মহাসড়কের পাশে হাট-বাজার, বাড়ছে দুর্ঘটনা ঝুঁকি
Published: 19th, June 2025 GMT
মৌলভীবাজার জেলা সদরে ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে সরকারি জমি দখল করে গড়ে উঠেছে হাট-বাজার। এতে পথচারীকে ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক দিয়ে হাঁটাচলা করতে হচ্ছে। এসব অবৈধ হাট-বাজার উচ্ছেদে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
মৌলভীবাজার জেলা সদর থেকে শেরপুর বাজারের মুক্তিযোদ্ধা চত্বর পর্যন্ত সিলেট-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে অন্তত ৯টির অধিক ছোট-বড় বাজার গড়ে ওঠেছে। এগুলোর মধ্যে নয়াব্রিজ (ত্রৈলক্ষবিজয় বাজার), সরকার বাজারের নতুন অংশ, আফরোজগঞ্জ বাজার (শেরপুর বাজার), কাজির বাজার প্রসিদ্ধ। এসব হাট-বাজারের দোকানিরা ফুটপাত দখল করে মহাসড়ক ঘেঁষে পসরা সাজিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে হাট-বাজারে আসা মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারীরা।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বেকামুড়া গ্রামের ব্যবসায়ী মিজানুল হক পান্না জানান, মৌলভীবাজার শহরের বেরীরপাড়, কুসুমবাগ পয়েন্ট থেকে শুরু করে শেরপুর বাজার পর্যন্ত মহাসড়কের ফুটপাত ভাসমান ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গেছে। বিশেষ করে শেরপুর বাজার, সরকার বাজার ও নয়াব্রিজ বাজারে এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। সাধারণ মানুষকে নিরুপায় হয়ে মহাসড়ক দিয়ে হাঁটাচলা করতে হচ্ছে।
সিলেট মিনিবাস মালিক সমিতির শেরপুর বাজার স্ট্যান্ডের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর খান বলেন, শেরপুর বাজারের মুক্তিযোদ্ধা চত্বরের দুই পাশে মহাসড়কের অর্ধেক অংশজুড়ে থ্রি হুইলার ও ভাসমান দোকানিদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক ধরে চলতে হচ্ছে পথচারী ও আশপাশের বিভিন্ন মাদ্রাসা ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের। তিনি জানান, গত কয়েক বছরে শেরপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় অনেকে হতাহত হয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শেরপুর ও নয়াব্রিজ বাজার বিভিন্ন এলাকার মানুষের ট্রানজিট পয়েন্ট হওয়ায় সব সময় লোকসমাগম বেশি থাকে। এ কারণে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচলকারী যানবাহন মহাসড়কে যত্রতত্র দাঁড় করিয়ে যাত্রী তোলা হয়। এতে পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
শেরপুর বাজার ইজারাদার মাজহারুল ইসলাম রকি জানান, মহাসড়কের পাশে বারবার দখলদার উচ্ছেদ হয়েছে। ফের দখলদারিত্ব কায়েম রোধ হয়নি। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে সতর্ক থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নিরস্ত্রীকরণে সম্মতির খবর নাকচ: হামাস বলল, দখলদারির মোকাবিলা জাতীয় ও আইনি অধিকার
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা চলাকালে অস্ত্রত্যাগের বিষয়ে সম্মতি জানানোর খবরের বিরোধিতা করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারা বলেছে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি দখলদারি মোকাবিলার জাতীয় ও আইনি অধিকার তাদের রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গাজায় আটক থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের স্বজনদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে উইটকফ তাঁদের বলেন, হামাস জানিয়েছে, তারা ‘নিরস্ত্রীকরণে প্রস্তুত’। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ এটা ফলাও করে প্রচার করেছে।
মার্কিন দূতের এমন মন্তব্য সংবাদমাধ্যমে প্রচারের পর গতকাল শনিবার এর তীব্র বিরোধিতা করে হামাস। এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, যতক্ষণ (ইসরায়েলি) দখলদারি বহাল থাকবে, ততক্ষণ তা প্রতিরোধ করা এবং সেটার বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরা তাদের জাতীয় ও আইনি অধিকার।
‘(ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড) পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত (দখলদারির বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরা) আমাদের পূর্ণ জাতীয় অধিকার। এর মধ্যে প্রধান হলো, জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি সম্পূর্ণ সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। এ অধিকার ত্যাগ করা যাবে না’, বলেছে হামাস।
স্টিভ উইটকফ গতকাল ইসরায়েলের তেল আবিবে জিম্মিদের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেন। এর এক দিন আগে তিনি গাজায় গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল–সমর্থিত ‘বিতর্কিত’ সংস্থা জিএইচএফ পরিচালিত ত্রাণ সরবরাহ কেন্দ্র ঘুরে দেখেন।
আরও পড়ুনস্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ চলবে: হামাস০১ আগস্ট ২০২৫গাজার এখনকার অপুষ্টিজনিত সংকটময় পরিস্থিতিতে স্টিভ উইটকফের এ সফরকে ‘সাজানো অনুষ্ঠান’ বলে সমালোচনা করেছে হামাস।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত মে মাসে জিএইচএফ ত্রাণকেন্দ্র পরিচালনা শুরু করার পর থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩০০–এর বেশি ফিলিস্তিনি ত্রাণ নিতে গিয়ে হামলায় নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুনভাইরাল হওয়া ছবিটি নিয়ে বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ-বিতর্ক, পেছনের সত্যটা কী১৮ ঘণ্টা আগেগাজায় হত্যাকাণ্ড আর জিএইচএফের কার্যক্রমের ক্রমবর্ধমান সমালোচনা সত্ত্বেও ট্রাম্প প্রশাসন দৃঢ়ভাবে এ সংস্থার পাশে দাঁড়িয়েছে। গত জুনে ওয়াশিংটন জিএইচএফের জন্য ৩০ মিলিয়ন (৩ কোটি) ডলার তহবিল অনুমোদনের কথা জানিয়েছে।
একদিকে গাজায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি, অন্যদিকে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে হামাসের নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে ওই মন্তব্য করেছেন স্টিভ উইটকফ।
আরও পড়ুনগাজার নাসের হাসপাতালে পাঁচ দিনে কী কী দেখলেন রয়টার্সের সাংবাদিকেরা৩১ জুলাই ২০২৫আরও পড়ুনগাজায় নৃশংসতা চালিয়ে ইসরায়েল কি পশ্চিমা বিশ্বেও একঘরে হয়ে যাচ্ছে০১ আগস্ট ২০২৫