ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশের তালা বিএনপিকে ভোগাবে
Published: 18th, June 2025 GMT
লন্ডনে অধ্যাপক ইউনূস ও তারেক রহমানের আলোচনা নিয়ে কার হার হলো আর কার হলো জিত, তা নিয়ে আলোচনা চলছেই। রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে যাঁরা ছিলেন এত দিন ইউনূস-ভক্ত, তাঁরা এখন তাঁর সমালোচনায় নেমেছেন। বিএনপি ইউনূসের বিরুদ্ধে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে অনেক হইচই করেছে, এখন তাদের ভূমিকাও পাল্টে গেছে। বিচিত্র সেলুকাস কী আজব আমাদের রাজনীতি, এক দিনেই সব পাল্টে গেল!
অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাংবাদিক রায় দিয়েছেন যে লন্ডন বৈঠকে বিএনপির বিজয় হয়েছে। বিষয়টা অন্যভাবেও দেখা যায়। অধ্যাপক ইউনূস চেয়েছিলেন নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে হবে। তিনি দুই মাস নির্বাচন এগিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছেন। তারেক রহমান চাচ্ছিলেন এ বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন। তিনি ২০২৬ সালে ফেব্রুয়ারি মেনে নিয়েছেন। সুতরাং দুই পক্ষই দুই মাস করে ছাড় দিয়েছে।
নির্বাচন নিয়ে যাঁরা তাঁর অঙ্গীকারে সন্দিহান ছিলেন এবং নির্বাচনের তারিখ নিয়ে যাঁরা ষড়যন্ত্র দেখছিলেন, অধ্যাপক ইউনূস তাঁদের থেকে কিছুটা চাপমুক্ত হলেন। এটাকে অধ্যাপক ইউনূসের একটা অর্জন হিসেবে দেখা যায়। অন্যদিকে তারেক রহমানেরও একটা বড় অর্জন আছে। জনগণ এই প্রথমবারের মতো বিএনপির দলীয় ভিডিও স্ক্রিনের বাইরে বৃহত্তর এবং হাই প্রোফাইল মঞ্চে তাঁকে ড.
এখন কোনো কোনো রাজনৈতিক দল মনে করছে, বিএনপি ও তারেক রহমানের প্রোফাইল বাড়িয়ে অধ্যাপক ইউনূস তাদের লোকসান করে নিরপেক্ষতা ভঙ্গ করেছেন। জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ যেসব রাজনৈতিক দল এত দিন নির্বাচনের তারিখ ও সংস্কার নিয়ে অধ্যাপক ইউনূসকে সমর্থন দিয়েছিল, তারা বেশ নিরাশ হয়েছে। কারণ, লন্ডনে এত ঢাক-ঢোল পিটিয়ে তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এবং বিএনপির অনুরোধে নির্বাচনের তারিখ এগিয়ে এনে, অধ্যাপক ইউনূস বিএনপিকে বেশ উজ্জীবিত করেছেন। বিএনপির সেক্রেটারি জেনারেল মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, এটা একটা ‘টার্নিং পয়েন্ট’।
অধ্যাপক ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে সাক্ষাৎ ও সমঝোতার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই বাংলাদেশের ভোটের রাজনীতিতে হাওয়া লেগেছে। নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করছে দলগুলো।
আরও পড়ুনলন্ডনে ইউনূস-তারেকের আলোচনায় বিএনপিরই কি জিত১৩ জুন ২০২৫জামায়াতে ইসলামী ২৯৪ আসনে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব বলেছেন, হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে কেউ নির্বাচনে অংশ নেবেন না। তবে হেফাজতের নেতারা সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো থেকে নির্বাচন করতে পারবেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এখনো দল গোছানোতে ব্যস্ত। তারা দলকে নির্বাচন কমিশনে নথিভুক্ত করার আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে কাজ করছে। এর মধ্যে তারা তাদের প্রতীক মুষ্টিবদ্ধ হাত বা শাপলা—এ দুটির একটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। তাদের বড় নেতারা সময় করে তাঁদের নির্বাচনী এলাকায় জনসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন।
