‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার দাবিতে সাতক্ষীরায় এনসিপির মানববন্ধন
Published: 19th, June 2025 GMT
রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়নে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা এবং গণঅভ্যুত্থানে হত্যায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
এনসিপি সাতক্ষীরা জেলা কমিটির আয়োজনে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বেলা ১১টায় শহরের নিউমার্কেট মোড়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, এনসিপির সাতক্ষীরা জেলা কমিটির আহ্বায়ক কামরুজ্জামান বুলু, সদস্য সচিব শেখ আহসান উল্লাহ, সদস্য নাজমুল ইসলাম, খাদিজা ইসলাম চায়নাসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
আরো পড়ুন:
মাদারীপুরে শ্রমিকদল নেতার হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন
বোচাগঞ্জ থানার ওসির অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
এ সময় বক্তারা বলেন, বৈষম্যমূলক সমাজ ব্যবস্থাকে ভেঙে দিয়ে ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে জুলাই সনদ অপরিহার্য। তাই যতদ্রুত সম্ভব জুলাই সনদ ঘোষণা করতে হবে। একইসঙ্গে গণঅভ্যুত্থানে যত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সবই বিচার করতে হবে। তা না হলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
মানববন্ধন শেষে নেতাকর্মীরা আলবারাকা কমিউনিটি সেন্টারের হলরুমে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
ঢাকা/শাহীন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণহত য গণঅভ য ত থ ন জ ল ই সনদ এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
জবি রেজিস্ট্রারের অসদাচরণের প্রতিবাদে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) রেজিস্ট্রারের অসদাচরণ ও শিক্ষককে অপমান করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘স্বৈরাচারের ঠিকানা, জগন্নাথে হবে না’, ‘এক দুই তিন চার, রেজিস্ট্রার গদি ছাড়’, ‘স্বৈরাচারের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
আরো পড়ুন:
২ দিনের মধ্যে চাকসুর তফসিল ঘোষণা না করলে চবি শাটডাউনের হুঁশিয়ারি
রাবির সাবেক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’র অভিযোগ
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম খলিল বলেন, “এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, আমরা কোনো যৌক্তিক প্রশ্ন বা সমস্যা নিয়ে রেজিস্ট্রার অফিসে গেলে সহানুভূতির পরিবর্তে তিনি অপমানজনক ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানান। একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তার এমন আচরণ পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এমনকি আমাদের বিভাগের স্যারের সঙ্গেও একই রকম অসদাচরণ করেছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলতে চাই, জুলাই পরবর্তী সময়ে এ ধরনের স্বৈরাচারী আচরণ মেনে নেওয়া হবে না।”
একই বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তা তিনি এখন ক্ষেপে যাওয়া বাছুরের মতো আচরণ করছেন। তিনি যদি ক্ষেপতেই চান, তাহলে মাঠে যাক। স্বৈরাচারের দোসরদের ঠিকানা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে না।”
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষক ইউজিসি ফান্ডেড স্কলারশিপ পাওয়ার পর শর্ত অনুযায়ী একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তিপত্রে রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর নিতে গেলে অপমানজনক আচরণের শিকার হন। স্বাক্ষর দিতে গড়িমসি, লাঞ্চের অজুহাত দেখিয়ে কক্ষ থেকে বের হয়ে যাওয়া এবং দ্রুত চাইলে আরো দেরি হবে বলে মন্তব্য করে শিক্ষককে বারবার হয়রানি করেন রেজিস্ট্রার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে অপমান করা মানে পুরো শিক্ষার্থী সমাজকেই অসম্মান করা উল্লেখ করে তারা দ্রুত এই ঘটনার তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী