মাদারীপুরে শ্রমিকদল নেতার হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন
Published: 17th, June 2025 GMT
মাদারীপুর সদর উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি শাকিল মুন্সীকে (৩৮) কুপিয়ে হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার এবং বিচারের দাবি জানান।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি মাদারীপুরে পৌর শ্রমিকদলের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে মাদারীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান আক্তার হাওলাদারের ছোট ভাই যুবলীগ নেতা লিটন হাওলাদারকে পৌর শ্রমিকদলের সভাপতি করা হয়। লিটন হাওলাদার যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং চাঁদাবাজি, লুটপাট, হত্যা, সংঘর্ষসহ একাধিক মামলার আসামি হওয়ায় এই কমিটির বিরোধিতা করেন শাকিল মুন্সী। এই ঘটনার জের ধরে রবিবার (২৩ মার্চ) রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি শাকিল মুন্সীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত শাকিল মুন্সী মাদারীপুর সদর উপজেলার নতুন মাদারীপুর এলাকা মোফাজ্জল মুন্সির ছেলে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী হুমায়ুন কবির, জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন হাওলাদার, জামিনুর হোসেন মিঠু, বিএনপি নেতা সাইদুল ইসলাম লাভলু হাওলাদার, জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব অহিদ খান, ছাত্রদলের সদস্য সচিব কামরুল হাসান, নিহত শাকিল মুন্সীর ভাই হাসান মুন্সি প্রমুখ।
আরো পড়ুন:
বোচাগঞ্জ থানার ওসির অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
কালীগঞ্জে মাদকবিরোধী সমাবেশ
মানববন্ধনে কয়েকশত লোক অংশ নেয়। বক্তারা বলেন, মামলার আসামিরা বিভিন্নভাবে মামলা তুলে নিতে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। বাদী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
ঢাকা/বেলাল/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শিবচরে তরুণকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
মাদারীপুরের শিবচরে জামিনে থাকা আসামি রাকিব মাদবরকে (২৫) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ২২ জনকে এজাহারভুক্ত ও অজ্ঞাত আরও ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে নিহত ব্যক্তির চাচি পারুল আক্তার বাদী হয়ে শিবচর থানায় মামলাটি করেন।
এর আগে গত রোববার রাত আটটার দিকে শিবচর পৌর বাজারের প্রধান সড়কে একটি ব্যাংকের সামনে রাকিব মাদবরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। রাকিব শিবচর উপজেলার চরশ্যামাইল এলাকার নাসির মাদবরের ছেলে। তিনি সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
দুই দিন পার হয়ে গেলেও এই ঘটনায় কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এর প্রতিবাদে আজ দুপুরে শিবচর পৌর বাজারের সদর রোডে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন। এ সময় বক্তারা বলেন, প্রকাশ্যে শত শত মানুষের সামনে হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। একটা সভ্য স্বাধীন দেশে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড হতে পারে না। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার না করা হলে ভবিষ্যতে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেবেন তাঁরা।
মামলার বাদী নিহত ব্যক্তির চাচি পারুল আক্তার বলেন, ‘রাকিবরে এতগুলো মানুষের সামনে কুপাইয়া মাইরা ফালাইলো। কেউ বাঁচাতে এগিয়ে আসলো না। যারা খুন করছে, তারা রাকিবের পূর্বশত্রু। আবুল কালাম সরদারের নির্দেশে তার লোকজন এই খুন করেছে। পুলিশ এ ঘটনায় কোনো আসামি এখন অবধি গ্রেপ্তার করে নাই। আসামিগো গ্রেপ্তার চাই, ফাঁসি চাই।’
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিবচর উপজেলার শিরুয়াইল ইউনিয়নের চরশ্যামাইল গ্রামের আবুল কালাম সরদারের লোকজনের সঙ্গে নিহত রাকিব মাদবরের লোকজনের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত ৬ মে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় আবুল কালাম সরদারের ছেলে ইবনে সামাদ নিহত হন। ইবনে সামাদ হত্যা মামলার আসামি রাকিব সম্প্রতি জামিন নিয়ে জেল থেকে বের হয়ে এলাকায় আসেন। রোববার রাত আটটার দিকে শিবচর পৌর বাজারের একটি সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাকিব। এ সময় ৪ থেকে ৫ জনের একটি দল ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাকিবের মৃত্যু হয়।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনায় ২২ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির স্বজন ও স্থানীয় লোকজন মানববন্ধন করে এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচার দাবি করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুনশিবচরে হত্যা মামলায় জামিনে থাকা আসামিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