে। ইসরায়েলের পশ্চিমা সমর্থক ও তহবিলদাতারা এগুলোকে হয় প্রশংসা করেছে, না হয় এদের ব্যাপারে উদাসীন থেকেছে।
এভাবে ইসরায়েল যতই তার শিকারদের ওপর নিষ্ঠুরতা চালাচ্ছে ততই যেন পশ্চিমা সমর্থন তার প্রতি বাড়ছে। আশ্চর্যের কিছু নেই– ইসরায়েলের সর্বশেষ ইরান হামলার পরই শুধু নয়; গাজায় গণহত্যামূলক অভিযান, পশ্চিম তীর, লেবানন, সিরিয়া ও ইয়েমেনে আগ্রাসন চালানোর সময়েও তার পশ্চিমা মিত্ররা সমর্থনের এই ধারা অব্যাহত রেখেছে। তাদের দৃষ্টিতে ইসরায়েল শুধু আত্মরক্ষাই করছে না, বরং পশ্চিমাদের প্রক্সি হিসেবেও কাজ করছে। ইসরায়েলের এই চলমান ধ্বংসযজ্ঞ আবারও স্পষ্টভাবে দেখায়– পশ্চিমারা কীভাবে ‘শিকার’ হিসেবে ভান করে; অ-পশ্চিমা শিকারদের ওপর সর্বোচ্চ বর্বরতা চালায় এবং তার পক্ষে সম্মতি আদায় করে।
জোসেফ মাসাদ: অধ্যাপক, মডার্ন আরব পলিটিক্স অ্যান্ড ইন্টেলেকচুয়াল হিস্টোরি, কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র; মিডল ইস্ট আই থেকে সংক্ষেপিত ভাষান্তর মাহফুজুর রহমান মানিক