মাত্র কিছুদিন আগেই জাতীয় দলের হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খেলেছেন। নেশন্স লিগ জয়ের উল্লাসে মাতিয়েছেন গোটা দেশ। অথচ আজ সেই সতীর্থ ডিয়োগো জোটা আর নেই। এই খবর কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।

বৃহস্পতিবার স্পেনের জামোরা প্রদেশে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন লিভারপুল এবং পর্তুগাল জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড ডিয়োগো জোটা। দুর্ঘটনায় তার ভাই আন্দ্রে সিলভাও নিহত হয়েছেন, যিনি পর্তুগালের ক্লাব পেনাফিয়েলের হয়ে খেলতেন।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’র বরাতে জানা গেছে, জামোরা প্রদেশের সানাব্রিয়া অঞ্চলে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় ছিটকে পড়ে এবং মুহূর্তেই আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলেই দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়।

মাত্র দুই সপ্তাহ আগে দীর্ঘদিনের প্রেমিকা ও তিন সন্তানের জননী রুতে কারদোসোকে বিয়ে করেছিলেন জোটা। পরিবারের সঙ্গে নতুন জীবনের শুরু উদ্‌যাপন করতে গিয়েই ঘটে গেল এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বিয়ের ছবি পোস্ট করেছিলেন জোটা ২৮ জুন, আর স্ত্রী রুতে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন বুধবার। এর পরপরই এলো জোতার মৃত্যুসংবাদ।

জোটার মৃত্যুতে শোকাহত রোনালদো সামাজিক মাধ্যমে আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন। নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘এর কোনো মানে হয় না। এতদিন একসঙ্গে ছিলাম জাতীয় দলে, এই তো মাত্র তোমার বিয়ে হলো। তোমার স্ত্রী, সন্তান ও পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা। আমি জানি তুমি সবসময় তাদের সঙ্গে থাকবে। শান্তিতে ঘুমাও, ডিয়োগো এবং আন্দ্রে, আমরা সবাই তোমাদের খুব মিস করবো।’

শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও। নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন, ‘শান্তিতে থেকো দিয়োগো জোতা (১৯৯৬-২০২৫)। কদিন আগেই সে লিভারপুলের হয়ে প্রিমিয়ার লিগ জিতেছে, আবার পর্তুগালের হয়ে জিতেছে নেশন্স লিগ। ভাইসহ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে সে। খুব দুঃখজনক ঘটনা।’

রোনালদো ও জামালের মতোই স্তব্ধ বিশ্ব ফুটবল। ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে থাকা এক প্রতিভাবান ফুটবলারের এমন প্রস্থান বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনেই শোকের ছায়া নামিয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ত গ ল দ র ঘটন পর ত গ

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