শুরু হয়েছে বর্ষাকাল। কখনও একটানা বৃষ্টি, কখনও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি দেখলেই অনেকের ভাজাপোড়া খাবার খেতে ইচ্ছে হয়। কেউ  এসব খাবার বাড়িতেই বানান, কেউ আবার বাইরে থেকে অর্ডারও করেন। তবে বর্ষায় খাবার, পানি থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি বেশি। এ কারণে এই সময় খাওয়াদাওয়ায় ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকা দরকার। 

বর্ষায় সুস্থ থাকতে এড়াবেন কোন খাবার

মিষ্টি : পেটের সমস্যা থাকলে বর্ষায় মিষ্টি খাবার একটু কম খান। বিশেষ করে ভাজা মিষ্টি মানে জিলিপির খাবার খেলে পেটে সমস্যা হতে পারে। তা ছাড়া অতিরিক্ত চিনি শরীরের জন্য একেবারে ভালো নয়। তাই যত মিষ্টি এড়িয়ে চলবেন তত ভালো। 

চা-কফি কম খান : অনেকেই বৃষ্টির দিনে ঘন ঘন চা-কফি খেতে ভালোবাসেন। এটা ঠিক নয় । কারণ এই আবহাওয়ায় যত বেশি চা-কফি খাবেন, পেটের সমস্যা তত বাড়বে।

দুগ্ধজাত খাবার : পুষ্টিবিদদের মতে, দুধে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা শরীরে ক্যালশিয়াম, ভিটামিন, প্রোটিন, খনিজের ঘাটতি মেটায়। কিন্তু বর্ষায় দুগ্ধজাত খাবার খেলে পেট খারাপের ঝুঁকি বাড়ে। কারণ দুধে থাকা ল্যাক্টোজ সহজে হজম হতে চায় না।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প ট র সমস য কম য় বর ষ য়

এছাড়াও পড়ুন:

এক চিলতে রোদ্দুরে...

নাটকের আকাশে উজ্জ্বল এক তারার নাম তানিয়া বৃষ্টি। ২০১৫ সালে অভিনয়ের জগতে পা রেখেছেন। একটানা পথচলার দশ বছর পেরিয়ে আজ তিনি এক পরিপক্ব শিল্পী। এই এক দশকে তাঁর অভিনয়ের পরিধি ছুঁয়েছে বিভিন্ন ধরনের চরিত্র– নরম-কোমল প্রেমিকা, প্রতিবাদী নারী, প্রান্তিক জনপদের নারী, পরিবারের দায়িত্বশীল কন্যা কিংবা ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ের গল্প বলা এক মানুষ। প্রতিটি ভূমিকায় তিনি নিজেকে ভেঙে গড়েছেন, প্রতিবার যেন নতুন এক তানিয়া বৃষ্টিকে খুঁজে পাওয়া যায়।

তানিয়া বৃষ্টির অভিনয়ে একটি অনাড়ম্বর সৌন্দর্য আছে, যা সহজে দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। তাঁর হাসি যেমন মিষ্টি, তেমনি চোখের ভাষায় খেলা করে এক অনুচ্চারিত বেদনা। অভিনয়ের ভেতরে যে আত্মনিবেদন, তা হয়তো খুব বেশি উচ্চকিত নয়, তবে গভীর। কখনও কখনও ক্যামেরার সামান্য এক দৃষ্টি বিনিময়েই বোঝা যায় দৃশ্যের ভেতরে তাঁর অনুরণন।

ঈদ মানেই উৎসব, আর সে উৎসবে তানিয়া বৃষ্টির নাটক যেন দর্শকের জন্য এক পরম প্রাপ্তি। গত ঈদেও তাঁর সরব উপস্থিতি ছিল বেশ চোখে পড়ার মতো। ‘তাসের ঘর’, ‘মানুষ’, ‘ভালোবাসা অন্তহীন’, ‘পাষাণী’, ‘মনে পড়ে তোমাকে’ ও ‘ক্যাফেতে ভালোবাসা’– এই নাটকগুলো এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রচার হয়েছে ইউটিউব ও টেলিভিশনের বিভিন্ন চ্যানেলে। প্রতিটি নাটকে তিনি ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে, ভিন্ন ভিন্ন রূপে ধরা দিয়েছেন। একটি নারীর মনের প্রতিটি স্তর যেন খুলে ধরেছেন তিনি অভিনয়ের পরতে পরতে।

এই জনপ্রিয়তার পথে কেবল ফুল বিছানো ছিল না। কিছু কাজ হয়তো তাঁকেও তৃপ্ত করেনি, কিছু চিত্রনাট্যে হয়তো গভীরতা ছিল না, তবু তিনি বলছেন, এখনকার দিনে গল্প বাছাইয়ে তিনি অনেক বেশি সচেতন। তাঁর কথায়, ‘গল্পের প্রতি আগের চেয়ে বহুগুণ বেশি মনোযোগী আমি। এখন মনে হয়, নিজেকে বারবার ভাঙার মতো চরিত্রই আমাকে টানে। শুধু ক্যামেরায় মুখ দেখানোর জন্য কাজ করতে রাজি নই। এখন যেকোনো নাটকে কাজ করার আগে গল্পটা ভালো হওয়া জরুরি মনে করি। কারণ দর্শক গল্পটাই আগে খোঁজেন। এরপর চরিত্রে নিজের অভিনয় করার সুযোগটা কেমন আছে তাও ভেবে দেখি।’ এই আত্মঅনুসন্ধানী মনোভাবই তাঁকে করে তুলছে আরও পরিণত, আরও আবেগপ্রবণ শিল্পী।

শুধু কাজের মাধ্যমে নয়, তানিয়া বৃষ্টি প্রায়ই থাকেন আলোচনায় ব্যক্তিগত নানা প্রসঙ্গেও। প্রেম, বিয়ে, সম্পর্ক সবকিছুতে থাকে ভক্তদের কৌতূহল। তবে তিনি নিজেই জানিয়েছেন, আপাতত ব্যক্তিগত জীবনের এসব পরিকল্পনা থেকে দূরে তিনি। বর্তমানে নিজের সব মনোযোগ অভিনয়ে, নিজেকে আরও শিল্পসম্মত করে গড়ে তোলায়।

বরাবরই নাটকের ছোটপর্দা থেকে সিনেমার বড়পর্দার প্রতি বেশি আগ্রহ ছিল তাঁর। ক্যারিয়ারের শুরুতে সুযোগ পেয়ে যান আকরাম খানের ‘ঘাসফুল’ ছবিতে। এরপর বেশ কয়েকটি সিনেমার প্রস্তাব পেলেও নিয়মিত হননি বড়পর্দায়। ছোটপর্দাকে ঘিরে যাঁর স্বপ্ন। এখন তিনি চেষ্টা করছেন প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। 

২০১২ সালে ‘ভিট চ্যানেল আই টপ মডেল’ দ্বিতীয় রানারআপের মধ্য দিয়ে শোবিজে আসেন তানিয়া বৃষ্টি। এরপরই রচিত হয় শুধুই তাঁর এগিয়ে চলার গল্প। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এক চিলতে রোদ্দুরে...
  • বর্ষায় যেমন পোশাক
  • রঙ বাংলাদেশের বর্ষার সংগ্রহ
  • ছোট্ট মেয়েকে কেন নিয়মিত ই মেইল পাঠাচ্ছেন আলিয়া
  • মেয়েকে কেন ই মেইল পাঠাচ্ছেন আলিয়া
  • নদীর কোলে শিক্ষার সংগ্রাম: চরের শিশুদের গল্প