ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলায় নিখোঁজের তিন দিন পর আবু রায়হান নেহাল (১৭) নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৬) জুন রাত ১০টার দিকে উপজেলার ভাইটকান্দি গ্রামের সোবহানের বাড়ির পেছনের সেপটিক ট্যাংকির ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়। ফুলপুর থানার ওসি আব্দুল হাদী এ তথ্য জানান। 

মারা যাওয়া নেহাল উপজেলার ছনধরা ইউনিয়নের হরিনাদী তারাকান্দা গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। সে ভাইটকান্দি স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

আরো পড়ুন:

ঝিনাইদহে ছেলের হাতে বাবা খুন

কারাগারে ‘ফাঁস নিলেন’ জুলাই-আগস্ট হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সুজন

স্থানীয় সূত্র জানায়, নেহাল গত ১৩ জুন শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ভাইটকান্দি সখল্যা মোড় থেকে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি পরিবার। গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে সখল্যা গ্রামের সোবহানের বাড়ির পেছনের সেপটিক ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। পরে ট্যাঙকের ঢাকনা সরিয়ে মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পুলিশ গিয়ে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

ফুলপুর থানার ওসি আব্দুল হাদী বলেন, ‍“ধারণা করা হচ্ছে প্রেম ঘটিত কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। বাদী আজ এজাহার দিলে বিস্তারিত বলা যাবে। দোষীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করা হয়েছে।”

ঢাকা/মিলন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ উদ ধ র মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

এটিএম বুথে কিশোরীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত সেই নিরাপত্তাকর্মী গ্রেপ্তার

গাজীপুরের শ্রীপুরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে বেসরকারি ব্যাংকের এটিএম বুথের ভেতরে কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের মামলার একমাত্র আসামি মো. লিটন মিয়াকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক।

এর আগে গত রোববার দুপুরে শ্রীপুরের মুলাইদ গ্রামের একটি কারখানার সামনে বেসরকারি ব্যাংকের এটিএম বুথের ভেতরে এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত মো. লিটন মিয়া শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের আতাবুদ্দিন মুসার বাড়ির ভাড়াটে এবং ওই এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে গত রোববার রাতে শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে লিটনকে একমাত্র আসামি করা হয়। ঘটনার পর থেকে লিটন পলাতক ছিলেন। তিনি একাধিকবার স্থান পরিবর্তন করে আত্মগোপনে ছিলেন। সোমবার তাকে ধরতে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালায়। অভিযানে ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে লিটনের পিছু নেয় আভিযানিক দলটি। একপর্যায়ে তাকে গাজীপুরের শ্রীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের আনসার রোড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঘটনার বিষয়ে কিশোরীর বাবা প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বলেছেন, তিনি টাকা তোলার জন্য ওই এটিএম বুথে নিয়মিত আসা-যাওয়া করতেন। একপর্যায়ে নিরাপত্তাকর্মী মো. লিটনের সঙ্গে পরিচয় হয়। তাঁর মেয়ে একটি স্পিনিং কারখানায় স্বল্প বেতনের চাকরি করে। বিষয়টি জানতে পেরে লিটন অন্য কারখানায় ভালো বেতনের চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। আশ্বাস পেয়ে রোববার তিনি তাঁর মেয়েকে নিয়ে ওই বুথে যান।

ওই কিশোরীর বাবা আরও বলেন, বুথে যাওয়ার পর লিটন মিয়া তাঁর মেয়েকে বুথের ভেতরে থাকা ছোট্ট একটি কক্ষে নিয়ে বসান। অন্য একটি কারখানার এক কর্মকর্তা কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে আসবেন বলে অপেক্ষা করিয়ে রাখেন। একপর্যায়ে লিটন মিয়া ওই কিশোরীকে আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলেন এবং তাঁর বাবাকে বাড়িতে চলে যেতে বলেন। কিশোরীর বাবা সেখান থেকে চলে যান। কিছুক্ষণ পর খবর নিতে এসে দেখেন তাঁর মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বুথের ভেতর থেকে বের হচ্ছে। পরে মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে গেলে ধর্ষণের বিষয়টি তার মাকে জানায়।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক প্রথম আলোকে বলেন, মামলার পর থেকে পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসামি ধরার চেষ্টা করে। অবশেষে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অল্প সময়ের মধ্যে তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।

আরও পড়ুনএটিএম বুথে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, নিরাপত্তাকর্মী পলাতক১৫ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিদেশে একটি দলের সঙ্গে বসে কোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারেন না
  • ‘একটি দলের সঙ্গে বিদেশে বসে কোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারেন না’
  • ময়মনসিংহে ছিনতাইয়ের শিকার ব্যাংক কর্মকর্তা, ৯৯৯–এ ফোন পেয়ে ৩ জনকে আটক
  • নাফি নিহান ইভার পাশে ঈশ্বরগঞ্জের সুহৃদ
  • এটিএম বুথে কিশোরীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত সেই নিরাপত্তাকর্মী গ্রেপ্তার
  • ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু, পুলিশ স্বাভাবিক মৃত্যু বললেও ‘অস্বাভাবিক’ বলে প্রচার
  • বেড়াতে আসা যুবকের মরদেহ পড়েছিল রাস্তায় 
  • ময়মনসিংহে বিজেএমসির জায়গায় নির্মাণ হবে বহুতল ভবন
  • ‘ভয়ে’ সরকারি তালিকায় নাম না তোলা ইমরান চলে গেলেন নীরবে