কারাগারের কর্মী থেকে ইউরোর ফুটবলার
Published: 4th, July 2025 GMT
২ জুলাই সুইজারল্যান্ডে শুরু হয়েছে উয়েফা উইমেন্স ইউরো। এবারের আসর দিয়ে ইউরোয় অভিষেক হচ্ছে ওয়েলসের।
সুইজারল্যান্ডে চলমান নারী ইউরো খেলছেন ১৬টি দেশের সাড়ে তিন শর বেশি খেলোয়াড়। সবারই আলাদা একটা গল্প আছে। এর মধ্যে রাচেল রোর গল্পটা ব্যতিক্রমী। ওয়েলসের ৩২ বছর বয়সী এই ফুটবলার প্রথমবার ইউরোপের শীর্ষ টুর্নামেন্টে খেলছেন কারাগারের অভিজ্ঞতা নিয়ে।
না, রো কখনো কারাবন্দী ছিলেন না। ছিলেন কারাগারের কর্মী। এমনকি খেলোয়াড় হিসেবেও ছিলেন অপেশাদার। সেই রো এখন ওয়েলসের হয়ে নারী ইউরোর মঞ্চে। যুক্তরাজ্যের অংশ হয়ে থাকা ওয়েলস এবারই প্রথম মেয়েদের ফুটবলের শীর্ষ মহাদেশীয় প্রতিযোগিতায় খেলছে।
ইংলিশ ক্লাব সাউদাম্পটনে খেলা রো ওয়েলসের খেলা শুরু করেন ২০১৫ সালে। তবে জাতীয় দলে অভিষেকের সময়ও তিনি ছিলেন আধা পেশাদার। কোনো ক্লাবের সঙ্গে নিয়মিত চুক্তিতে ছিলেন না। ওই সময় সোয়ানসি কারাগারে চাকরিও করতেন জানিয়ে রো বিবিসিকে বলেন, ‘আমি বেশ কটি চাকরি করেছি। কলেজ থেকেই বেরিয়েই কর্মক্ষেত্রে। আমি “বি অ্যান্ড এম”-এ কাজ করেছি, তারপর কারাগারের কাজে যোগ দিই।’
ওয়েলস জাতীয় দলে এখন যাঁরা খেলছেন, তাঁদের বেশির ভাগই পেশাদার ফুটবলার হিসেবেই উঠে এসেছেন। নিজের ও তাঁদের তুলনা টেনে রো বলেন, ‘আমাদের দলে বিভিন্ন প্রজন্মের খেলোয়াড় আছে, যাদের অভিজ্ঞতা ভিন্ন। এমনও আছে, যারা কলেজে গিয়ে সেখান থেকে পূর্ণকালীন ফুটবলার হয়েছে। আর আমার যাত্রা সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল। তবে এটিই আমাকে আজকের মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছে।’
৩২ বছর বয়সী রাচেল রো প্রথমবার ইউরো খেলবেন।.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টবল র
এছাড়াও পড়ুন:
ঋতুপর্ণাদের সামনে বিশ্বকাপ খেলার হাতছানি
ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল! প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিয়েছে ঋতুপর্ণাদের দলটি। অনেকেই বলছেন, এটি বাংলাদেশের সামগ্রিক ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম বড় সাফল্য। র্যাঙ্কিংয়ে অনেক এগিয়ে থাকা স্বাগতিক মিয়ানমারকে হারিয়ে সেই ইতিহাস গড়েছে লাল-সবুজের মেয়েরা।
বাছাইপর্বে গ্রুপ 'সি'র ম্যাচে মিয়ানমারকে ২-১ গোলে হারায় বাংলাদেশ। দুই অর্ধে জোড়া গোল করেন ঋতুপর্ণা চাকমা। এর আগে বাহরাইনকে হারিয়েই দারুণ সূচনা করেছিল মেয়েরা। এরপর বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তানের মধ্যকার ম্যাচটি ড্র হওয়ায় এক ম্যাচ হাতে রেখেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা।
নারী এশিয়ান কাপের ইতিহাসে ১৯৭৫ সালে যাত্রা শুরু হলেও এবারই প্রথমবার অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। তারা হবে টুর্নামেন্টের ২৩তম দল। এরই মধ্যে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চীন, রানার্সআপ দক্ষিণ কোরিয়া, এবং তৃতীয় স্থান পাওয়া জাপান ছাড়াও একটি দল জায়গা নিশ্চিত করেছে। বাকি আটটি দল উঠে আসবে বাছাইপর্ব থেকে।
২০২৬ সালের ১ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, গোল্ড কোস্ট এবং পার্থের পাঁচটি ভেন্যুতে আয়োজিত হবে টুর্নামেন্ট। ২৯ জুলাই সিডনিতে অনুষ্ঠিত হবে গ্রুপ পর্বের ড্র। চূড়ান্ত ১২টি দল তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ গ্রুপে থাকলেও বাকিদের অবস্থান নির্ধারিত হবে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে। সম্ভবত বাংলাদেশ থাকবে চতুর্থ পটে। গ্রুপ পর্ব শেষে প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল এবং তৃতীয় স্থানে থাকা সেরা দুটি দল কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে। এখান থেকেই শুরু হবে বিশ্বকাপের টিকিটের লড়াই।
২০২৬ এশিয়ান কাপ শুধুই একটি টুর্নামেন্ট নয়, এটি ২০২৭ নারী বিশ্বকাপ ও ২০২৮ অলিম্পিকের বাছাইপর্বও। ২০২৭ নারী বিশ্বকাপ হবে ব্রাজিলে, যেখানে এশিয়া থেকে সরাসরি ৬টি দল অংশ নেবে। এশিয়ান কাপের সেমিফাইনালে ওঠা চারটি দল সরাসরি যাবে বিশ্বকাপে। কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যাওয়া চার দল খেলবে প্লে-ইন ম্যাচ। সেখান থেকে জেতা দুটি দলও বিশ্বকাপে যাবে। যারা হারবে, তাদের জন্য থাকবে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফের আরেকটি সুযোগ।
এছাড়াও, কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা আটটি দল সুযোগ পাবে ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের বাছাইপর্বে অংশ নেওয়ার। বাছাইয়ে দুই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন পাবে অলিম্পিকের চূড়ান্ত পর্বে খেলার সুযোগ।