বিএনপি বড় দল। আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতে তারাই একমাত্র সংগঠিত জাতীয় দল, যারা আগেও সরকার গঠন করেছিল বেশ কয়েকবার। এটা ধরে নেওয়া যায় যে বিএনপি নেতা তারেক রহমান এককভাবে বিএনপির নির্বাচনী কার্যক্রমের দিকনির্দেশনা দেবেন। তিনি দেশে আসার আগে সম্ভবত তা নিয়ে প্রকাশ্যে তেমন কিছু জানা যাবে না। যদিও ভেতরে ভেতরে কাজ চলছে। তিনি কবে দেশে আসবেন? স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, তাঁর দেশে আসতে আইনগত কোনো বাধা নেই। মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ‘শিগগির আসবেন।’
বিএনপি ঘরানার ছোট দলগুলো বিএনপির দিকেই চেয়ে আছে তাদের নির্বাচনী পালে হাওয়া ধরাতে। বিএনপির সঙ্গে জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে মাহমুদুর রহমান মান্না একটি দৈনিককে বলেছেন, তারেক রহমান প্রস্তাব করেছিলেন যে জাতীয় সরকার গঠন করবেন।
রাজনৈতিক দল গণফোরাম এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, তারাও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। মোস্তফা মোহসীন মন্টু ছিলেন গণফোরামের চেয়ারম্যান। দুঃখের খবর হলো, তিনি ১৫ জুন হঠাৎ মৃত্যুবরণ করেছেন।
বিএনপি নেতা তারেক রহমান বেশ আগেই ঘোষণা করেছেন, ছোট দলগুলো যারা আওয়ামী লীগবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির শরিক ছিল, তাদের নেতাদের জন্য ছয়টি আসন ছেড়ে দেবেন। তার একটি আসন হলো পটুয়াখালীতে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের জন্য। কিন্তু তারেক রহমানের এই বদান্যতা গ্রহণ করা যে ছোট দলগুলোর নেতাদের জন্য খুব সহজ হবে না, তা প্রথম থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। কারণ, সেসব আসনে যাঁরা বিএনপির মনোনীত প্রার্থী, তাঁরা ছোট দলের নেতাদের বিরুদ্ধে তুমুল প্রতিরোধ গড়ে তুলছেন।
অনেক বিশ্লেষক প্রশ্ন তুলেছেন, ইশরাক হোসেন কেন পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করলেন না? অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, ইশরাক হোসেন মেয়রের শপথ নিলে কয় দিনের জন্য মেয়র হবেন বা আদৌ কি দায়িত্ব পাবেন? এক হিসাবে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে হয়েছিল নির্বাচন এবং ওই নির্বাচনের মেয়রের মেয়াদ এ বছরের ১৫ মে শেষ হয়েছে। তবু তিনি কেন মেয়র পদে যেতে চান?১২ জুন নুরুল হক যখন পটুয়াখালীতে নিজ উপজেলায় দলীয় সভা করতে যান, তখন তিনি বিএনপির লোকজনের হাতে অবরুদ্ধ হন এবং তাঁকে উদ্ধারে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে যেতে হয়েছিল। অন্য দলের নেতারাও যে নিজ এলাকায় বিএনপির কাছ থেকে খুব ভালো সংবর্ধনা পাবেন না, তা সম্ভবত ধরে নেওয়া যায়। নুরুল হক ঘোষণা করেছেন, বিএনপির সঙ্গে বড় সমঝোতা না হলে, তাঁর গণ অধিকার ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে।
মনে করা হয়েছিল, ইউনূস-তারেক বৈঠকের পর এ রকম সব সংকটের অবসান হবে। যেমন ঢাকা দক্ষিণের মানুষের দুর্ভোগ কমবে। কিন্তু তা হওয়ার নয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তালা লাগানোর এক মাস পার হয়ে দুই মাসে পড়েছে। বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোকে কেন্দ্র করে সংকট চলছেই। এর মধ্যে নগর ভবনে সভা করেছেন ইশরাক। সেখানে ব্যানারে তাঁর নামের আগে ‘মাননীয় মেয়র’ লেখা হয়েছে।
বিএনপি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নিয়ে যা করেছে, তা নিয়ে ভবিষ্যতে সম্ভবত পস্তাবে। তারা যেভাবে হাসিনা আমলের একটা ‘অবৈধ’ নির্বাচনকে ‘বৈধতা’ দিল, তা সত্যি আশ্চর্যজনক। বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে, অন্যরাও যখন কাজে-অকাজে সরকারি ভবনে তালা দেবে, রাস্তাঘাট অবরোধ করবে, তখন বিএনপি কী করবে?
