যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম ও তাঁর স্বামী তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেডসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে সাইদা মুনা তাসনিম ও তাঁর স্বামী বিভিন্ন ব্যাংক থেকে যে অর্থ ঋণ হিসেবে নিয়েছেন, তা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করেছেন।’

তৌহিদুল ইসলাম জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান। প্রতিষ্ঠানটির পাশাপাশি আরও ১২টি নামসর্বস্ব ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল অঙ্কের ঋণ নিয়ে বিদেশে অর্থ পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

দুদক বলেছে, ইউসিবিএল, ব্যাংক এশিয়া, ইস্টার্ন ব্যাংক (ইবিএল), সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, এনবিএল, ট্রাস্ট ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, এবি ব্যাংকসহ অন্তত ৯টি ব্যাংক থেকে এসব অর্থ নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর রেকর্ডও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সাইদা মুনা তাসনিম যুক্তরাজ্যে হাইকমিশনারের নিয়োগ পাওয়ার আগে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কূটনীতিক হিসেবে তিনি জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ও লন্ডন মিশনে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

আরও পড়ুনলন্ডনের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীমকে ফেরত আনা হচ্ছে ঢাকায়২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিসিএস (পররাষ্ট্র ক্যাডার) ১১তম ব্যাচের কর্মকর্তা সাইদা মুনা তাসনিমের গত ২৬ ডিসেম্বর অবসরোত্তর ছুটি শুরু হয়েছে। তার আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে তাঁকে লন্ডনের দায়িত্বভার ত্যাগ করে অনতিবিলম্বে ঢাকায় ফেরার আদেশ দিয়েছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু তিনি আর ঢাকায় ফেরেননি।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বন্ধুদের নিয়ে ‘উড়াল’

আট বছর আগে জোবায়দুর রহমানকে গল্পটা শুনিয়েছিলেন সম্রাট প্রামানিক। জোবায়দুর তখন সহকারী পরিচালক, স্বপ্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়া। কয়েক বছর পর সত্যি সত্যিই যখন সিনেমা নির্মাণের কথা ভাবলেন, শুরুতেই তাঁর সেই গল্পের কথা মনে পড়ল। সম্রাটকে ফোন করলেন জোবায়দুর, চায়ের দোকানে বসে আবারও গল্পটা শুনলেন। ঠিক করলেন, এ গল্প থেকেই ছবি বানাবেন তিনি।

পেশাদার কোনো প্রযোজকের কাছে যাননি জোবায়দুর, নিজেরাই স্বাধীনভাবে ছবিটি নির্মাণ করেছেন; পাশে ছিলেন ভাই-বন্ধুরা। নির্মাতা বললেন, ‘এটাই আমার প্রথম নির্মাণ, আগে কোনো কাজ করিনি। কী করা যায়? আশপাশের ভাই–বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করলাম। শরীফ সিরাজ, সম্রাট প্রামানিক, জহিরুল ইসলামসহ তিন-চারজন মিলে কাজটা শুরু করি।’ তাঁরা কেন বিনিয়োগ করলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্মাতা জোবায়দুর বলেন, ‘গল্পের কারণে আগ্রহী হয়েছেন তাঁরা।’

শুটিংয়র ফাঁকে তোলা ছবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