আড়াইহাজারে শালিসে হেরে প্রতিপক্ষকে মিথ্যা মামলায় হয়রানীর অভিযোগ
Published: 17th, June 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে একটি সম্পত্তি সংক্রান্ত সংঘর্ষের ঘটনায় সামাজিক বৈঠকে দোষী সাব্যস্ত হয়ে জরিমানার শিকার হয়ে প্রতিপক্ষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড দাবুরপুরা এলাকার।
মামলার ১নং বিবাদী বাদশা মিয়া জানান, বিগত ৩০ এপ্রিল একই গ্রামের হাকিম, আউয়াল গং একটি সম্পত্তি সংক্রান্তে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে তার ভাতিজা আনোয়ার, নবী হোসেন এবং ভাইয়ের স্ত্রী সামছুন্নাহারসহ তার পরিবারের কয়েকজনকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে জখম ও হাড় ভাঙ্গা জখমে আহত করে।
এ বিষয়ে তিনি আড়াইহাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে স্থানীয় গন্যমান্যগণ বিষয়টি স্থানীয় ভাবে বৈঠক করে মিমাংসা করে দেন। বৈঠকে হাকিম গং দোষী সাব্যস্ত হলে তাদেরকে জরিমানা করা হয়। বৈঠকে হেরে হাকিম গং হীন শত্রুতা চরিতার্থ করা জন্য ১৩ জুন আড়াইহাজার থানায় বাদশা মিয়া, আনোয়ার, খালেকসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি ফৌজদারী মামলা দায়ের করে। যার মধ্যে কোন আহত ব্যক্তির হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করার কোন কাগজপত্র নেই। এ ব্যাপারে শালিসে থাকা গ্রামের গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ বাদশা মিয়া গংদের পক্ষে গণস্বাক্ষর সম্বলিত একটি লিখিত মন্তব্য দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সাইফুল জানান, ৩২৫/৩২৬ ধারা না হলে চিকিৎসার কাগজ এবং মেডিকেল সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হয় না।
বাদশা মিয়া গং সাংবাদিকদের মাধ্যমে এ বিষয়ে পুলিশের কাছে নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক রিপোর্ট প্রদানের মাধ্যমে মামলা থেকে অব্যাহতির দাবী জানিয়েছেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতারণা করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে ২ বছর কারাদণ্ড
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং জুলাইযোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার। মঙ্গলবার রাতে এ অধ্যাদেশের গেজেট জারি করা হয়। প্রতারণার মাধ্যমে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের দেওয়া সুযোগ-সুবিধা নিলে এতে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে দুই লাখ টাকা জরিমানা বা নেওয়া আর্থিক সহায়তার দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে অধ্যাদেশে। এর আগে গত ১৫ মে অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।
অধ্যাদেশের ১৫ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য বা যে কোনো শ্রেণির আহত জুলাইযোদ্ধা না হওয়া সত্ত্বেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা জ্ঞাতসারে কোনো মিথ্যা বা বিকৃত তথ্য প্রদান বা তথ্য গোপন করে বা বিভ্রান্তিকর কাগজাদি দাখিল করে নিজেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য বা আহত জুলাইযোদ্ধা দাবি করে কোনো চিকিৎসা সুবিধা বা আর্থিক সহায়তা বা পুনর্বাসন সুবিধা দাবি করেন বা গ্রহণ করেন, তাহলে তিনি অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবে। এ ক্ষেত্রে তাঁকে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা বা নেওয়া সুবিধা বা আর্থিক সহায়তার দ্বিগুণ পরিমাণ জরিমানা দিতে হবে।’
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও জুলাইযোদ্ধাদের কল্যাণ, পুনর্বাসনসহ গণঅভ্যুত্থানের মর্ম ও আদর্শকে রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করা এবং ইতিহাস সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। যেহেতু সংসদ ভেঙে যাওয়া অবস্থায় রয়েছে এবং রাষ্ট্রপতির কাছে এটি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে– আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান রয়েছে, তাই সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এই অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করলেন।’
পুনর্বাসনের বিষয়ে অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে শহীদ হয়েছেন এমন ব্যক্তির পরিবারের এক বা একাধিক সদস্য এবং আহত জুলাইযোদ্ধাদের অনুকূলে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এসব কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে শিক্ষা বা কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি। তার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাভিত্তিক উপার্জনমুখী কাজের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা। আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে সহজ শর্তে ঋণ বা এমন সুবিধাদি প্রদান এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা প্রদান।
এরই মধ্যে গঠন করা ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ এ অধ্যাদেশের অধীনে আনা হয়েছে। জুলাই শহীদ ও আহতদের তালিকাও এই অধ্যাদেশের অধীনে প্রকাশ করা হয়েছে বলে ধরা হবে। অধ্যাদেশে আহতদের তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের যথাক্রমে ‘জুলাই শহীদ’ এবং ‘জুলাইযোদ্ধা’র স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।