আরও পড়ুনইউনূস-তারেক সফল বৈঠকে স্বপ্নভঙ্গ হলো যাদের ১৫ জুন ২০২৫অনেক বিশ্লেষক প্রশ্ন তুলেছেন, ইশরাক হোসেন কেন পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করলেন না? অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, ইশরাক হোসেন মেয়রের শপথ নিলে কয় দিনের জন্য মেয়র হবেন বা আদৌ কি দায়িত্ব পাবেন? এক হিসাবে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে হয়েছিল নির্বাচন এবং ওই নির্বাচনের মেয়রের মেয়াদ এ বছরের ১৫ মে শেষ হয়েছে। তবু তিনি কেন মেয়র পদে যেতে চান?
এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সম্ভবত অনেকেই বিএনপির অভ্যন্তরীণ রাজনীতির দিকে তাকাবেন। ঢাকা দক্ষিণের মেয়র হওয়ার অভিলাষ বিএনপির মধ্যে অনেকের। বেগম জিয়ার প্রথম মেয়াদে মির্জা আব্বাস ছিলেন মেয়র। পরবর্তী মেয়াদে ইশরাকের বাবা সাদেক হোসেন খোকাকেই বেগম খালেদা জিয়া সুযোগ দেন মেয়র হতে। ঢাকা শহর বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আব্বাস ও খোকার দ্বন্দ্ব তখন আলোচনার বিষয় ছিল। মির্জা আব্বাস এত বছর পর মেয়র পদে আবার ফিরে যেতে চান কি না, তা জানা যায়নি। তবে ইশরাকের আন্দোলন থেকে তিনি দূরেই ছিলেন।
দ্বিতীয় প্রজন্মেও আছেন আরও দাবিদার। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্রের পুত্রবধূ ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীও ঢাকা দক্ষিণের নেতা। তিনি বিএনপির বিভিন্ন আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে কর্মী ও নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। অনেক পর্যবেক্ষকের মতে, পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ানোর চেয়ে ইশরাক হোসেন এখনই মেয়রের চেয়ারের ওপর তাঁর দাবিটা প্রতিষ্ঠিত করে নিতে চান।
মেয়রের আন্দোলন অনেকটা ইশরাকের একক প্রজেক্ট। যদিও দু-একজন বিএনপি নেতা মাঝেমধ্যে তাঁর সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন। ইশরাক কখনো বলেছেন, তিনি নিজে নিজেই শপথ নেবেন। আবার কখনো বলেছেন, নগর ভবনের কাজ চলবে তাঁরই তত্ত্বাবধানে। তাঁর আন্দোলন ‘আমরা ঢাকাবাসী’র ব্যানারে।
উল্লেখ্য, একই নির্বাচনে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র নির্বাচনে পরাজিত হন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিথ আউয়াল। তিনি ঢাকা উত্তরের মেয়র পদ দখল নিয়ে কোনো রকম পদক্ষেপ নেননি। অবশ্য তিনি এর মধ্যেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। পরবর্তী নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি আবার মেয়র পদে আসতে চাইবেন কি না, তা দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
প্রথম আলোর এক খবরে প্রকাশ, ইশরাক ‘শপথের মাধ্যমে দায়িত্ব বুঝে না পেলেও আজও নগর ভবনের একটি মিলনায়তনে সংস্থাটির প্রায় ৭০টি ওয়ার্ডের সচিবদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন ইশরাক হোসেন। বেলা ১টার দিকে বৈঠকটি শুরু হয়। এর আগে গতকাল ৭০ জনের বেশি পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শককে নিয়ে বৈঠক করেছিলেন তিনি।’
প্রফেসর ইউনুস সরকার যখন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কথা বলছেন এবং বিএনপিও তার সঙ্গে আইনের শাসন নিয়ে একমত, সেই সময়টায় দেশের সর্ববৃহৎ মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনে যে বিশৃঙ্খলা চলছে তা দুই পক্ষের ওপরই জনগণের আস্থায় টান পরবে। সরকারের উচিত ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়রের পূর্ব নির্বাচনের মেয়াদের সময় আর আছে কিনা তা পরিষ্কার করা। না থাকলে মিউনিসিপ্যালটির কাজকর্ম স্বাভাবিক রাখতে পদক্ষেপ নেওয়া। আর মেয়াদ যদি এখনো থাকে, তাহলে ইশরাকের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া।
বিএনপিকেও ঢাকা শহরের বৃহত্তর রাজনীতির প্রেক্ষাপট চিন্তা করে এর সমাধান খুঁজতে হবে অনতিবিলম্বে। সামনেই ভোট। বিএনপির চোখ থাকবে মূলত বৃহত্তর ঢাকার বিশটা সংসদীয় আসনের দিকে। ঢাকা দক্ষিণ সিটির জনগণের দুর্ভোগ বাড়িয়ে এবং নিজেদের হাতে আইন তুলে নিয়ে ভোটে যাওয়া খুব ভালো দেখাবে না।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মূল গেটে মূল গেটে তালা এখনো ঝুলছে। ভবিষ্যতে এই তালা বিএনপিকে অনেকভাবে ভোগাবে।
