প্রথমবারের মতো ৩২ দলের রোমাঞ্চকর ক্লাব বিশ্বকাপ এবার পৌঁছে গেছে চূড়ান্ত ধাপে। মাসব্যাপী উত্তেজনার পর বাছাই হয়ে গেছে চার সেরা দল। যারা এবার শিরোপার জন্য লড়বে শেষ চারে। জমজমাট এই সেমিফাইনালে দেখা যাবে ইউরোপ আর লাতিন আমেরিকার লড়াই। তার সঙ্গে যোগ হবে তারকাখচিত রোমাঞ্চ।

প্রথম সেমিফাইনাল: চেলসি বনাম ফ্লুমিনেন্স,
ভেন্যু: নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়াম,
তারিখ ও সময়: ৯ জুলাই, রাত ১টা (বাংলাদেশ সময়)।

ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লুমিনেন্স সৌদি আরবের হেভিওয়েট আল হিলালকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে। অপরদিকে ইংলিশ জায়ান্ট চেলসি লাতিন প্রতিদ্বন্দ্বী পালমেইরাসকে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে। এই দুই দল মুখোমুখি হওয়ার মধ্য দিয়েই জমে উঠবে প্রথম সেমিফাইনাল। ইউরোপের পেশাদারিত্ব আর লাতিন আমেরিকার কৌশলী ফুটবলের এই লড়াই নিয়ে উত্তেজনার শেষ নেই।

আরো পড়ুন:

আবার বাবা হলেন নেইমার

ইতিহাস গড়ে দেশে ফিরেই সংবর্ধনা পাচ্ছে নারী ফুটবল দল

দ্বিতীয় সেমিফাইনাল: রিয়াল মাদ্রিদ বনাম পিএসজি,
ভেন্যু: মেটলাইফ স্টেডিয়াম,
তারিখ ও সময়: ১০ জুলাই, রাত ১টা (বাংলাদেশ সময়)।

একদিকে আছে ইউরোপের রাজা রিয়াল মাদ্রিদ, যারা বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ৩-২ গোলে হারিয়ে সেমিতে পৌঁছেছে। অন্যদিকে, ফরাসি চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সেন্ট জার্মেইন (পিএসজি) তাদের শক্তিমত্তার প্রমাণ রেখেছে বায়ার্ন মিউনিখকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে।
এই দুই জায়ান্টের মুখোমুখি লড়াই মানেই তারকাদের ঝলক, গতি, কৌশল এবং বিশ্বমানের ফুটবলের প্রতিশ্রুতি।

ফাইনাল কবে?
এই দুই সেমিফাইনাল জয়ীরা মুখোমুখি হবে ১৪ জুলাই, নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে। তখনই নির্ধারণ হবে— কে হবে নতুন ক্লাব বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল স ম ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

তিন কারণে রপ্তানিতে প্রণোদনা প্রত্যাহার ৫ মাস পেছাল

তিন কারণে রপ্তানিখাতে আর্থিক প্রণোদনা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহারের সময়সীমা আরো ৫ মাস পিছিয়ে দিয়েছে সরকার। আগামী বছরের (২০২৬) জুলাই থেকে এটি কার্যকর করার কথা ছিল। এখন তা পিছিয়ে আগামী বছরের নভেম্বর মাস নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়টি অনুমোদনও করেছেন। 

যে  কারণগুলোর কারণে সময়সীমা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে তা হলো, আমেরিকা কর্তৃক বাংলাদেশের পণ্যের ওপর অধিকহারে শুল্কারোপ, স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে ভারতের বিধিনিষেধ এবং গত বছরে রাজনৈতিক কারণে শিল্পখাতে অস্থিরতা। ইতোমধ্যে ২০২৪ সাল থেকে এই রপ্তানি প্রণোদনা ধাপে ধাপে কমিয়ে দেয়া হচ্ছে।

বিগত সাত অর্থবছরে রপ্তানিখাতে প্রণোদনার দেয়ার পরিমাণ ছিল ৪৬ হাজার ৭১৫ কোটি টাকা। এই আর্থিক প্রণোদনা সিংহভাগ (৮০ ভাগেরও বেশি) পেয়েছে রপ্তানিমুখী তৈরিপোশাক শিল্প।  

আরো পড়ুন:

পাঁচ বছরে কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন বেড়েছে ২২৮ শতাংশ

জবিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদদের নিয়ে গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জাতিসংঘের নির্ধারিত মানদণ্ড অনুযায়ী সংস্থাটির কমিটি ফর ডেভলেপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) সুপারিশ অনুসারে আগামী ২৪ নভেম্বর ২০২৬ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে। স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের পরবর্তী সময়ে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) এগ্রিমেন্ট অন সাবসিডিস অ্যান্ড কাউন্টারভেলিং মেজারস (এএসসিএম) অনুসারে রপ্তানি নির্ভর সাবসিডি অর্থ্যাৎ কোনো আর্থিক প্রণোদনা দেয়াা যাবে না। 

এ অবস্থায় রপ্তানিতে বিদ্যমান প্রণোদনা বা আর্থিক সহায়তা একসঙ্গে প্রত্যাহার করা হলে রপ্তানিকারকেরা হঠাৎ করে চ্যালেঞ্জর সম্মুখিন হতে পারেন বা রপ্তানি বাণিজ্য নেতিবাচক প্রভাব পরতে পারে। সেই বাস্তবতায় ২০২৬ সালের মধ্যে রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা ধাপে ধাপে বা  ক্রমান্নয়ে কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত রয়েছে, যা পূর্ববর্তী সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত। উক্ত কর্মপরিকল্পনা অনুসারে প্রথম ধাপে সব পণ্যের (৪৩টি খাতের) রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা ২০১৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত আংশিক হ্রাস করা হয়েছে।  দ্বিতীয় ধাপে ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে এ নগদ সহায়তা আরো কিছুটা হ্রাস করা হয়েছে।

অর্থ বিভাগ এ বিষয়ে জানিয়েছে, এই  কর্মপরিকল্পনা অনুসারে তৃতীয় ধাপে  ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে রপ্তানি প্রণোদনা/নগদ সহায়তার যার আংশিক হ্রাস করার কথা ছিল। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে আমেরিকা কর্তৃক বাংলাদেশের উপর প্রতিযোগী দেশের তুলনায় অধিক হারে শুল্ক আরোপ, স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে ভারত সরকার দেয় বিধিনিষেধ এবং গত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শিল্পখাতে কিছুটা অস্থিরতা থাকার কারণে দেশের রপ্তানিখাত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। পরিবর্তিত এ বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে রপ্তানি প্রণোদনার হার এ মুহূর্তে আরো হ্রাস করা হলে রপ্তানিকারকেরা অধিকতর সমস্যার সম্মুখীন হবেন। এ পর্যায়ে তৃতীয় ধাপে নগদ সহায়তা হ্রাসের পরিকল্পনা ৬ (ছয়) মাসের জন্য বিলম্বিত করা যেতে পারে। সে প্রেক্ষিতে, নগদ সহায়তার  তৃতীয় ধাপে হ্রাসের লক্ষ্যে ইতোপূর্বে গৃহীত সিদ্ধান্ত শিথিল করে আগামী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর করা যুক্তিযুক্ত হবে।  একইভাবে, ২০২৬ সালের ১ জুলাই থেকে চতুর্থ ধাপে নগদ সহায়তা হ্রাস কিছুটা বিলম্বিত করে এলডিসি উত্তোরণের দিন হতে অর্থাৎ এর ২০২৬ নভেম্বর থেকে কার্যকর করা সমীচীন হবে।

অর্থ বিভাগ সূত্র জানায়, এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অর্থ উপদেষ্টার কাছে পাঠানো হলে তিনি তা অনুমোদন করেছেন। ফলে রপ্তানি সহায়তা প্রত্যাহার প্রায় এক বছর পিছিয়ে গেল। এতে দেশের রপ্তানিকেরা বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা আরো খানিকটা সময় পেলেন।

ঢাকা/হাসনাত/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আফগানদের ইরান ছাড়ার শেষ দিন আজ, কাল থেকে গ্রেপ্তার
  • লাখ লাখ আফগান শরণার্থীকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ ইরানের
  • ঘনিয়ে আসছে ৯ জুলাই, এরপর কী করবেন ট্রাম্প
  • তিন কারণে রপ্তানিতে প্রণোদনা প্রত্যাহার ৫ মাস পেছাল
  • শুল্ক নিয়ে ১২টি দেশকে চিঠি দিচ্ছেন ট্রাম্প
  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মৌখিক পরীক্ষার সূচি প্রকাশ
  • জাপানে উচ্চশিক্ষা সুযোগ: যাত্রা কোথা থেকে কীভাবে শুরু করবেন?