হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদের ফরিদপুরের বাড়িতে হামলাসহ দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে গণসংহতি আন্দোলন। দলটি বলছে, ‌‘মব’ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিশাল ব্যর্থতা।

শুক্রবার গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এবং নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এক যৌথ বিবৃতিতে মুরাদনগর, লালমনিরহাট, ফরিদপুরসহ সারাদেশে মব সৃষ্টি করে নিপীড়ন ও সন্ত্রাস অত্যাচার চালিয়ে-- ধর্ষণ, শিক্ষকের পদোন্নতির পরীক্ষা ঠেকানো এবং থানা ঘেরাও করে অভিযুক্তকে বের করে নিয়ে যাওয়া, আওয়ামী দোসর বলে বাড়ি ঘেরাওয়ের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র ক্ষোভ জানান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কী দেশকে অরাজকতায় পৌঁছে দিতে চায়? তা না হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কেন দেশে ঠিকঠাক কাজ করতে পারছে না! কেন দেশে একটার পর একটা মব সৃষ্টি করে অপরাধ সংগঠিত হতে পারছে? একটা অভ্যুত্থান পরবর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করা—এমনকি সেটা অভিযুক্ত বা অপরাধীর ক্ষেত্রে হলেও।’

তারা বলেন, ‘‘গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম অর্জন হচ্ছে বৈষম্যবিরোধী স্পিরিট ও আইনের শাসন কায়েম করার শাসনব্যবস্থার দিকে যাত্রা শুরু করা। সেখানে উপদেষ্টারা ‘যদি মবকে ঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে না পারেন’ কিংবা ’আওয়ামী লীগ এবং ’৫৩ বছরের অতীত টেনে’ মবকে জাস্টিফাই করতে চান তাহলে তিনি বাংলাদেশের সকল মানুষের উপদেষ্টা নন।’

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে মব তৈরির হোতা সেই পক্ষগুলো সন্ত্রাসী, গণঅভ্যুত্থানবিরোধী, জাতীয় ঐক্য ধ্বংসকারী যারাই হোন না কেন—তাদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান।   

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: মব মব জ স ট স

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতি ভোটকক্ষে ২টি গোপন বুথ থাকবে: ইসি সচিব

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে করার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এক ভোটকক্ষে দুটি গোপন বুথ রাখার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। 

তফসিল ঘোষণার আগে সার্বিক সমন্বয় ও নিয়োগ পরিকল্পনা পর্যালোচনায় রবিবার (৩০ নভেম্বর) ৩৪ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনের সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান। 

আরো পড়ুন:

‘তারেক রহমানের ফেরার বিষয়ে সকলকেই সহযোগিতা করা উচিত’

কিছু ব্যক্তির কুপরামর্শেই একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট: গোলাম পরওয়ার

ইসি সচিব বলেন, ‘‘আগামী বছরের জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট মিলিয়ে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এ কারণে মাঠ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, লজিস্টিকস ও সমন্বয় সংক্রান্ত বিষয়গুলো নতুন করে যাচাই-বাছাই করছে কমিশন।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘যারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের ভাতা বাড়ানো হয়েছে; যাতে তারা কোনো স্থানীয় রাজনৈতিক নেতার আতিথেয়তা গ্রহণ না করেন এবং নিরপেক্ষতা বজায় থাকে।’’ 

আখতার আহমেদ আরো বলেন, ‘‘এখন পর্যন্ত এক লাখের মতো প্রবাসী বাংলাদেশি পোস্টাল ব্যালটের জন্য ভোটার হিসেবে নিবন্ধন করেছেন। সাম্প্রতিক মক ভোটিংয়ের ফলাফল বিশ্লেষণ করে কমিশনের ধারণা, ভোটকেন্দ্র বা ভোটকক্ষ বাড়ানোর প্রয়োজন নেই; বরং গোপন বুথ বাড়ালেই ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যাবে।’’ 

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, ‘‘সার্বিক অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটতে পারে, তবে নির্বাচনকে ঘিরে বড় ধরনের কোনো ঝুঁকি নেই বলে মনে করছে কমিশন।’’ 

ঢাকা/এএএ/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হবিগঞ্জে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত
  • প্রতি ভোটকক্ষে ২টি গোপন বুথ থাকবে: ইসি সচিব