সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন চাইছে চরের দল: সালাহউদ্দিন আহমদ
Published: 5th, July 2025 GMT
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, যারা ১৪ দলের নামে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিল, তারাই এখন সংস্কার কমিশনে এসে বড় বড় কথা বলছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যারা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন চাইছে, তারা একটি চরের দল। তারা আগে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে নির্বাচনের বৈধতা দিয়েছিল।
শনিবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। চুনকুটিয়ার শুভাঢ্যা গার্লস স্কুল প্রাঙ্গণে ‘দ্রুত নির্বাচনে’র দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গণতন্ত্রের ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। স্বল্পমেয়াদী সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। জনগণ ম্যান্ডেট দিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনলে সংবিধানসহ সব সংস্কার বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, দ্বিমত ও বিরোধিতা থাকলেও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কেউ যদি সংস্কার ও বিচারের নামে দীর্ঘমেয়াদে ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থাকতে চায় সেটি দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে আবারও সংগ্রাম করবে বিএনপি।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচন আটকানোর শক্তি কারও হাতে নেই। একজন ভদ্রলোক মানুষ ওয়াদা করছেন, তিনি তার ওয়াদা পূরণ করবেন, যথাসময়ে নির্বাচন দেবেন, এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা ধৈর্য ধরে আছি।
জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, শিক্ষা আর স্বাস্থ্য দুইটা দখল করছে জামায়াত। ওখানে আর কারও কোনো ঠাঁই নাই। যারা নির্বাচন চায় না, সংস্কার সংস্কার করে, তারা তো ভারতের দালাল। এরাই কিন্তু আওয়ামী লীগের জঘন্য লোকদের তাদের দলের সদস্য বানাইতেছে গোপনে। পরাগ মণ্ডল যে অপহরণ হলেন, আপনার সবাই জানানে কে অপহরণ করেছে। এখন শুনি তিনি জামায়াতের নেতা। জামায়াত কী জিনিস আপনারা একটু চিনে রাখেন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি নিপুণ রায় চৌধুরী প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মসজিদের মোতাওয়াল্লি নিয়োগ নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫০
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় মসজিদের মোতাওয়াল্লি নিয়োগ ও আয়-ব্যয়ের হিসাব নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধের জেরে সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের মথুরাপুর জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত কয়েকজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষে আহত কয়েকজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন– নজরুল ইসলাম, রায়হান কবীর, রহিম উদ্দিন, হাম্মদ মিয়া, ইসরাফিল, নুনু মিয়া, ফজলু মিয়া, সাজ্জাদ মিয়া, নিজাম উদ্দিন, শামীম আহমদ মনা, শামসু মিয়া, সুলেয়মান মিয়া, জুয়েল আহমদ, আলতা মিয়া, রোমান মিয়া, জনি, রব্বান মিয়া প্রমুখ। আহতদের মধ্যে নজরুল ইসলাম (৫৫), রায়হান কবীর, রহিম উদ্দিন (৩৮), হাম্মদ মিয়া (২৮) ও নিজাম উদ্দিনকে (৩৬) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মথুরাপুর জামে মসজিদের নতুন মোতাওয়াল্লি নিয়োগ, পুরাতন মোতাওয়াল্লিকে অব্যাহতি ও মসজিদের অর্থের হিসাব-নিকাশ নিয়ে গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। মসজিদের হিসাব-নিকাশ নিয়ে এর আগে কয়েক দফা গ্রাম্য পঞ্চায়েত বসে কোনো সুরাহা হয়নি। শুক্রবার আগের মোতাওয়াল্লি আলাল মিয়া অব্যাহতি চেয়ে হিসাব-নিকাশ দিতে চান। তখন গ্রামের নজরুল ইসলাম পক্ষ ও শামীম আহমদ মনা পক্ষের লোকদের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে শামীম আহমদের পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষের ওপর হামলা করে। পরে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয়পক্ষের অনেকে আহত হন। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
নজরুল ইসলাম বলেন, জুমার নামাজের সময় মসজিদের মোতাওয়াল্লির পদত্যাগের বিষয়ে কথাকাটাকাটির সময় প্রতিপক্ষ শামীম আহমদ মনার লোকজন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে তাদের পক্ষের অনেকে আহত হয়েছেন।
হামলার অভিযোগ অভিযোগ অস্বীকার করে শামীম আহমদ মনা বলেন, মসজিদের মোতাওয়াল্লি ৩৬ হাজার টাকার কোনো হিসাব দিতে পারেননি। তারা হিসাব চাইলে নজরুল ইসলাম পক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তিনি মসজিদ কমিটির সদস্য নন।
এ ব্যাপারে মোতাওয়াল্লি আলাল মিয়া বলেন, তিনি হিসাব-নিকাশ দিতে চাইলে গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে মারামারি হয়েছে।
নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ কামরুজ্জামান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ বিষয়ে কোনো পক্ষ এখনও অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।