সাবেক রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনিম ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ২ হাজার কোটি টাকা পাচারের অনুসন্ধান শুরু
Published: 16th, June 2025 GMT
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম ও তাঁর স্বামী তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেডসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে সাইদা মুনা তাসনিম ও তাঁর স্বামী বিভিন্ন ব্যাংক থেকে যে অর্থ ঋণ হিসেবে নিয়েছেন, তা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করেছেন।’
তৌহিদুল ইসলাম জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান। প্রতিষ্ঠানটির পাশাপাশি আরও ১২টি নামসর্বস্ব ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল অঙ্কের ঋণ নিয়ে বিদেশে অর্থ পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
দুদক বলেছে, ইউসিবিএল, ব্যাংক এশিয়া, ইস্টার্ন ব্যাংক (ইবিএল), সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, এনবিএল, ট্রাস্ট ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, এবি ব্যাংকসহ অন্তত ৯টি ব্যাংক থেকে এসব অর্থ নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর রেকর্ডও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সাইদা মুনা তাসনিম যুক্তরাজ্যে হাইকমিশনারের নিয়োগ পাওয়ার আগে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কূটনীতিক হিসেবে তিনি জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ও লন্ডন মিশনে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুনলন্ডনের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীমকে ফেরত আনা হচ্ছে ঢাকায়২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪বিসিএস (পররাষ্ট্র ক্যাডার) ১১তম ব্যাচের কর্মকর্তা সাইদা মুনা তাসনিমের গত ২৬ ডিসেম্বর অবসরোত্তর ছুটি শুরু হয়েছে। তার আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে তাঁকে লন্ডনের দায়িত্বভার ত্যাগ করে অনতিবিলম্বে ঢাকায় ফেরার আদেশ দিয়েছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু তিনি আর ঢাকায় ফেরেননি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
খামেনিকে হত্যায় সংঘাত বাড়বে না, বরং অবসান ঘটাবে: নেতানিয়াহু
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার আশঙ্কার বিষয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানি শীর্ষ নেতার হত্যায় ‘সংঘাত বাড়বে না, বরং অবসান ঘটাবে’।
তিনি বলেন, ‘ইরানি নেতার হত্যার সম্ভাব্য পরিকল্পনা ইরান ও ইসরায়েল মধ্যকার চলমান সংঘাতকে ‘আরও বাড়িয়ে তুলবে না, বরং সংঘাতের অবসান ঘটাবে’।
এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহুকে প্রশ্ন করা হয়, খামেনিকে হত্যার লক্ষ্যবস্তু করার চিন্তা আছে কিনা। প্রশ্নের জবাবে নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরান দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। ইরান ‘চিরস্থায়ী যুদ্ধ’ চায় এবং ইসরায়েলে পরমাণু যুদ্ধের কিনারায় নিয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, ইসরায়েল এই আগ্রাসন ঠেকাচ্ছে। এটা ঠেকাতে হলে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই হবে। আমরা যা প্রয়োজন, তাই করছি।
ইরানের সঙ্গে সংঘর্ষে ইসরায়েল বিজয় অর্জন করতে যাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সোমবার ইসরায়েলি বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, আমরা বিজয় অর্জনের পথে। এর আগে, তেহরানের আকাশ ‘পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ অর্জন’ করার দাবি করেন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী কর্মকর্তারা। সেইসঙ্গে, ইরানের মিসাইল লঞ্চার বা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ যন্ত্রের ‘এক-তৃতীয়াংশ ধ্বংস'’করে দেওয়ারও দাবি করেন তারা।
সেই দাবিই পুনর্ব্যক্ত করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের দু'টি লক্ষ্য অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। পারমাণবিক হুমকি নির্মূল এবং ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি নির্মূল করা।
ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদেরকে ইরান হামলার লক্ষ্যবস্তুে পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেন নেতানিয়াহু। বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনের সময় সেখানে উপস্থিত সেনাদের উদ্দেশে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের ধন্যবাদ। সৃষ্টিকর্তার সাহায্যে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করবো এবং সফল হব। বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত আমরা (যুদ্ধ) চালিয়ে যাব।’