যেখানে নৌকায় আড়াই ঘণ্টা ঘুরলে দেখতে পাবেন ৮ নদী
Published: 27th, June 2025 GMT
‘ধান নদী খাল—এই তিনে বরিশাল’, এটি পুরোনো কথা। বৃহত্তর বরিশাল ঘিরে আছে বহু নদী। বরিশাল থেকে নদীপথে আড়াই ঘণ্টা ভোলার দিকে গেলে আট নদীর দেখা মেলে।
রোববার কাজকর্ম সেরে, অনেকটা দৌড়ে ঘাটে গিয়ে টিকিট কাটলাম। এমভি বিউটি অব ইমা এক্সপ্রেস লঞ্চে উঠে পড়লাম। উদ্দেশ্য, বরিশাল থেকে ভোলা যাব। পেটে প্রচণ্ড খিদে, তাই লঞ্চের ভাতের হোটেলে খেয়ে নিলাম। লঞ্চ ছাড়ল বেলা দেড়টায়। দোতলার পেছনে গিয়ে দেখি, মাথার ওপর মস্ত নীল আকাশ।
চারদিকে কীর্তনখোলা নদী। সবুজ দিয়ে ঘিরে রেখেছে প্রকৃতি। ১৮০১ সালের আগে এ নদীকে বরিশাল নদী, সুগন্ধা নদী নামে ডাকা হতো। বরিশালের শায়েস্তাবাদ থেকে শুরু, ঝালকাঠির নলছিটির কাছে শেষ। প্রাচীন পদ্মার ধারা থেকে কীর্তনখোলার উৎপত্তি।
প্রায় আড়াই কিলোমিটার চলার পর লঞ্চটি ডানে বুখাইনগর নদীতে বাঁক নেয়। এ নদীর বাঁ পাশে চরমোনাই আর ডান পাশে কাউয়ার চর। দুই পাশে সবুজ আর সবুজ। বর্ষায় ভিজে যেন আরও সতেজ হয়েছে। হোগলাবন, বাদাম, রেইনট্রি, তাল, তমাল, শিরীষ, কলাখেত, ধঞ্চেখেত, পাটখেত, পানের বরজ, মাছের খামার, আমড়াবাগান। খেজুরগাছে রঙিন খেজুর। ভাঙনমুখী বাড়িঘর, দালানকোঠাগুলো যেন আরও নদীর কাছে চলে এসেছে। একসময়ের জলাভূমি দিন দিন চাষাবাদী জমি আর জনবসতিতে পরিণত হচ্ছে। বেড়েছে খেয়া পারাপারের ঘাটের সংখ্যা। চরমোনাই থেকে লাহারহাট বুখাইনগর নদীর এই ১২ কিলোমিটার লঞ্চ চলে একটু ধীরে। শীতে এ নদীতে প্রায়ই লঞ্চ আটকে গেলেও এখন ভরা বরষায় কূল ছাপিয়ে পানি থই থই করছে।
বুখাইনগর আর বিঘাই নদের মিলনস্থলে লাহারহাট লঞ্চঘাট। এইচ বেভারেজ তাঁর ‘ডিস্ট্রিক্ট অব বাকেরগঞ্জ’ বইয়ে লিখেছেন, ‘বরিশাল নদী বিঘাই নদীর অব্যাহত রূপ।’ নদীকোষে আছে, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ ও বরগুনার আমতলীর গুলিশাখালী হয়ে দক্ষিণমুখী হয়ে প্রবাহিত। লাহারহাটের পাশ দিয়ে বিঘাই কালাবদর, তেঁতুলিয়া ও গণেশপুরা নদ–নদীর সঙ্গে মিশেছে।
নদীর তীরজুড়ে শত শত মহিষের পাল আর জলচর পাখি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বর শ ল
এছাড়াও পড়ুন:
যেখানে নৌকায় আড়াই ঘণ্টা ঘুরলে দেখতে পাবেন ৮ নদী
‘ধান নদী খাল—এই তিনে বরিশাল’, এটি পুরোনো কথা। বৃহত্তর বরিশাল ঘিরে আছে বহু নদী। বরিশাল থেকে নদীপথে আড়াই ঘণ্টা ভোলার দিকে গেলে আট নদীর দেখা মেলে।
রোববার কাজকর্ম সেরে, অনেকটা দৌড়ে ঘাটে গিয়ে টিকিট কাটলাম। এমভি বিউটি অব ইমা এক্সপ্রেস লঞ্চে উঠে পড়লাম। উদ্দেশ্য, বরিশাল থেকে ভোলা যাব। পেটে প্রচণ্ড খিদে, তাই লঞ্চের ভাতের হোটেলে খেয়ে নিলাম। লঞ্চ ছাড়ল বেলা দেড়টায়। দোতলার পেছনে গিয়ে দেখি, মাথার ওপর মস্ত নীল আকাশ।
চারদিকে কীর্তনখোলা নদী। সবুজ দিয়ে ঘিরে রেখেছে প্রকৃতি। ১৮০১ সালের আগে এ নদীকে বরিশাল নদী, সুগন্ধা নদী নামে ডাকা হতো। বরিশালের শায়েস্তাবাদ থেকে শুরু, ঝালকাঠির নলছিটির কাছে শেষ। প্রাচীন পদ্মার ধারা থেকে কীর্তনখোলার উৎপত্তি।
প্রায় আড়াই কিলোমিটার চলার পর লঞ্চটি ডানে বুখাইনগর নদীতে বাঁক নেয়। এ নদীর বাঁ পাশে চরমোনাই আর ডান পাশে কাউয়ার চর। দুই পাশে সবুজ আর সবুজ। বর্ষায় ভিজে যেন আরও সতেজ হয়েছে। হোগলাবন, বাদাম, রেইনট্রি, তাল, তমাল, শিরীষ, কলাখেত, ধঞ্চেখেত, পাটখেত, পানের বরজ, মাছের খামার, আমড়াবাগান। খেজুরগাছে রঙিন খেজুর। ভাঙনমুখী বাড়িঘর, দালানকোঠাগুলো যেন আরও নদীর কাছে চলে এসেছে। একসময়ের জলাভূমি দিন দিন চাষাবাদী জমি আর জনবসতিতে পরিণত হচ্ছে। বেড়েছে খেয়া পারাপারের ঘাটের সংখ্যা। চরমোনাই থেকে লাহারহাট বুখাইনগর নদীর এই ১২ কিলোমিটার লঞ্চ চলে একটু ধীরে। শীতে এ নদীতে প্রায়ই লঞ্চ আটকে গেলেও এখন ভরা বরষায় কূল ছাপিয়ে পানি থই থই করছে।
বুখাইনগর আর বিঘাই নদের মিলনস্থলে লাহারহাট লঞ্চঘাট। এইচ বেভারেজ তাঁর ‘ডিস্ট্রিক্ট অব বাকেরগঞ্জ’ বইয়ে লিখেছেন, ‘বরিশাল নদী বিঘাই নদীর অব্যাহত রূপ।’ নদীকোষে আছে, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ ও বরগুনার আমতলীর গুলিশাখালী হয়ে দক্ষিণমুখী হয়ে প্রবাহিত। লাহারহাটের পাশ দিয়ে বিঘাই কালাবদর, তেঁতুলিয়া ও গণেশপুরা নদ–নদীর সঙ্গে মিশেছে।
নদীর তীরজুড়ে শত শত মহিষের পাল আর জলচর পাখি