সালেহ উদ্দিন আহমদ শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন র ইশর ক হ স ন ব এনপ র স ইশর ক র করপ র শ ন ব এনপ ইউন স ত ব এনপ ক পরবর ত র জন য হয় ছ ল র র জন ছ ট দল কর ছ ন বল ছ ন র একট সরক র দলগ ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজার অংশীজনদের সঙ্গে বিএসইসির ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়
পবিত্র ঈদুল আজহা পরবর্তী প্রথম কর্মদিবসে পুঁজিবাজার অংশীজন ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদ পুনর্মিলনী এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
রবিবার (১৫ জুন) রাজধানীর আগাগাঁওয়ে বিএসইসি’র মাল্টিপারপাস হলে বিএসইসি’র চেয়ারম্যান ও কমিশনাররা দেশের পুঁজিবাজারের অংশীজন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
বিএসইসির মুখপাত্র ও পরিচালক আবুল কালাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের নাম পরিবর্তনে ডিএসইর সম্মতি
নয় মাসে প্রাইম ফাইন্যান্সের লোকসান বেড়েছে ৩৫.২০ শতাংশ
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় ঈদ পুনর্মিলনী এবং শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) চেয়ারম্যান তপন চৌধুরী, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ, ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচেঞ্জ পিএলসির (সিএসই) চেয়ারম্যান কেএম হাবিবুর রহমান, সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিসিবিএল) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. ওয়াহিদ উজ জামান, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুন, ঢাকা স্টক এক্সেচেঞ্জ পিএলসির (ডিএসই) ভারপাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাত্বিক আহমেদ শাহসহ ডিএসই’র বোর্ড সদস্যরা, সিডিবিএল’র ভারপাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মোতালেবসহ সিডিবিএল’র বোর্ড সদস্যরা, সিসিবিএল’র বোর্ড সদস্যরা, বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটসের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুছ সালেহীন, বিএসইসি গঠিত পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য ডিএসই’র সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান ও হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং এর জ্যেষ্ঠ অংশীদার এ এফ এম নেসার উদ্দীন, বিএসইসি গঠিত পুঁজিবাজার অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটির সদস্য আর্থিক খাত বিশেষজ্ঞ জিয়া ইউ আহমেদ ও এনবিআরের সাবেক সদস্য মো. শফিকুর রহমান, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বএপিএলসি) শীর্ষ প্রতিনিধিরা, ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) সভাপতি গোলাম সামদানী ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক আবু আলীসহ দেশের পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এদিন বেলা ১২টায় পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি পৃথক ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বিনিয়োগকারীদের সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে সংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ শীর্ষ প্রতিনিধিবৃন্দ উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে দুপুর আড়াইটায় বিএসইসির সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।
এ অনুষ্ঠানে বিএসইসি’র চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী, কমিশনার মো. আলী আকবর ও কমিশনার ফারজানা লালারুখ-সহ বিএসইসি’র সব গ্রেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিএসইসি’র চেয়ারম্যান ও কমিশনারগণ বিএসইসি’র সব গ্রেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
ঢাকা/এনটি/মেহেদী