শিল্পকলায় এবার চারুকলা বিভাগের পরিচালকের পদত্যাগ
Published: 3rd, July 2025 GMT
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ফের পদত্যাগের ঘটনা। জাতীয় চারুকলা বিভাগের পরিচালক মোস্তফা জামান পদ ছেড়েছেন। এর মাত্র চার মাস আগে হঠাৎ করেই পদত্যাগ করেছিলেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ জামিল আহমেদ।
একাডেমির সচিব মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন বলেন, আমি গতকাল (মঙ্গলবার) মোস্তফা জামানের পদত্যাগপত্র হাতে পেয়েছি। এখনও মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়নি। সম্ভবত আগামীকাল পাঠানো হবে। উনি ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন।
গত বছরের আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দীর্ঘদিনের মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী পদত্যাগ করেন। এরপর ৯ সেপ্টেম্বর নাট্যজন ও গবেষক অধ্যাপক সৈয়দ জামিল আহমেদকে মহাপরিচালক পদে দুই বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে তিনি চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি নাট্যশালায় এক অনুষ্ঠানে হঠাৎ মঞ্চেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন। পরে তিনি এক বিবৃতিতে একাডেমির কর্মকাণ্ডে অতিরিক্ত আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং সংস্কৃতি উপদেষ্টার ‘হস্তক্ষেপ’-এর অভিযোগ তোলেন।
পরবর্তীতে ৩০ সেপ্টেম্বর একাডেমির ছয়টি বিভাগে নতুন পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয় দুই বছরের জন্য। চারুকলা বিভাগের দায়িত্ব পান মোস্তফা জামান। নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগে ফয়েজ জহির, সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগে মেহজাবীন রহমান, গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগে তানজিম ওয়াহাব, প্রযোজনা বিভাগে আব্দুল হালিম চঞ্চল এবং প্রশিক্ষণ বিভাগে এফ এম নুরুর রহমান দায়িত্ব নেন।
তবে মহাপরিচালক পদটি বর্তমানে শূন্য থাকায় একাডেমির কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই।
পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও লেখক আলতাফ পারভেজ বলেন, মহাপরিচালক না থাকলে কোনো সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান কার্যকরভাবে চলতে পারে না। তাঁকেই তো পুরো কাঠামোর চালক বলা হয়। আলতাফ পারভেজও পরিষদ থেকে পদত্যাগের কথা ভাবছেন। তিনি বলেন, আমি পদত্যাগপত্র ড্রাফট করে রেখেছি, এখন কেবল জমা দেওয়া বাকি। শিগগিরই দিয়ে আসব। একাডেমির সাম্প্রতিক এ ধারাবাহিক পদত্যাগ এবং প্রশাসনিক অচলাবস্থা সংস্কৃতি অঙ্গনে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পদত য গ এক ড ম র পদত য গ র চ লক বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদপুরে জীবন্ত নবজাতক দাফনের চেষ্টা, হাসপাতাল বন্ধ
চাঁদপুর পৌর কবরস্থানে নবজাতক দাফনের সময় নড়ে ওঠা এবং পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় শহরের তালতলা দি ইউনাইটেড হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় ফারুক হোসেন গাজী (৪৫)। এই ঘটনায় আগামী দুই দিনের মধ্যে রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তর করে হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দি ইউনাইটেড হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পি দত্ত রনি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন হাসপাতালটিতে নানা অবৈধ কার্যক্রম চলে আসছে। ওই নবজাতকের জন্মও হয় এই হাসপতালে। জীবন্ত নবজাতক দাফনের চেষ্টা করার ভিডিও ভাইরাল হলে বিষয়টি নজরে আসে প্রশাসনের এবং পুলিশ সুপারের নির্দেশে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নবজাতককে কবরস্থানে নিয়ে আসা ওয়ার্ড বয় ফারুক গাজীকে গ্রেপ্তার করে।
এই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা করেন পৌর কবর স্থানের কেয়ারটেকার মো. শাহজাহান মিয়াজী।
এদিকে দি ইউনাইটেড হাসপাতালে এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পি দত্ত রনি বলেন, “হাসপাতালে এসে ব্যবস্থাপনায় জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করেও কোন সাড়া মিলেনি। চিকিৎসক নেই, হাসপাতালের প্যাথলজি ও ওটির সঠিক পরিবেশ নেই। একই সাথে পোস্ট অপারেটিভ রোগীর জন্য কোন সুব্যবস্থা নেই এবং হাসপাতালের কাগজপত্রও নবায়ন নেই।”
তিনি আরো বলেন, “প্রাথমিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং ওটি, প্যাথলজি ও সংশ্লিষ্ট কক্ষ সীলগালা করা হয়েছে। একই সাথে রোগীদেরকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্য স্থানে সেবার ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমাদের অভিযানে পরিচালিত কার্যক্রম সিভিল সার্জন বরাবর প্রদান করা হবে। সিভিল সার্জন হাসপাতালের নিবন্ধন বাতিলসহ পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে পারবেন।”
এ ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুল হাসান ফয়সাল, জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মু. মিজানুর রহমান। অভিযানে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ সহযোগিতা করেন।
অপরদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত শেষে হাসপাতালের ড্রাগ সনদসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরীক্ষা করে দেখেন জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মু. মিজানুর রহমান।
ঢাকা/অমরেশ/এস