জোরে বোলিংয়ের ফায়দা নিয়ে চায় বাংলাদেশ
Published: 18th, June 2025 GMT
বৃষ্টির পরে বল হাতে বাংলাদেশকে ধসিয়ে দিয়েছে লঙ্কানরা। বৃষ্টির পরের ৬১ রান তুলতে ৫ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে শেষ বেলার ২৬ রানে পড়েছে ৫ উইকেট। লঙ্কান পেসার মিলান রত্নায়েকে দারুণ সুইং করিয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন।
বাংলাদেশ দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, তাদের পেসারদের সুইং করাতে পারা, নিয়ন্ত্রিত বোলিং করা থেকে শেখার আছে বাংলাদেশের। টাইগারদের একাদশে আছেন দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা। লঙ্কানদের তুলনায় তারা দু’জনই জোরে বোলিং করতে পারেন।
বাংলাদেশ কোচের মতে, নিয়ন্ত্রণ রেখে তারা জোরে বোলিং করতে পারলে ফায়দা নেওয়ার সুযোগ আছে। সঙ্গে গলের উইকেট তৃতীয়-চতুর্থ দিন থেকে স্পিন সহায়ক হয়ে যাওয়ায় ভালো করার সুযোগ আছে স্পিনার তাইজুল ও নাঈম হাসানের।
সালাউদ্দিন বলেন, ‘পজিটিভ দিকটা ওদের বোলিং থেকেই নিতে চাই। তারা যেভাবে বলটা মেইনটেইন করেছে এবং সুইং করিয়েছে আগের পাঁচ সেশনে সেটা পারেনি। তাদের থেকে এটা আমাদের জন্য শেখার বিষয়। এখানে স্পিনারদের ভালো করার সুযোগ আছে। সঙ্গে যেহেতু আমাদের জোরে (পেসার) বোলার আছে, তারা বোলিংটা মেইনটেইন করতে পারলে এখান থেকে আমরা ফায়দা নিতে পারবো।’
সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, নতুন বলে পেসাররা রিভার্স সুইং আদায় করতে পারলে ম্যাচ ঘুরে যেতে পারে। সঙ্গে উইকেট এখনো ব্যাটিং সহায়ক সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি, ‘উইকেট এখনো অনেক ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি। ফিল্ডারদের অনেক পরিশ্রম করতে হবে। তারা অনেক ভালো বোলিং করেছে, প্লান অনুযায়ী বোলিং করেছে। যে কারণে ব্যাটারদের রান পেতে কষ্ট হয়েছে, সহজ রান হয়নি। আমাদেরও হার্ড ওয়ার্ক করতে হবে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গল ট স ট ল টন দ স উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
গোল ঠেকান, শিরোপা জেতান—তবু দোন্নারুম্মা, এদেরসনদের কদর কম কেন
আপনি গোলরক্ষক। তাহলে আপনার মতো দুর্ভাগা আর কে আছে!
কেন এমন বলা, সেটি বোঝার জন্য এবারের দলবদল মৌসুমে একটু চোখ বোলালেই হবে। এবারের গ্রীষ্মকালীন দলবদল আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে—বিশ্বসেরা গোলরক্ষক হলেও দলবদলের বাজারে খুব একটা কদর মেলে না। মাঠের অন্য পজিশনের খেলোয়াড়দের তুলনায় তাঁদের গুরুত্ব নেই বললেই চলে।
সবচেয়ে বড় উদাহরণ পিএসজির জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। পাশাপাশি ম্যানচেস্টার সিটির এদেরসন ও এসি মিলানের মাইক মাইনিয়ঁর কথাও বলা যায়। এ তিনজনই নিঃসন্দেহে বিশ্বের সেরা ১০ গোলরক্ষকের মধ্যে পড়েন। অনেকের চোখে আবার সেরা পাঁচেই জায়গা তাঁদের। কিন্তু তাঁরা যদি ফরোয়ার্ড, মিডফিল্ডার বা ডিফেন্ডার হতেন, তাহলে তাঁদের এজেন্টদের ফোন বেজেই চলত। আর তাঁদের ক্লাব চুক্তি নবায়নের জন্য পাগল হয়ে উঠত।
কিন্তু গোলকিপার হওয়ায় তাঁদের বাস্তবতা ভিন্ন। পিএসজি ইতিমধ্যেই লিলের তরুণ গোলরক্ষক লুকাস শেভালিয়েকে নিতে যাচ্ছে (যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়নি)। ম্যানচেস্টার সিটিও বার্নলির জেমস ট্রাফোর্ডকে এনেছে গোলরক্ষকদের জন্য ব্রিটিশ ট্রান্সফার ফি রেকর্ড গড়ে। দোন্নারুম্মার জন্য ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের, এদেরসনের জন্য গালাতাসারাইয়ের, আর মাইনিয়ঁর জন্য চেলসির আগ্রহের কথা শোনা গেলেও কোনো কিছুই এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা